ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা

সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমলেও বেড়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৬শ’ ৮৯ কোটি টাকা। তিন মাস আগে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ছিল ২৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। বেড়েছে ২ হাজার ৩শ’ ১৫ কোটি টাকা।

ঢাকা: সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমলেও বেড়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৬শ’ ৮৯ কোটি টাকা।

তিন মাস আগে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ছিল ২৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। বেড়েছে ২ হাজার ৩শ’ ১৫ কোটি টাকা।

সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ও জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬শ ৬৭ কোটি টাকা কমলেও অগ্রণী, রূপালী, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৫শ ৪৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এ সময়ে খেলাপি হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

সরকারি ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১শ’ ২১ কোটি টাকা কমে হয়েছে ২৯ হাজার ৯শ’ ৫৬ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যাংক দুটির ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১শ’ ১৩ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ২৭০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৭শ’ ৬২ কোটি টাকা কমে ৮ হাজার ৫৬১ কোটি টাকায় নেমেছে। জনতা ব্যাংকের ৯শ’ ৫ কোটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।

এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৭শ ১৯ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৭১১ কোটি টাকা হয়েছে। রূপালীর খেলাপি ঋণ ৬শ ৬৮ কোটি বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ২৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকে (বিডিবিএল) ১শ ১৮ কোটি বেড়ে হয়েছে ৮৭৫ কোটি টাকা।   বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪১ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকায়।

সেপ্টেম্বরে নতুন করে প্রভিশন ঘাটতির তালিকায় যুক্ত হয়েছে বেসরকারিখাতের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। ব্যাংকটির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা।

ঘাটতির তালিকায় থাকা থেকে বের হতে না পারায় বেসিকের ঘাটতি তিন হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। সোনালী এক হাজার ২৮ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংক ৭৫৫ কোটি টাকা। বিশেষায়িত খাতের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ঘাটতি রয়েছে ১৯৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেসরকারিখাতের প্রভিশন প্রিমিয়ারে ২৫৫ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ২৫৩ কোটি ও ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৬৮ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে।

এদিকে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে ব্যাংক খাতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতিও সামান্য বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে পুরো ব্যাংক খাতে ৩৭ হাজার ২২৮ কোটি টাকা প্রভিশন রাখার প্রয়োজন ছিল। তবে ব্যাংকগুলো রাখতে পেরেছে ৩২ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা।

এতে সামগ্রিকভাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। মূলত কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মূলধন সংরক্ষণ করায় আট ব্যাংকের ঘাটতির তুলনায় ব্যাংক খাতে সামগ্রিক ঘাটতি কম রয়েছে। আগের প্রান্তিকে ৩৬ হাজার ১৮০ কোটি টাকা প্রয়োজনের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ৩১ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা সংরক্ষণ করেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।