মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম-আসিফের অর্ধ-শতকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে ওয়াহাবের বোলিং তোপে ১০০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী।
১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারেই ৩৯ রান তুলে ফেলেছিল রাজশাহী। এরপরই ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। ওয়াহাব রিয়াজ এক ওভারেই তুলে নেন লিটন দাস, অলোক কাপালি ও শোয়েব মালিকের উইকেটে। চাপে পড়ে যায় রাজশাহী।
পরে এই চাপ আর সামাল দিতে পারে নি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। ৭৭ রান করতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে আন্দ্রে রাসেলের দল। ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১০০ রানে অল আউট হয় রাহশাহী। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে আফিফ হোসাইনের ব্যাট থেকে। ঢাকার ওয়াহাব ৮ রানে ৫ উইকেটে নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২০ রানে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর লুইস রিচ ১০ রান করে বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ১১ বলে ২১ রান করে রবি বোপারার বলে মেহেদীর ইনিংস কাটা পড়ে। দলের রান তখন ৩ উইকেটে ৭২ রান।
আরিফুল হক ৭ রান করে ফরহাদ রেজার বলে বিদায় নেন। রান রেট বাড়াতে ছয় নম্বরে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হন ঢাকার অধিনায়ক। ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পেরেরা-আফ্রিদিবিহীন ঢাকা।
উইকেটের প্রান্তে আগলে ছিলেন তামিম। তবে বল খেলার অনুপাতে তেমনভাবে রান তুলতে পারছিলেন না তিনি। তবে ৪৪ বলে ঠিকই অর্ধ-শতক তুলে নেন তামিম। অন্যদিকে আসিফ আলী ঠিকই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন। ২৪ বলে অর্ধ-শতক তুলে নেন আসিফ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান। ৯০ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তামিম ও আসিফ। তামিম ৫২ বলে ৬৮ ও আসিফ ২৮ বলে ৫৫ রারে অপরাজিত ছিলেন।
রাজশাহীর ফরহাদ রেজা ২টি এবং আন্দ্রে রাসেল শোয়েব মালিক ও রবি বোপারা ১টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
আরএআর/এইচএডি/