বুধবার (৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৭তম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানের পাহাড় গড়েছিল খুলনা। জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।
১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২২ রানে ওপেনার স্টিয়ান ভ্যান জিলের (১২) উইকেট হারায় কুমিল্লা। এরপর অধিনায়ক ডেভিড মালানও (১) দ্রুত বিদায় নিলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকার। দুজনে মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েন।
দলকে ৮২ রানে রেখে সৌম্য সরকার (২২) বিদায় নেওয়ার পর কোনো রান যোগ না হতেই বিদায় নেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মূলত খুলনার অলরাউন্ডার রোবি ফ্রাইলিংকের অসাধারণ বোলিংয়ের তোপে পড়েন দুই কুমিল্লা ব্যাটসম্যান। দলের বিপর্যয়েও অবশ্য ভরসা হয়ে ছিলেন সাব্বির।
৮২ রানে ৪ উইকেট হারানো কুমিল্লাকে আরও ৪৮ রান এনে দেন সাব্বির ও ইয়াসির আলী। এর মাঝে দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন সাব্বির। এই ডানহাতির ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ৬২ রানের ইনিংস শেষ হয় মোহাম্মদ আমিরের বলে। তুলে মারা বল লুফে নেন রুশো। কুমিল্লার সর্বনাশ যা হওয়ার তখনই হয়ে যায়। বাকি গল্পটা ফ্রাইলিংক-শহীদুলদের বোলিং বীরত্বের।
বল হাতে ৪ ওভারে ৫ উইকেট তুলে নিতে মাত্র ১৬ রান খরচ করেছেন খুলনার রোবি ফ্রাইলিংক। আর ২টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আমির ও শহীদুল। বাকি উইকেট শফিউলের।
এর আগে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লার অধিনায়ক ডেভিড মালান।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেন খুলনার দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ৯.১ ওভারে তারা ৭১ রান তোলেন। তবে যথাক্রমে ব্যক্তিগত ৩৮ ও ৩৯ রানে বিদায় নেন তারা।
তবে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর অসাধারণ জুটি গড়েন রাইলে রুশো ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এরইমধ্যে ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন রুশো। তাদের দু’জনের জুটিতে রান হয় ৮৫। রুশো শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৭ বলে ২৪ করে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে সৌম্য সরকার ও ডেভিড উইসি একটি করে উইকেট পান।
এই জয়ের পর পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা খুলনার সংগ্রহ ১০ ম্যাচে ১২। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে কুমিল্লা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এমএইচএম