এদিকে, প্রথম পর্বের আট ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এক নম্বরে ঢাকা প্লাটুনের লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। বেস্ট বোলিং ফিগারটাও তার দখলে।
টেবিলের শীর্ষে থাকা রাজশাহী খেলেছে দুই ম্যাচ। দুটিতেই জিতেছে আন্দ্রে রাসেলের দল, পয়েন্ট ৪। এক ম্যাচ বেশি খেলা মাশরাফি-তামিমদের ঢাকার পয়েন্টও ৪, অবস্থান দুইয়ে। তিন ম্যাচের দুটিতে জেতা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্টও ৪, অবস্থান তিন নম্বরে।
ঢাকা পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে খুলনা টাইগার্সের। চারে থাকা মুশফিকের দলটি ম্যাচটি জিতেছে। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স দুই ম্যাচের একটিতে জয় আর একটিতে হেরে অবস্থান করছে পাঁচ নম্বরে। এদিকে, সিলেট থান্ডার তিন ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি, তলানিতে থাকা রংপুর রেঞ্জার্স দুই ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি।
তিনটি করে ম্যাচ খেলে ইমরুল কায়েস এবং ওয়ালটন করেছেন সমান ১১৭ রান। সিলেটের মোহাম্মদ মিঠুন করেছেন ১১২ রান। ঢাকা প্লাটুনের ওপেনার তামিম ১১০, সিলেটের মোসাদ্দেক ১০৯, ঢাকার এনামুল হক বিজয় ১০০ রান করেছেন।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ঢাকা পর্ব শেষে এক নম্বরে সিলেটের মোহাম্মদ মিঠুন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে তিনি ৪৮ বলে চারটি চার আর ৫টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৮৪ রান। চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের মোহাম্মদ নাঈম ৫৪ বলে খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর তিনটি ছক্কার মার। অপরাজিত ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন কুমিল্লার দলপতি দাসুন শানাকা। রংপুরের বিপক্ষে মাত্র ৩১ বলে তিনটি চার আর ৯টি ছক্কায় শানাকা তার ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন।
সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় এক নম্বরে শানাকা (৯টি)। ৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে দুইয়ে ইমরুল কায়েস। ৬টি করে ছক্কা মেরেছেন চট্টগ্রামের আভিস্কা ফার্নান্দো এবং ওয়ালটন। ৫টি করে ছক্কা মেরেছেন খুলনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং সিলেটের মোহাম্মদ মিঠুন।
ঢাকা প্লাটুনের লঙ্কান তারকা থিসারা পেরেরা ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে আপাতত শীর্ষে। দুই ম্যাচ খেলে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন রাজশাহীর অলোক কাপালি, কুমিল্লার সৌম্য সরকার, রংপুরের লুইস গ্রেগরি। কুমিল্লার বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে ঢাকার পেরেরা ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় তুলে নেন ৫টি উইকেট। সেটাই এখন পর্যন্ত বেস্ট বোলিং ফিগার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমআরপি