টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার দলপতি দাসুন শানাকা। দলপতির ঝড়ো ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা তোলে ১৭৩ রান।
ইনিংসের প্রথম বলেই রংপুরের দলপতি মোহাম্মদ নবী বোল্ড করেন কুমিল্লার ওপেনার ইয়াসির আলিকে। আরেক ওপেনার রাজাপাকশে ১৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে করেন ১৫ রান। তিন নম্বরে নেমে সৌম্য সরকার ১৮ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় করেন ২৬ রান। ডেভিড মালান ২৩ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন।
১৭ বলে তিন বাউন্ডারিতে ১৯ রান করে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। মাঝে মাহিদুল ইসলাম ২, আবু হায়দার ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। একপ্রান্ত থেকে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন দলপতি শানাকা।
মাত্র ৩১ বলে তিনি করেন অপরাজিত ৭৫ রান। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর ৯টি ছক্কার মার।
শেষ ওভারে রংপুরের পেসার জুনায়েদ খানের ওভারে শানাকা তুলে নেন তিন ছক্কা আর একটি চার। তার আগের ওভারে মোস্তাফিজকে চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন শানাকা। শেষ ২ ওভারে কুমিল্লা তুলেছে ৪৯ রান।
রংপুরের পেসার মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৭ রানে নেন দুটি উইকেট। লুইস গ্রেগরি ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে পান দুটি উইকেট। সঞ্জিত সাহা ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় পান দুটি উইকেট। মোহাম্মদ নবী ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান। আর বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদ ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।
১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলার আভাস দিলেও ৮ বলে দুই ছক্কায় ১৩ রান করে বিদায় নেন রংপুরের ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ২৭ বলে করেন ১৭ রান। জহুরুল ইসলাম ৫, ফজলে মাহমুদ ১, লুইস গ্রেগরি ০ রানে সাজঘরে ফেরেন।
দলপতি মোহাম্মদ নবী ১০ বলে ১১ রান করলেও সঞ্জিত সাহা ০, তাসকিন ১ রান করেন। জুনায়েদ খান ৩, মোস্তাফিজ ৮* রান করেন।
কুমিল্লার হয়ে ৩ ওভারে ১৪ রানে তিনটি উইকেট পান আল আমিন হোসেন। এরমধ্যে একবার হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান আল আমিন। সৌম্য সরকার ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে দুটি আর সানজামুল ইসলাম ২ ওভারে ৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন। মুজীব উর রহমান ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে একটি আর আবু হায়দার রনি ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এমআরপি