ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

বইমেলায় মোস্তফা সেলিমের চার বই

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
বইমেলায় মোস্তফা সেলিমের চার বই

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’-তুমুল জনপ্রিয় গানের রচয়িতা গিয়াসউদ্দিন আহমদ। বহু মৌলিক গানের এই গীতিকার মরমি গানের এক মহাজন হিসেবে জনহৃদয়ে স্থান পেয়েছেন।



তার রচনা সম্ভার কুড়িয়ে ‘গিয়াসউদ্দিন আহমদ গীতিসমগ্র’ বের করেছেন লেখক, প্রকাশক ও গবেষক মোস্তফা সেলিম।

বই মেলায় মোস্তফা সেলিমের রচনা ও সম্পাদনায় আরও এসেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখা’, ভ্রমণবিষয়ক ‘ভারত নেপাল ভুটান ভ্রমণসঙ্গী’ এবং ‘সিলেটি নাগরী লিপি ও বর্ণ পরিচয়’ নামে নাগরী লিপি শেখার বই।

চমৎকার সব প্রচ্ছদে একুশ গ্রন্থমেলায় উৎস প্রকাশনের স্টলে (১১৬-১১৮) পাওয়া যাচ্ছে এসব বই।

‘গিয়াসউদ্দিন আহমদ গীতিসমগ্র’
মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রেমবিরহ-যন্ত্রণা, মৃত্যুচিন্তা, আধ্যাত্মিক চেতনা নিয়ে গান লিখে গণমানুষের প্রাণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন গিয়াসউদ্দিন আহমদ।

তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত দুটি গীতিসংকলন: ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায় (১৯৯৬) ও ভোটের বয়ান এবং ইত্যাদি (২০০১)। এরপর বের হয় শেষ বিয়ার সানাই (২০০৫)।

এই ত্রয়ী গীতিসংকলন ছাড়াও অগ্রন্থিত ৮৯টি গান নিয়ে মোস্তফা সেলিম বইমেলায় নিয়ে এসেছেন ‘গিয়াস উদ্দিন আহমদ রচনাসমগ্র’ নামে।

বইটি সম্পর্কে মোস্তফা সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘অগ্রন্থিত অংশে ‘বিনন্দের কিচ্ছা’ শীর্ষক একটি গীতিআলেখ্য সংকলিত হয়েছে। এর বাইরেও গিয়াস উদ্দিনের রচিত প্রায় অর্ধ শতাধিক গীতিআলেখ্য বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু লিখিত পাণ্ডুলিপি না থাকায় বর্তমান সমগ্রে গ্রন্থভুক্ত হয়নি।

গিয়াসউদ্দিন আহমদের সমগ্র জীবনের সমূহ রচনার মধ্যে এই সংকলনে ৭৬৬টি গান স্থান পেয়েছে বলে জানান তিনি।

‘মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখা’
‘মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখা’ নামের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইটি এসেছে মেলায়। বইটির ভূমিকায় লেখক দ্বিজেন শর্মা লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছুই লেখালেখি হয়েছে। আছে দলিলপত্রের বৃহৎ সংলকলনও, কিন্তু সামাজিক ইতিহাসটি লেখা হয়নি আজও আর সেই অতিপ্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ডের মালমশলার যোগানদার আঞ্চলিক ইতিহাসগুলি। তাই বড়লেখার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখে সেলিম একটি অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন। অন্যথায় এই স্থানীয় ইতিহাস বিলুপ্তি ঝুঁকিতে থাকত।

মোস্তফা সেলিম জানান, গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকশিত হয় ১৯৯৯ সালে। উপজেলা পর্যায়ে এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম গ্রন্থ। প্রথম সংস্করণের পর কোনো কোনো বিষয় সম্পর্কে নতুন তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। গ্রন্থটির পরিমার্জিত সংস্করণে গ্রন্থটিকে তিনটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

বইটির প্রচ্ছদ একেছেন শিল্পী তৌহিন হাসান। টাইপ সেটিং ও অঙ্গসজ্জা করেছেন শিশিল আহমেদ রুবেল।

‘ভারত নেপাল ভুটান ভ্রমণসঙ্গী’
মেলায় আসা একটি ভ্রমণ বিষয়ক বই ‘ভারত নেপাল ভুটান ভ্রমণসঙ্গী’। প্রতিবেশী ভারত-নেপাল-ভুটান বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে রয়েছে। স্রেফ বেড়ানো ছাড়াও শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনেও বিপুলসংখ্যক মানুষ ভ্রমণ করেন এসব দেশ। এই দেশগুলোতে যারা বেড়াতে যাচ্ছেন, তাদের ভ্রমণ সহযোগিতার জন্য বের হয়েছে বইটি।

সিলেটি নাগরী লিপি ও বর্ণ পরিচয়
চতুর্দশ শতাব্দীতে প্রচলন শুরু হওয়া সিলেটের নাগরী লিপি প্রায় ছয়শত বছর চালু ছিল। এখন অনেকের কাছেই লিপিটি অজনা। হারিয়ে যাওয়া এই লিপি চর্চা ও গবেষণা নতুন করে শুরু হয়েছে। বাংলা ভাষার অন্যতম এই বর্ণমালা নাগরী লিপি পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন মোস্তফা সেলিম।

‘সিলেটি নাগরী লিপি ও বর্ণ পরিচয়’ তার অনন্য সম্পাদনাকর্ম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।