ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি

খালেদার যুক্তিতর্কে ১ ঘণ্টা বিরতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
খালেদার যুক্তিতর্কে ১ ঘণ্টা বিরতি বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়া। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা:  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্কে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে শুরু হওয়া যুক্তিতর্ক একটানা প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা চলার পর এই বিরতি দেওয়া হয়। বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফের যুক্তিতর্ক শুরু হবে।



এদিনের যু্ক্তিতর্কে অংশ নিতে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া।

তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান দুদকের ১৩তম সাক্ষীর সাক্ষ্য খণ্ডানোর জন্য যুক্তি তুলে  যুক্তিতর্ক শুরু করেন।

এ সময় তিনি সোনালী ব্যাংকের কোনো ডকুমেন্ট আদালতে প্রদর্শিত হয়নি জানিয়ে কোনো সাক্ষী মূল ডকুমেন্টগুলো দেখেছেন এমন কোনো সাক্ষ্য দেয়নি মর্মে আদালতকে অবহিত করেন।

বিশেষ আদালতে পুলিশ প্রহরা।  ছবি: মবিনুল ইসলাম দুদকের পক্ষে আদালতে উপস্থিত আছেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অ্যাডভোকেট মীর আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন মানিক প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে আরো উপস্থিত আছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সেক্রেটারি মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, আব্দুস সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, খায়রুল কবীর খোকন, আফরোজা আব্বাস, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক চলছে

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এমআই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।