মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নাঈমের অর্ধ-শতকে ৬ উইকেটে ১৮২ রান তোলে রংপুর। জবাবে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস।
বড় রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় রাজশাহী। এরপর রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি আন্দ্রে রাসেলের দল। লিটন দাস (১৫), শোয়েব মালিক (০), অলক কাপালি (৩১) অল্প সময়ের ব্যবধানে বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় রাহশাহী রয়্যালস।
সেই চাপ আর পরে সামাল দিতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৫ রানেই আটকে যায় রাজশাহী ইনিংস। কাপালি ৩১ ও রবি বোপারা ২৮ রান করেন। রংপুরের তাসকিন আহমেদ ৪টি, লুইস গ্রেগরি ২টি এবং মোহাম্মদ নবী ১টি উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৮ রানে অধিনায়ক শেন ওয়াটসনের উইকেট হারায় রংপুর। অজি অলরাউন্ডার মাত্র ৭ রান করেই আফিফ হোসেন ধ্রুব’র বলে কামরুল ইসলাম রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর ৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বেশ শক্ত ভিত এনে দেন নাঈম ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দলকে ৯২ রান রেখে বোলার আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ধীরে-সুস্থে খেলতে থাকা নাঈম ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান রাজশাহীর পেসার রাব্বি। আউট হওয়ার আগে নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রানের ইনিংস। এরপর লুইস গ্রেগরি (২৮), মোহাম্মদ নবী (১৬), আল-আমিন (১৫*) এবং জহুরুল ইসলামের (১৯*) ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে রংপুরের ইনিংস ১৮২ রানে পৌঁছায়।
বল হাতে দু’টি উইকেট করে নিয়েছেন মোহাম্মদ ইরফান ও আফিফ হোসেন। ১টি করে উইকেট গেছে রাব্বি এবং ফরহাদ রেজার ঝুলিতে। রংপুরের লুইস গ্রেগরি হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
আরএআর/ইউবি