শফিকের মতো আরও অনেকে বিভিন্ন দলের জার্সি নিয়ে বসেন রাস্তার পাশে। বেচা-বিক্রি না থাকায় অলস সময় পার করেছেন তারা।
বিক্রেতারা বলেছেন, ‘অন্যান্যবার চট্টগ্রামে মোটামুটি ভালো জার্সি বিক্রি হতো। কিন্তু এ বছর কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে গেছে। সারাদিন বসে থেকেও কাঙ্খিত বেচা বিক্রি হচ্ছে না। যে অবস্থা চলছে বাড়ি ফেরার টাকাটা তুলতে পারবো কিনা জানি না। ’
জার্সির মান ভালো না থাকলেও দেড়শ টাকা থেকে দু’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক একটি জার্সি। সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন দলের পতাকা।
এক সময়ের জৌলুসপূর্ণ আসর বিপিএল কেমন যেন রং হারিয়ে ফেলছে। এরই মধ্যে চার ম্যাচ শেষ হয়েছে চট্টগ্রামে। মাঠের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও মাঠে দর্শক খরা যেন পেয়ে বসেছে।
এদিকে চট্টগ্রামে বিপিএল’র টিকিট জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিটাক মোড় এবং এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সমানে বিক্রি করা হলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের তেমন কোনো ভিড় নেই কাউন্টার গুলোতে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) স্থান গুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি কাউন্টারে অলস বসে আছে টিকিট বিক্রেতারা।
টিকিট বিক্রেতারা জানান, গতবার যেভাবে টিকিট বিক্রি হয়েছিল, তার তিন ভাগের একভাগ টিকিটও বিক্রি হচ্ছে না। অন্যান্যবার অগ্রিম টিকেট নেয়ার জন্য যে লাইন থাকতো এবার ম্যাচের দিনের বেশিরভাগ টিকিটই অবিক্রিত অবস্থায় রয়ে যাচ্ছে।
গত ১১ ডিসেম্বর শুরু হয় বঙ্গবন্ধু বিপিএল। দু’দিন বিরতি দিয়ে ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয় চট্টগ্রাম পর্ব। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ২ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে খুলনা টাইগার্স।
এছাড়া টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে রাজশাহী রয়্যালস এবং কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। দু’দলই তিন ম্যাচের ২টি করে ম্যাচে জয় পেয়েছে। দু’দলের পয়েন্ট ৪। অন্যদিকে পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ঢাকা প্লাটুন, সিলেট থান্ডার, রংপুর রেঞ্জার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএম/এমআরপি/টিসি