মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মুশফিক-মিরাজের ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে ২ উইকেটে ২১৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২৬ রানে থেমে যায় কুমিল্লার ইনিংস।
২১৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হয় কুমিল্লা। ৩২ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে পড়ে চাপে। সেই চাপ সামাল দিয়ে আর ম্যাচেই ফিরতে পারেনি ওয়ারিওয়া খুলনার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৯ উইকেটে ১২৬ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়ারিয়র্স। সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে উপুল থারাঙ্গার ব্যাট থেকে। খুলনার শহিদুল ইসলাম ৩টি, আমিনুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আমির ২টি এবং রবি ফ্রাইলিংক ও শামসুর রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে কুমিল্লার আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি খুলনার। দলকে ২ রানে রেখে বিদায় নেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর ১১ বলে ২৪ রানের ছোট ঝড় তুলে আউট হয়ে যান ইনফর্ম রাইলি রুশোও। কিন্তু এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান মুশফিক ও মিরাজ। দ ‘জনে মিলে প্রতিপক্ষ বোলারদের নাকের জল চোখের জল এক করে ছাড়েন।
মুশফিক আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য আগে থেকেই পরিচিত। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে এদিন ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন মিরাজও। মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করা এই ডানহাতি দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিককে। আর অপরপ্রান্তে নিশ্চিন্তে ছক্কা আর চারের বন্যা ছুটিয়েছেন মুশি। খুলনা অধিনায়ক ৩৮ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর থেকে আরও বেশি আগ্রাসী ব্যাট করেন।
মুশফিককে নিয়ে চলতি আসরের সেরা জুটি (১৬৮ রান) গড়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৭৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি। তবে অপরপ্রান্তে তখন সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিক।
সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে একটি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারলেই মুশফিকের প্রথম বিপিএল সেঞ্চুরি হয়ে যেতো। কিন্তু ফুলটস বলে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে সৌম্যর হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। যদিও ক্যাচটা ধরতে পারেননি সৌম্য। কিন্তু মুশফিকও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে ৫৭ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ৯৮ রানের ইনিংসটিও বা কম কীসে!
বল হাতে কুমিল্লার ইরফান হোসেন ও মুজিব-উর-রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
আরএআর/এএ