সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার (১০) ও সাব্বির রহমানকে (০) হারিয়ে শুরুতে বিপদে পড়া কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওপেনার ভানুকা রাজাপক্ষে।
তবে থার্ড আম্পায়ার রিপ্লেতে দেখেন রাজাপক্ষে আউট হোননি। ‘নো বল’ ছিলেন ওয়াহাব। সিদ্ধান্ত নিয়ে কুমিল্লা ওপেনারকে ব্যাটিংয়ের জন্য ডেকে পাঠান আম্পায়াররা। ড্রেসিং রুমে ফেরত যাওয়া ব্যাটসম্যান পুনরায় ব্যাটিংয়ে আসতে পারেন কিনা তা নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন ঢাকার মাশরাফি ও তামিম। অবশ্য শেষ পর্যন্ত রাজাপক্ষে মাঠে ফিরেন এবং ব্যাটিংয়ে নামা ইয়াসির আলী ফিরে যান ড্রেসিং রুমে।
এর আগে ড্রেসিংরুমে ফেরা ব্যাটসম্যান পুনরায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেন কিনা এমন কোনো নজির জানা না থাকলেও আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে ৩১.৭ ধারা অনুযায়ী, একই ওভারের পরবর্তী ডেলিভারির জন্য বোলার দৌড় শুরু করার আগে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানকে মাঠে ফিরিয়ে আনতে পারেন আম্পায়ার।
দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে রাজাপক্ষে শেষ পর্যন্ত দলের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজটি করেন। ৬৫ বলে ৭ ছয় এবং ৪ চারে ৯৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ইয়াসির পরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে। তার আগে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ডেভিড মালান (৯)।
ঢাকার হয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান। বাকি উইকেটটি শিকার করেছেন শাদাব খান।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়। তবে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম পর্বে খেলতে নামা ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মেহেদী হাসান। তামিম ধীরে সুস্থে খেললেও ঝড় তুলেন মেহেদী। ২৯ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হোন তিনি। এরপর ফের বিপদে পড়ে ঢাকা। দলীয় ৮৮ রানে ডাক ফেরে মেরেন আসিফ আলী এবং জাকের আলী।
তবে মুমিনুল হক এসে হাল ধরেন ঢাকার। ৪০ বলে ৩৪ রান করে তামিম ফিরলেও দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি তিনি। পরে শহীদ আফ্রিদির ১৬ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মাশরাফির দল। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রানের। সৌম্যের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে সব হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে ফেলেন আফ্রিদি। ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল।
কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন মুজিব-উর-রহমান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সৌম্য, রবিউল ইসলাম রবি ও আল-আমিন হোসাইন।
ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
ইউবি