ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

এটিএম কার্ড জালিয়াতির খবরে রূপালী ব্যাংকের ব্যাখ্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
এটিএম কার্ড জালিয়াতির খবরে রূপালী ব্যাংকের ব্যাখ্যা

একটি দৈনিক পত্রিকায় মঙ্গলবার (২৪মে) ‘রূপালী ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতি’ শীর্ষক শিরোনামে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয় জানিয়ে, ব্যাংকটির আইসিটি অপারেশন বিভাগ  প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ব্যাংকের পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, প্রকৃত সত্য হলো- রূপালী ব্যাংকের নিজস্ব ব্র্যান্ডের এটিএম সার্ভিস এখনও চালু হয়নি।

তবে রূপালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক কো ব্র্যান্ডেড এটিএম সার্ভিস একটি চুক্তির আওতায় গত ০১-০৮-২০১১ থেকে চালু হয়। এ চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক এটিএম মেশিন, এটিএম কার্ড, কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও মেশিনে ক্যাশ ফিডিংসহ সকল কারিগরী সেবা প্রদান করে এবং রূপালী ব্যাংকের বুথ ব্যবহার করে ব্র্যাক ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের গ্রাহকগণ এটিএম মেশিন হতে টাকা উত্তোলন করে থাকেন। রূপালী ব্যাংকের গ্রাহকগণ কার্ড ব্যবহার করে যে টাকা উত্তোলন করেন রূপালী ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাব থেকে তা ডেবিট হয়। উত্তোলিত টাকা রূপালী ব্যাংক ব্র্র্যাক ব্যাংকে পরিচালিত সেটেলম্যান্ট হিসাবে পূণর্ভরণ করে থাকে। সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক এটিএম লেনদেন সমূহ সমন্বয় প্রক্রিয়ায় সেটেলম্যান্ট হিসাবে প্রায় ৩.৯৭ কোটি টাকা অসমন্বিত আছে যা গ্রাহকদের হিসাবে ডেবিট না হওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংকের দাবি অনুযায়ী পূর্ণভরণ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি রূপালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ০৩-০৪-২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (বুয়েট) এর সিএসই বিভাগ কে প্রযুক্তিগত দিক থেকে তদন্ত করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে বুয়েটের রিপোর্ট পাওয়ার পরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের খবরটি যে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীণ ও অবান্তর।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
এসই/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।