ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু বিপিএল-২০১৯

তামিম-পেরেরা জেতালেন মাশরাফির ঢাকাকে

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
তামিম-পেরেরা জেতালেন মাশরাফির ঢাকাকে ছবি: শোয়েব মিথুন

চলমান বিপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হয় মাশরাফির ঢাকা প্লাটুন আর দাসুন শানাকার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। আগের ম্যাচে কুমিল্লা জিতলেও হেরেছিল ঢাকা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লাকে ২০ রানে হারিয়েছে তামিম-মাশরাফি-পেরেরা-আফ্রিদিদের নিয়ে সাজানো ঢাকা প্লাটুন।

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার দলপতি দাসুন শানাকা। মিরপুরে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফির ঢাকা নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮০ রান।

জবাবে, ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা তোলে ১৬০ রান।

ছবি: শোয়েব মিথুনরানে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন থিসারা পেরেরা। পরে বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার। বোলিং ইনিংসে ১৯তম ওভারে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ইনিংসের প্রথম বলেই মুজিব উর রহমান এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন ঢাকার ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে। শুরুতে ধীরস্থির খেললেও পরে খোলস ছেড়ে বের হন তামিম। ঢাকার এই বাঁহাতি ওপেনার খেলেন ৭৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তার ৫৩ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর ৪টি ছক্কার মার।

ছবি: শোয়েব মিথুনতিন নম্বরে নামা মেহেদি হাসান ১৭ বলে ১২ আর লরি ইভান্স ২৪ বলে করেন ২৩ রান। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি (৪)।

ব্যাটে ঝড় তোলেন লঙ্কান তারকা থিসারা পেরেরা। এর মধ্যেই ওয়াহাব রিয়াজ কোনো রান না করেই বিদায় নেন। মাশরাফি ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৫ বলে করেন ৯ রান। পেরেরা ১৭ বলে ৭টি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪২ রান।

ছবি: শোয়েব মিথুনকুমিল্লার দলপতি শানাকা ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করে নেন দুটি উইকেট। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে একটি উইকেট পান মুজিব উর রহমান। আল আমিন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আবু হায়দার ৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে একটি, সানজামুল ইসলাম ১ ওভারে ১৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। সৌম্য সরকার ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পান দুটি উইকেট।

১৮১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল কুমিল্লা। শুরুর ১৭ বলে দুই ওপেনার ভানুকা রাজাপাকশে আর ইয়াসির আলি তুলে নেন ৩২ রান। এরমধ্যে ১২ বলে তিনটি চার আর দুটি ছক্কায় ২৯ রান করেন রাজাপাকশে। ইয়াসির ফেরেন ৩ রানে।

তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকার ২৬ বলে ৫ চার আর এক ছক্কায় করেন ৩৫ রান। সাব্বির রহমান (৪) আর আগের ম্যাচের নায়ক কুমিল্লার দলপতি শানাকাকে পর পর দুই বলে ফিরিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নেন ঢাকার লঙ্কান তারকা পেরেরা।

ছবি: শোয়েব মিথুনমাঝে ডেভিড মালান চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৩৬ বলে ৪০ রান করার পর আর পারেননি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২৭ বলে এক বাউন্ডারি আর দুই ওভার বাউন্ডারিতে করেন ৩৭ রান।

ঢাকার শুভাগত হোম আর হাসান মাহমুদ কোনো উইকেট পাননি। শহিদ আফ্রিদি ৩ ওভারে ২৪ রান খরচায় উইকেট পাননি। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট পান মেহেদি হাসান। মাশরাফি ৩ ওভারে ২৭ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। পেরেরা ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে তুলে নেন ৫টি উইকেট। ওয়াহাব রিয়াজ ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় পান দুটি উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বঙ্গবন্ধু বিপিএল-২০১৯ এর সর্বশেষ

welcome-ad