১৯ ওভার ১ বলে ৯ ইউকেট হারিয়ে ১৬১ রান করতে সক্ষম হয় সিলেট থান্ডার। দলের ১১তম ব্যাটসম্যান মনির হোসেন ইনজুরির কারণে খেলেননি।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের ম্যাচে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় সিলেট।
সিলেটের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তুলেছেন ওয়াটসন ও নাঈম। দু’জনে মিলে ওপেনিং জুটিতেই ৭৭ রান সংগ্রহ করেন। তবে ৩৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে মনির হোসেনের বলে রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে নাঈম বিদায় নিলেও রানের চাকা সচল রাখেন ওয়াটসন।
নাঈমের বিদায়ের পর অজি অলরাউন্ডারের সঙ্গে যোগ দেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। এ জুটিতে আসে ৬৬ রান। এর মধ্যেই ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন ওয়াটসন। কিন্তু দলীয় ১৩৮ রানে ডেলপোর্ট (২৫) ফিরে যাওয়ার পরের বলেই বিদায় নেন তিনি।
এবাদত হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ওয়াটসনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ৬৮ রানের ইনিংস। এরপর লুইস গ্রেগরির ১৫, মোহাম্মদ নবীর ২৩ আর ফজলে মাহমুদের ১৬ রানে ভর করে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর।
বল হাতে ২ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের এবাদত হোসেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট গেছে ক্রিশমার সান্টোকি, শেরফানে রাদারফোর্ড এবং মনির হোসেনের ঝুলিতে। আর ম্যাচ শেষে ম্যাচ অব দ্যা ম্যাচ হন শেন ওয়াটশন।
অন্যদিকে, ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সিলেট থান্ডার শুরু থেকে ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তুলে নেয় ৫৮ রান। তবে প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে হারায় দুই ওপেনার ফ্লেচার (১৯) ও মজীদকে (৭)। ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা মিথুন ও রাদারফোর্ড রানের চাকা সচল রেখে খেলতে থাকেন। তবে ২২ বলে ৩০ রান করে মো. নবীর বলে আউট হলে দলের স্কোর লাইন দাড়ায় ৯.২ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৮৮ রান।
রাদারফোর্ড একপাশ আগলে রেখে ৩৭ বলে ৬০ রান করলেও অন্য পাশের ব্যাটসম্যানেরা সঙ্গ না দেওয়ায় সিলেট ২০ ওভারে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি হারের বৃত্তে থাকা থান্ডার।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানালেন, থান্ডারের স্পিন বোলার মনির হোসেন। তিনি বলেন, রাদারফোর্ড একপাশ আগলে রাখলেও তাকে অন্যরা সঙ্গ দিতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল পাল্টাতে পারতো।
তিনি বলেন, দলের দুই জন খেলোয়াড় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তারা আসেননি। যে কারণে দল ভাল কিছু করতে পারেনি।
রংপুরের ইউকেট কিপার ও ব্যাটম্যান জহুরুল ইসলাম অমি বলেন, আমরা জেতার জন্য খেলেছি। অন্য কিছু মাথায় ছিল না। কেন না আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকানো ছিল। এখন ঢাকার ম্যাচগুলোতেও জেতার আশা রাখি।
ওয়াটশসের অধিনায়কত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি বড় লেভেলের ম্যাচ খেলেছেন। গত চার ম্যাচে রান করেননি, কিন্তু তার স্বভাবে কোনো পরিবর্তন ছিল না। তাদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।
পরবর্তী ম্যাচে পয়েন্ট তালিকা মাথায় রেখে খেলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জয়ের জন্য ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলছি। টুর্নামেন্টের শেষে কী হবে জানি না। তবে ছয়টি জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে বড় পাওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এনইউ/জেআইএম