মাশরাফি-তামিম-আফ্রিদি-পেরেরাদের ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইমরুল-সিমন্সদের চট্টগ্রাম। আট ম্যাচের ৬টিতে জেতা চট্টগ্রাম ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের শীর্ষে।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের দলপতি ইমরুল। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাশরাফির দল তোলে ১২৪ রান। জবাবে, ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে চট্টগ্রাম।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর এনামুল হক বিজয়। তারা ৩২ রানের জুটি গড়েন। ১৩ বলে ১৪ রান করে ফেরেন বিজয়। আর ২৭ বলে ২১ রান করে ফেরেন তামিম।
তিন নম্বরে নামা মেহেদি হাসান কোনো রান পাননি। চার নম্বরে নেমে মুমিনুল ৩৪ বলে ৩২ রান করেন। জাকের আলি ৩, শহিদ আফ্রিদি ০, শাদাব খান ০, থিসারা পেরেরা ৬ রান করেন। ওয়াহাব রিয়াজ আর মাশরাফি ১৯ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। রিয়াজ ১৫ বলে করেন ২৩ রান। ১২ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মাশরাফি।
চট্টগ্রামের রায়ান বার্ল ১ ওভারে ১ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান মুক্তার আলি। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে একটি উইকেট পান লিয়াম প্লাংকেট। রুবেল হোসেন ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। মেহেদি হাসান রানা ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দীকি ব্যক্তিগত ৮ রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ১২ বলে করেন ১৫ রান। চ্যাডউইক ওয়ালটন ১৬ বলে একটি চার আর তিনটি ছক্কায় ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। রায়ান বার্ল ১৬ বলে করেন ১৩ রান।
দলপতি ইমরুল কায়েস ৫৩ বলে ৫টি চার আর দুটি ছক্কায় ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।
ঢাকার দলপতি মাশরাফি ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তুলে নেন একটি উইকেট। মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে পান একটি উইকেট। ওয়াহাব রিয়াজ ৩.৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে পান দুটি উইকেট। শহীদ আফ্রিদি ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। থিসারা পেরেরা ১ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এমআরপি