ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলানিউজ স্পেশাল

বাগদাদে আসছে বিদ্রোহীরা, আটকেপড়া বাংলাদেশিরা আতঙ্কে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪
বাগদাদে আসছে বিদ্রোহীরা, আটকেপড়া বাংলাদেশিরা আতঙ্কে

ঢাকা: উত্তর থেকে বিদ্রোহীরা বাগদাদের দিকে আসছে। বাগদাদের ২৫/৩০ কিলোমিটার দূরে কারবালায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ চলছে।


আমরা আছি বাগদাদ থেকে দক্ষিণে। যেখানে আছি সেখানকার নিরাপত্তা অপ্রতুল। আতঙ্ক গ্রাস করছে আমাদের।

বাংলানিউজের সঙ্গে ফোনালাপে এভাবেই হাজার পাঁচেক বাংলাদেশির আতঙ্ক বর্ণনা করলেন লালন নামে এক ইরাক প্রবাসী বাংলাদেশি। বিসমিয়াহ নিউ সিটি হাউজিং প্রকল্পে (বিএনসিপি) কাজ করেন তিনি।

এর আগে এক ইমেইল বার্তায় ওই প্রকল্পের মানবসম্পদ (প্রশাসন) কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দুর্দশার কথা জানান।  
তারই সূত্র ধরে কয়েক দফা কথা হয় সেখানকার বাংলাদেশিদের সঙ্গে। ওই কারখানায় আটকেপড়া লালনের সঙ্গে যখন কথা হয় তখন বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে চারটা।

উদ্বিগ্ন কন্ঠে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ৫শ’ কি ৭শ’ কোরিয়ান আছে। তাদের দূতাবাস তৎপর।   যে কোন খারাপ পরিস্থিতি থেকে তাদের উদ্ধার করবে তাদের সরকার। অনেককে এরইমধ্যে তারা সরিয়েও নিয়েছে। কিন্তু আমাদের দূতাবাস বা সরকারের পক্ষ থেকে কোন খোঁজখবরও নেওয়া হয়নি। নিজেদের খুব অসহায় মনে হচ্ছে।

যে কোম্পানিতে তারা কাজ করেন তাদের বেতন হাতে দেওয়া হয় না জানিয়ে লালন বলেন,  আমাদের বেতন দেশে চলে যায়। হাত খরচের জন্য ৫০ ডলার করে দেওয়া হয় মাত্র। আর এ দেশও আমাদের পরিচিত নয়। তাই কারখানার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিদ্রোহীরা বাগদাদ দখল করে দক্ষিণে চলে এলে তাদের ঠেকানোর মতো নিরাপত্তাও এখানে নেই। আমরা সবাই তাই আতঙ্কে আছি।

এদিকে এরই মধ্যে ইরাকে জঙ্গি হামলা ও কয়েকটি শহর দখলের ঘটনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকির উদ্যোগ ও ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের অর্থায়নে সাউথ কোরিয়ান কোম্পানি হানুহা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল বিএনসিপি। সেখানে কোরিয়ান, ফিনল্যান্ড, ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশিরা কাজ করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই নিজেদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য প্রার্থনা করছেন সেখানকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা।  

একই সঙ্গে ১৫ জুন আরো যেসব বাংলাদেশির ইরাকে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের সেখানে যেতে নিষেধ করেছেন তারা।   ইউনিক ইস্টার্ন, ক্যারিয়ার ওভারসিস, রাজ ওভারসিস, ম্যানেজ পাওয়ার এই চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এসব বাংলাদেশির ইরাকে যাওয়ার কথা রয়েছে।

** ইরাকে পাঁচ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক বাঁচতে চায়

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলানিউজ স্পেশাল এর সর্বশেষ