মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানটা দখল করেছে চট্টগ্রাম।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে লিটন দাসের অর্ধশতকে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে রাজশাহী।
১৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটে ঝড় ঠিকই তুলেছিলেন ক্রিস গেইল। আফিফের করা তৃতীয় ওভারে ২২ রান তুলে নেন ক্যারিবীয়ান ব্যাটিং দানব। তবে এ ঝড় আর বেশি দূর এগোয়নি। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১০ বলে ২৩ রান করে ফেরত যান গেইল।
তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের পথ দেখান লিন্ডল সিমন্স ও ইমরুল কায়েস। ৭৭ রান আসে এ দুইজনের ব্যাট থেকে। অর্ধশতক তুলে নেন সিমন্স। দলীয় ১১২ রানের মাথায় ৪৩ বলে ৫২ রান করে আউট হন।
এরপর ইমরুলের ব্যাটে ভর করে সহজ জয়ের দিকে এগিয়ে যায় বন্দরনগরের দলটি। ৩১ বলে অর্ধশতক তুলে নেন ইমরুল। এটি এবারের বিপিএলের ইমরুলের চতুর্থ অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত ৪১ বলে ৬৭ রানে ইনিংসের কল্যাণে ৩ উইকেটে ১৭০ রান তোলে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর রাব্বি ও ফরহাদ রেজা ১টি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ের শুরুতে ওপেনার আফিফ হোসেন (৯) দলীয় ১৬ রানে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হলেও রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। ইরফান শুকুরকে (১৮) সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান তিনি। দলীয় ৯৪ রানে লিটন সাজঘরে ফেরেন জিয়াউর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানকে ক্যাচ দিয়ে। তার আগে ৪৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন ২৫ বছর বয়সী এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর দলের দায়িত্বটা নিজের কাধে তুলে নেন শোয়েব মালিক। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ধীর-গতির ব্যাটিং করলেও মাঠে নেমেই ঝড় তুলেন আন্দ্রে রাসেল। ক্যারিবিয়ান তারকা রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১০ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে করেন ২০ রান। এর পরপরই রুবেল তৃতীয় শিকার বানান রবি বোপারাকে (৪)।
হঠাৎ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া রাজশাহীকে আবার বড় আঘাত দেন জিয়াউর। অলক কাপালি (১) ও মালিককে (২৮) দ্রুত তুলে নেন তিনি। তবে শেষদিকে ঝড় তুলে ফরহাদ রেজার ব্যাট। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৮ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
চট্টগ্রামের রুবেল হোসেন ও জিয়াউর রহমান ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইমরুল কায়েস।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
আরএআর/আরবি/