সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান করে কুলিল্লা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিলেটও ১৪০ রানে অলআউট হয়।
১৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিক সিলেট। ছিটকে যাওয়া ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন সোহাগ গাজী ও নাজমুল হোসেন মিলন। ষষ্ঠ উইকেট ৭০ রানের জুটি গড়ে সিলেটকে ম্যাচে ফেরান গাজী ও মিলন। ৩১ বলে ৫২ রান করে গাজী দলীয় ১০৩ রান করে বিদায় নেন।
তবে এরপর আবার ম্যাচটা নিজের দিকে নিয়ে নেয় কুমিল্লা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান, হাতে ছিল দুই উইকেট। আল আমিন হোসেনের করা ওভারটিতে প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরে পরের বলেই রান আউট হন নাভিন-উল-হক। জয়ের জন্য শেষ বলে সিলেটের প্রয়োজন ছিল দুই রান। প্রয়োজনীয় দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মনির হোসেন। ফলে ১৪০ রানে অল আউট হলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে কুমিল্লার মুজিব উর রহমান দারুণ বোলিং করেন। ৬ বলে মাত্র ৭ রান দেন এই আফগান স্পিনার। ৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে এক বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
সিলেটের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৪২ রান তুলে ফেলে কুমিল্লা। কিন্তু স্টিয়ান ভন জিল ১০ রান করে বিদায় নেওয়ার পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। যদিও একপ্রান্তে ধরে রেখেছিলেন উপুল থারাঙ্গা। তবে তার ৩১ বলে ৪৫ রানের ইনিংসের পর বলার মতো রান আসেনি কুমিল্লার আর কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকেই।
কুমিল্লার ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান এসেছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে। এছাড়া সাব্বির রহমান এসেছে ১৭ রান। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানেই থামে কুমিল্লার ইনিংস।
বল হাতে সিলেটের এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সমান ওভারে ১৯ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাদারফোর্ড। এছাড়া ২ উইকেট গেছে সোহাগ গাজীর দখলে।
ম্যাচ সেরর পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লার মুজিব।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
আরএআর/এমএমএস