ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ঢাকার দলপতি মাশরাফি। সেখানে তিনি মজার ছলে জানান, ‘ইমরুলের উচিত কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে শেখা।
ম্যাচের শুরুর দিকে মুমিনুল হকের সরাসরি থ্রোতে ইমরুলের স্টাম্প ভাঙে। তখন ইমরুল স্ট্রাইকিং প্রান্ত ছেড়ে বেরিয়ে ব্যাট দিয়ে উইকেট মেরামত করছিলেন। ঢাকার ফিল্ডাররা রানআউটের আবেদন করেন, ইমরুলও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্রিকেটের নিয়মে আম্পায়ার এটি আউট দিতে বাধ্য।
কিন্তু ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি ইমরুলকে যেতে নিষেধ করেন। ম্যাচ শেষে তার কারণ ব্যাখ্যা করে মাশরাফি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী ফিল্ডিং দল চাইলে ওটা আউট নিতে পারে। ইমরুলের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। যদিও সে আমাকে ধন্যবাদ দেয়নি। ’
মাশরাফির মজা বুঝতে পেরে অবশ্য পাশে থাকা ইমরুল তখনই বলে উঠেন, ‘থ্যাংকু ভাই, অনেক ধন্যবাদ। ’ এ সময় মাশরাফি আরও বলেন, ‘থার্ড আম্পায়ার ওটা আউট দিতে বাধ্য হতেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা সিনিয়ররা ওখানে ছিলাম, আমি ছিলাম, তামিম ছিল … ওই আউটটা নিলে ভালো দেখাত না। ’
এ সময় মাশরাফি আরও যোগ করেন, ‘অনেক দিন পর খেলছি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অতটা বিচলিত নই। মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। কোনো ম্যাচে ভালো হচ্ছে, কোনো ম্যাচে খারাপ হচ্ছে। তবে চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে যা দরকার সেটা করব। এখন পয়েন্ট টেবিলে চারে আছি, দৌড় থেকে যে বাইরে আছি, তা কিন্তু না। ’
নামটা যেহেতু মাশরাফি, তার কাছে প্রত্যাশাটাও তাই বেশি। প্রত্যাশার কথা শুনে মাশরাফি জানালেন, ‘শুধু আমার কাছে কেন, সবার কাছেই সমান আশা। আমি তো প্রায় অবিক্রীতই থাকি। আমার কাছে আশা করেই-বা কী! আশা করলে তো সবার আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা। সব দলই সমান প্রত্যাশা নিয়ে খেলে। আমরাও একই প্রত্যাশা নিয়ে খেলছি। ’
জানিয়ে রাখা ভালো, এবারের নিলামে প্রথম দফায় কোনো দল নেয়নি ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকা মাশরাফিকে। পরে দলের অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে ঢাকা প্লাটুন নিয়েছিল বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ককে। মোক্ষম জবাবটা হয়তো মাঠে দেওয়ার অপেক্ষায় চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেওয়া ম্যাশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এমআরপি