ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

‘আ.লীগ দল হিসেবে অনুতপ্ত নয়, উল্টো মিথ্যা বলছে’

মিনহাজ চৌধুরী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫১, অক্টোবর ২২, ২০২৫
‘আ.লীগ দল হিসেবে অনুতপ্ত নয়, উল্টো মিথ্যা বলছে’ বাংলানিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজনীতিকদের মুখে ফাঁকে ফাঁকে প্রকাশ পাচ্ছে সংশয়।

এর মধ্যে আবার উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন— অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে কাজ করছেন। সব মিলিয়ে প্রশ্ন একটাই— জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার আসলে কতটা সফল? সংস্কারের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে তারা?

বাংলানিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এসব বিষয়সহ নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চিফ মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মিনহাজ চৌধুরী।  

বাংলানিউজ: দীর্ঘ সময় আপনি সাংবাদিকতা করেছেন। বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেছে, বিগত সরকারগুলোর সমালোচনা করেছেন। এখন সরকারের অংশ আপনি। সাংবাদিকতা নাকি ক্ষমতার অংশ, কোনটি চ্যালেঞ্জের?

শফিকুল আলম: একেকটির একেক রকম চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে শেখ হাসিনার আমলে সাংবাদিকতা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আপনি সত্যটা বলতে পারতেন না, ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলতে হতো। আমি এএফপিতে ছিলাম ২০ বছর, সেখানে এক ধরনের ইমিউনিটি পেতাম কিন্তু তাদের সহায়তা তো পাইনি। রিপোর্টগুলো করার সময় ভেবেচিন্তে করতে হয়েছে। এটি (প্রেস সচিবের দায়িত্ব) বেশি চ্যালেঞ্জিং, এটির ব্যাপ্তি অনেক বেশি। একটি ভুল শব্দ চয়েজ করবেন, পরের দিন সবাই আপনাকে গালাগালি করবে। প্রেস কনফারেন্সে লাইভ চলছে এমন সময় এডিট করার সুযোগ নেই। তখন যদি ভুল কোনো কথা বলা হয়, আপনি দেখুন, সেটার প্রভাবটা কী হতে পারে! 

বাংলানিউজ: ১৫ মাস পর কী মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার কি সফল? গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কি বাস্তবায়ন হয়েছে?

শফিকুল আলম: আমরা একদম কাছাকাছি এসে পৌঁছেছি। পুরোনো বাংলাদেশের যে ঘাটের চিত্র, আমরা সে ঘাটের কাছাকাছি আছি। আমরা ঘাটটা দেখতে পাচ্ছি। নৌকা কিছুদিন পর সেখানে ভিড়বে। অনেক মেঘ ছিল, এখন মেঘগুলো চলে গেছে। শরতের শুভ্র আকাশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করছি ভালো একটি নির্বাচন হবে। আমাদের ম্যান্ডেট ছিল সংস্কার করা। জুলাই-আগস্টসহ শেখ হাসিনার সময়ের গুম-খুনের বিচার করা। ভালো নির্বাচনের আয়োজন করা। দুটো কাজ আমরা প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আপনি জানেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। আশা করি নির্বাচনের কাজগুলো খুব দ্রুতই সম্পন্ন হবে, এবং জাতিকে আমরা একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারব।  

বাংলানিউজ: জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগের দিন আপনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, সবাই থাকবে। কিন্তু এনসিপি বলেছে, এর আইনি ভিত্তি নেই। গ্ণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে যারা ছিল, তাদের নিয়ে গড়া দল এনসিপি শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করেনি। এ ব্যাপারে কী বলবেন?

শফিকুল আলম: জুলাই সনদের ড্রাফটিং থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পুরোটা সময় তারা ছিল। তাদের অবদানকে আমরা স্যালুট করি। জুলাই-আগস্টে তাদের যে ত্যাগ ও নেতৃত্ব, পুরো জাতি তাদের মনে রাখবে। শেষ সময়ে আইনি ভিত্তিসহ কিছু বিষয়ে হয়তো তাদের প্রশ্ন উঠেছে। তবে তাদের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন জায়গা থেকে কথা হচ্ছে। ব্যাপারটা এমন না যে সেদিন স্বাক্ষর করেনি বলে সামনে আর হবে না।  

বাংলানিউজ: সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হতে দেখেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের পর প্রধান উপদেষ্টা দেশে আসার মুহূর্তে তার চারপাশে হাসনাত-সারজিসরা। কিন্তু জুলাই সনদে স্বাক্ষরের দিন চারপাশে তারা কেউই নেই। সরকারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব দেখা যাচ্ছে কিনা?

শফিকুল আলম: একটি ছবিতে তারা আগে ছিল নাকি এখন নেই, তা দিয়ে আসলে বাস্তবতা বিশ্লেষণ করা যায় না। জুলাই আন্দোলনে তো বিএনপি, জামায়াত ও বামদলগুলো সবাই ছিল। অবশ্যই জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল এই ছাত্ররা। আমরা স্বীকার করি, তাদের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আর শেষ সময় পর্যন্ত, যেদিন প্রধান উপদেষ্টা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভাষণ দিলেন, সেদিনও আখতার হোসেনসহ (এনসিপির সদস্য সচিব) তাদের নেতারা ছিলেন। তারা স্বাক্ষর করেনি কারণ তাদের কিছু পয়েন্ট আছে, যেগুলো সমাধান করা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমার মনে হয় এখানে দূরত্বের কিছু নেই। আমরা আশা করছি, এনসিপির ভাইবোনেরা স্বাক্ষর করবেন।  

বাংলানিউজ: এই সরকার কতটুকু ব্যবসায়ীবান্ধব হতে পেরেছে? বর্তমানে বিনিয়োগের পথ কতটা সুগম?

শফিকুল আলম: এই সরকার যথেষ্ট ব্যবসাবান্ধব। গত অর্থবছর যদি দেখেন, আমাদের এক্সপোর্টের গ্রোথ প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়, সেখানে ইকোনমি নিচের দিকে নেমে যায়, সাইজটা ছোট হয়ে যায়। সেখানে আমাদের চার ভাগ বেড়েছে। হয়তো অনেকের চেয়ে কম, কিন্তু আমরা এখানে পরিসংখ্যানে জালিয়াতি করিনি, যেটি শেখ হাসিনা প্রায়ই করত। ব্যবসায়ীদের অনেক বড় একটি অভিযোগ ছিল তারা বাজার থেকে ডলার কিনতে পারে না, এখন ডলারে সয়লাব হয়ে গেছে। ডলারের রেট নিয়েও এখন অভিযোগ নেই। ডলার ও টাকার এক্সচেঞ্জ রেটও এখন স্ট্যাবল, কিছু ক্ষেত্রে টাকার দাম বাড়ছে। গার্মেন্টস সেক্টরে যে ধরনের অস্থিরতা ছিল সেটি এখন নেই। তিন-চার হাজার ফ্যাক্টরির মধ্যে ৬-৭ টি ফ্যাক্টরিতে হয়তো আছে, এগুলো সব দেশেই হয়।  

বাংলানিউজ: যেহেতু আওয়ামী লীগের সময় হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক  অবস্থা কি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে?

শফিকুল আলম: অবশ্যই খুব ভালো অবস্থায় আছে। আপনি এ প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের করতে পারেন। ব্যবসায়ীরা আবারও বিনিয়োগ করছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য পারফেক্ট অবস্থায় আছে।  

বাংলানিউজ: গত এক সপ্তাহে তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন নেভাতে ৫-৬ ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে (সরকারের ভাষ্যে)। এটি কি ফায়ার সার্ভিসের ব্যর্থতা? এমন স্থানে অগ্নিকাণ্ড কি শুধু দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা?

শফিকুল আলম: এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা সেটার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটি তারা খতিয়ে দেখবে। সরকার হয়ে তো তদন্তের আগে আপনি খুব দ্রুত কিছু বলতে পারবেন না।  

বাংলানিউজ: তবে দেশের তদন্ত কমিটি নিয়ে সাধারণ মানুষের এক ধরনের অনাস্থা আছে কিনা?

শফিকুল আলম: প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই আছে, শুধু বাংলাদেশের জন্য না। অপমৃত্যু হলেও। পোস্টমর্টেম, ফরেনসিক যাবতীয় কার্যক্রম শেষে জানানো হয়। অনেকগুলো রেজাল্ট পাওয়ার পর একটি কারণ পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি আগুনের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগে। অনেক কিছু ভেবে এই ধরনের স্থানে আগুন নেভাতে হয়। আমরা মনে করি ফায়ার সার্ভিস যথেষ্ট পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা প্রতিটি ঘটনাকেই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।  

বাংলানিউজ: রাজনৈতিক মহলে উপদেষ্টাদের নিয়ে এক ধরনের অনাস্থা আছে কিনা? যেহেতু এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যিনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন, তিনি বলেছেন অনেক উপদেষ্টা ‘সেফ এক্সিট’ চাচ্ছেন, আসলেই কী উপদেষ্টারা ‘সেফ এক্সিট’ করবেন?

শফিকুল আলম: আমি জানি না ‘সেফ এক্সিট’ বলতে উনি কী বোঝান। উপদেষ্টারা যে দায়িত্ব নিয়েছেন, সেটা তারা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করে চলে যাবেন। এটাকে যদি উনি ‘সেফ এক্সিট’ বলেন… আমরা অবশ্যই চাইব সম্মানজনকভাবে এটা হোক। ওনারা এমন কিছু করেননি যেটির জন্য এমন করতে হবে। তারা সবাই বাংলাদেশি, বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। তারা যখন এই পজিশন ছেড়ে দেবেন, তারপরও দেশের জন্য কাজ করে যাবেন সারা জীবন।  

বাংলানিউজ: যদি অন্য কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বলতেন, তাহলে হয়তো এটা স্বাভাবিকভাবে নেওয়া হতো। তিনি যেহেতু উপদেষ্টামণ্ডলীর একজনই ছিলেন

শফিকুল আলম: আমি জানি না উনি কোন পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন। তবে আমরা মনে করি, গত ১৫ মাস আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর যে অবদান, সেটি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।  

বাংলানিউজ: জাতীয় নির্বাচনের আগে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কিনা?

শফিকুল আলম: না, আমরা দেখছি না। আমি তো শুনিনি এরকম কিছু। যদি পরে জানানো হয় সেটা পরের বিষয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি এটা জানি না।

বাংলানিউজ: রাজনৈতিক দলগুলো উপদেষ্টাদের নিয়ে অভিযোগ করছে যে কোনো কোনো উপদেষ্টা বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। জামায়াতের নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের তো বলেই দিয়েছেন, তার কাছে রেকর্ড আছে। এ ধরনের অভিযোগ কেন করা হচ্ছে?

শফিকুল আলম: রাজনীতিবিদেরা তো অনেক ধরনের কথাই বলেন। সবকিছু তো আমরা নিই না। ওনারা আসলে কী প্রেক্ষিতে বলেছেন, আমরা আসলে জানি না। আর আমরা মনে করি, যদি কারও কাছে কোনো প্রমাণ থাকে, আপনারা আনেন। আমরা তো মনে করি তারা গত ১৫ মাস তারা প্রশংসনীয় সেবা দিয়েছেন। দেশের ক্রান্তিকালে তারা হাল ধরেছিলেন। তারা যে দায়িত্ব পালন করেছেন, এটা জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।  

বাংলানিউজ: আমরা দেখেছি, এর আগে যেসব সরকারপ্রধান ছিলেন, তারা বিদেশ সফর শেষে দেশে এসে সংবাদ সম্মেলন করতেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর নিতেন। এখন যিনি সরকারপ্রধান, তাকে আমরা কখনো সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর নিতে দেখিনি। হয়তো একটু ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা ভবিষ্যতে কি এ ধরনের পরিস্থিতি দেখতে পারি?

শফিকুল আলম: আগে যিনি বিদেশে যেতেন, উনি কি ওখান থেকে প্রেস রিলিজ পাঠাতেন? দেখেছেন তেমন একটা? আমাদের এখনকার সরকারপ্রধান যখন যান, উনি যে কয়টা মিটিং করেন প্রত্যেকটার আমরা প্রেস রিলিজ পাঠাই। আপনি দেখেছেন প্রত্যেকটা ছবি, প্রত্যেকটা নিউজ, উনি কার সঙ্গে মিটিং করছেন, কী আলাপটা করছেন, কী ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে - সবই আপনারা জানতে পারেন। ফলে এসে আর সংবাদ সম্মেলন করার আসলে প্রয়োজন হয় না। তারপরও আমরা থাকি, সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেই, কথা বলি। যে যেই ধরনের কথা বলেন, আমরা প্রত্যেকটারই উত্তর দেই। ঢাকা কেন, পুরো বাংলাদেশের সবাই জানে, যে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আগের সরকারপ্রধান ২৫০ জন নিয়ে বিদেশে যেতেন। কী করতেন আমরা তো জানি।  

বাংলানিউজ: তারপরও, একজন সরকারপ্রধানকে সরাসরি প্রশ্ন করা...

শফিকুল আলম: না, সরকারপ্রধানের হয়ে আমরা কাজটা করছি তো। যে প্রশ্ন আসছে, সেটার কি উত্তর দেওয়া হচ্ছে না?

বাংলানিউজ: অবশ্যই।

শফিকুল আলম: যে প্রশ্নটা আপনি করছেন, এটা একদম সরকারপ্রধানের মুখ থেকেই শুনতে হবে? তার হয়ে তো প্রেস টিম আছে। তারা তো কথা বলছে। আমি তো কথা বলছি। আমার সহকর্মীরা কথা বলছেন। তারা সবাইকে জানাচ্ছেন—এই এই কথা হচ্ছে, আর আমরা প্রেস রিলিজও তো দিচ্ছি। গোপনীয় এমন কিছু না। উনি একটা দিনে বিদেশে যে কয়টা মিটিং করেন প্রত্যেকটার ছবি আসে। কিছু কিছুর ভিডিও দরকার হয়, ভিডিও আসে। এবং সাথে সাথে আমরা ওটার একটা বাংলা বা ইংরেজি প্রেস রিলিজ পাঠাই আপনাদের। আপনারা সে অনুযায়ী রিপোর্টও করেন।  

বাংলানিউজ: যেহেতু বিদেশ সফরের কথা আসছে, সে সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্ন করতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যে দেশগুলোতে সফরে যাচ্ছেন, সেখানে অনেকে আলোচনা করছেন যে— সেসব দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হচ্ছে না। এছাড়া একজন সরকারপ্রধান হিসেবে তাকে বিমানবন্দরে যেভাবে অভ্যর্থনা জানানোর কথা, সেটাও দেওয়া হচ্ছে না।

শফিকুল আলম: যারা এগুলো বলেন, তারা এই সফরগুলো সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। ফলে তারা এই অপতথ্য ছড়ান। যেমন, ইতালির যেই সফর ছিল, এটা আসলে বহুপক্ষীয় সফর। এফএওর (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা) সম্মেলনে উনি গিয়েছেন। এই সফরটা হচ্ছে এফএওর যেই প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের; ওই প্রোগ্রামে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) গিয়েছেন। এটা দ্বিপাক্ষিক না, এটা ইতালি সফর না। দ্বিপাক্ষিক হলে অবশ্যই প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে দেখা হতো। এফএওর যত প্রোগ্রাম এবং এফএও রিলেটেড যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে, ইফাদ ছিল, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ছিল। এদের সবার সঙ্গে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) দেখা করেছেন। যে রাষ্ট্রপ্রধানরা এফএও প্রোগ্রামে এসেছেন, তাদের সঙ্গে, (ব্রাজিলের) প্রেসিডেন্ট লুলার সঙ্গে উনি কথা বলেছেন। জিবুতির প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে উনি কথা বলেছেন। তাদের সঙ্গে উনার যথেষ্ট মিটিং হয়েছে। পুরো ফোকাসটা তো ওখানে ছিল। আর যদি দ্বিপাক্ষিক হয় ...যেমন চীনে দ্বিপাক্ষিক ছিল। চীনের মন্ত্রী এসে ওনাকে অভ্যর্থনা করেছেন। জাপান দ্বিপাক্ষিক ছিল। জাপানেও একই ঘটনা ঘটেছে। ওদের যে স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল, সেই অনুযায়ীই হয়েছে। এখন কথা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের কিছু তথাকথিত কিছু দোসর আছে। ওনাদের প্রাইম মিনিস্টার যে কী করছেন আপনারা দেখেছেন। উনি (শেখ হাসিনা) ২৫০ জন নিয়ে যেতেন। দুদিন সফর থাকলে আরও ১০ দিন থাকতেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাইভেট সিকিউরিটি ফোর্সকে নিয়োগ করা হতো তাকে প্রটেকশন দেওয়ার জন্য। খবর নিয়ে দেখেন যে কত মিলিয়নস অফ ডলারস খরচ হতো। তখন তো কেউ প্রশ্ন করেনি...এখন ওরা এসব প্রশ্ন করে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ১৪টার মতো সফর করেছেন। প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশে... পুরা পৃথিবী জুড়ে যদি আপনি দেখেন, রাষ্ট্রপ্রধানরাই পররাষ্ট্রনীতি লিড করেন। আর আমাদের তো বিপ্লবোত্তর একটা দেশ। বিপ্লবোত্তর দেশে বৈশ্বিক সহায়তা লাগে। প্রতিটা সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

বাংলানিউজ: অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর...দীর্ঘ সময় পর বলা যায় যে— সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ আনা হলো। তো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হলো, সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা?

শফিকুল আলম: নো, নো। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) যাদের যেসব বিষয়ে সন্দেহভাজন মনে করছেন, তাদের বিষয়ে তারা তদন্ত করছেন।  

বাংলানিউজ: তবুও আপনি জানেন যে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে, বিশেষ করে কিছুদিন পরপরই একটি ক্যু (জল্পনা-কল্পনা)...

শফিকুল আলম: এটা ডেলিভারি করছে আওয়ামী লীগের দোসররা, প্রো-আওয়ামী লীগ, তথাকথিত সিনিয়র সাংবাদিকেরা এইগুলো করে। আর ওনারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পেয়ে গেছেন।

বাংলানিউজ: এ ধরনের ক্যু-এর আশঙ্কা আছে কিনা?

শফিকুল আলম: কেন ক্যু? আমাদের মিলিটারি হচ্ছে রাষ্ট্রের একটা অঙ্গ। তারা তাদের কাজ করছে।  

বাংলানিউজ: আমরা দেখেছি যে বিগত সরকারগুলোতে ডিজিএফএই ভিন্ন মতাদর্শী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হেনস্তার মধ্যে রাখা, চাপ সৃষ্টি করা এবং মিডিয়াগুলোতে চাপ সৃষ্টি করা, সংবাদ সরিয়ে ফেলা—বিভিন্ন ধরনের চাপ দিত। এখন কী পরিস্থিতি? এখন কি সরকারপ্রধানকে তারা ঠিকভাবে রিপোর্ট দিচ্ছে? ডিজিএফআই কি আগের মতই আছে, নাকি তাদের পরিবর্তন হয়েছে?

শফিকুল আলম: না আমাদের এই গভর্নমেন্টের সময় ডিজিএফআই সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার রক্ষা করে এবং তারা আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের যেটা কাজ, ম্যান্ডেট অনুযায়ী সেই কাজটা তারা করছেন। খুব ভালোভাবে করছেন।  

বাংলানিউজ: নির্বাচন কমিশনকে বিএনপি, জামায়াত ও উপদেষ্টারা নিজেদের মতো ভাগ করে ফেলেছেন—সম্প্রতি এনসিপির পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হয়েছে। এনসিপি বলছে, শাপলা প্রতীক ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে যে এটি দেওয়ার সুযোগ নেই। ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে যেহেতু নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, তাদের (এনসিপি) প্রতীক পাওয়া না পাওয়া কি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে?

শফিকুল আলম: না। আমাদের নির্বাচন ঠিক সময়ে হয়ে যাবে। এগুলো খুবই ক্ষুদ্র বিষয়। সময়মতোই সব সমাধান হবে।  

বাংলানিউজ: আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দল হিসেবে কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না?

শফিকুল আলম: সঙ্গত কারণেই এটা হয়েছে। আপনারা তো দেখেছেন, অনেক অডিও বের হয়েছে, কীভাবে তাদের লিডার খুনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, খুনের নির্দেশ দিয়েছেন। আবার একই সঙ্গে তাদের দলের কর্মীরা সেই খুনে জড়িত ছিল। যথেষ্ট, অনেক ধরনের ফুটেজ আছে, তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে বেরিয়েছিল। তারপরও পুরো দল হিসেবে তারা তো অনুতপ্ত না। তারা আরও মিথ্যা কথা বানাচ্ছে। ওরা বানাচ্ছে যে তিন হাজার পুলিশ খুন করা হয়েছে। তারা যে খুন করেছে, সেই খুনটাকে তারা জাস্টিফাই করার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে, ভয়াবহ রকমের। এবং তারপর তারা হুমকি দিচ্ছে। তাদের লিডারের মেসেজ, ভিডিও যেগুলো বের হয়, বা অডিওতে দেখবেন, ওইখান থেকে তিনি আরও খুন করার নির্দেশ দিচ্ছেন…দেখে নেবেন যে কে কী করছে। কত বড় গণহত্যাকারী। বাংলাদেশে এর চেয়ে বড় কসাই আসে নাই। কিন্তু তাদের মধ্যে অনুতাপ তো নাই।  

বাংলানিউজ: তাহলে তাদের রাজনীতিতে ফেরার পথটা কী?

শফিকুল আলম: আমরা জানি না। এটা তাদেরই বের করতে হবে, তাদেরই ভাবতে হবে। পৃথিবীতে কেউই খুনিদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আনে না। নিজেরটা নিজের চিন্তা করতে হবে যে কীভাবে আপনি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরবেন। আর রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রথম শর্ত হলো, আপনি যে ভুলগুলো করেছিলেন, যে অন্যায়গুলো করেছিলেন, সেগুলোর দায় স্বীকার করা। জানানো যে এটা আমার ভুল হয়েছে। এবং যারা যারা ভুল করেছে, তাদের সরিয়ে আপনি এগিয়ে নেন। কিন্তু এখন তো সামনে নির্বাচন, ইট’স টু লেইট। হয়তো বা সামনে যখন নতুন সরকার আসবে, তারা ওটা নিয়ে ভাববে।

বাংলানিউজ: তাহলে তারা কি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না?

শফিকুল আলম: নির্বাচন কমিশনার তো স্পষ্ট বললেন। আর এখন পর্যন্ত শুনেছেন যে তারা অনুতপ্ত? তাহলে এত এত ছেলেমেয়ে যে মারা গেল জুলাই-আগস্টে, তারও আগে ৩-৪ হাজার লোক যে গুম হলো, আরও আড়াই তিন হাজার লোক যে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হলো, কারা করল এসব? আর চুরি তো…এরকম চুরি শুধু বাংলাদেশে কেন, গোটা এশিয়ার ইতিহাসে এরকম চুরির গল্প শুনেছেন? এমনকি ফিলিপাইনে মার্কোসের (দুর্নীতির জন্য কুখ্যাত স্বৈরশাসক) সময়ও এরকম চুরি হয়নি। ২৩৪ বিলিয়ন আমার-আপনার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো লুট করতে আওয়ামী লীগের লিডারশিপ একদম নেতৃত্ব দিয়েছে। কই, এগুলো নিয়েও তো তাদের কোনো ‘স্যরি’ নেই। এখন আমাদের কত হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে আবার স্বাস্থ্যকর জায়গায় নিয়ে আসতে। এটা নিয়ে আমাদের গভর্নর কত কষ্ট করছেন। ইনশাল্লাহ, আমরা ঠিক পথেই যাচ্ছি।

বাংলানিউজ: আপনি কি কখনও রাজনীতিতে ফিরবেন?

শফিকুল আলম: না না, আমি সাংবাদিকতায় ফিরব, বা ঘরে বসে থাকব। যা-ই হোক, রাজনীতি না। মানুষ অনেক ধরনের প্রত্যাশা করে, সেসব পূরণ করা কঠিন কাজ। আর বাংলাদেশে যেটা একজন রাজনীতিবিদের করার কথা না, সেটাও তার ওপর এসে পড়ে। আপনার কাছে আপনার এলাকার লোকেরা আসবে, চাকরি চাইবে, প্রমোশন চাইবে, চাইবে আপনি তাকে ব্যাংকের লোন এনে দেন, তাকে আপনি সাপোর্ট করেন। আপনার পার্টির লোকের ক্রাইমকেও নাকি সাপোর্ট করতে হবে, এমন অবস্থা হয়। এই কাজটা আমার না, স্যরি। অধ্যাপক ইউনূস আমাকে একটা পদে নিয়োগ করেছিলেন। তার প্রশাসনে কাজ করে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করি। সারা জীবন এই গর্ব নিয়েই থাকতে চাই।

বাংলানিউজ: পরবর্তী সরকার থেকেও যদি আপনাকে অফার দেওয়া হয়?

শফিকুল আলম: না, স্যরি।

বাংলানিউজ: আপনি যেহেতু সাংবাদিকতায় ফিরবেন, সেটা কি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে, নাকি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম? আগের সংবাদমাধ্যমে ফিরবেন কিনা?

শফিকুল আলম: আগের সংবাদমাধ্যমে তো ফেরার উপায় নেই, সেখানে তো পদত্যাগ করে এসেছি। দেখি, কে নেয়।

বাংলানিউজ: সম্প্রতি চালু হওয়া একটি সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকা স্ট্রিম’-এ আপনি যুক্ত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। সেটা কি সত্যি কিনা?

শফিকুল আলম: না। আমি তো ওদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলাপই করিনি। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে নির্বাচন, দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর হয়ে যাবে - এরপর হয়তো আমাকে ফেসবুকেও দেখবেন না। আমার বিশ্রাম দরকার, তারপর চাকরি খুঁজব। অন্তত চেষ্টা করব একটা ভালো পজিশনে কোথাও যেতে। লেখালেখি করতে খুব ইচ্ছা করে, এটা আমার খুব পছন্দের জিনিস।

বাংলানিউজ: শেষ প্রশ্ন। অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানসহ সবাই, আপনিও বারবার বলছিলেন যে ফেব্রুয়ারি ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে, এবং এটি বাংলাদেশে সর্বকালের সেরা নির্বাচন হবে। এত নিশ্চিতভাবে কীভাবে বলছেন?

শফিকুল আলম: এত কনফিডেন্সের কারণ হচ্ছে…জাতি আসলে এখন এই নির্বাচনটার দিকে মুখিয়ে আছে। এটা একটা ভালো নির্বাচন হবে বলে তারা বিশ্বাস করে। বাংলাদেশে নির্বাচন কখন খারাপ হয়? যখন সরকার সেখানে ‘রিগিং’ করে। কিন্তু সরকার তো এখানে নিরপেক্ষ। সরকার কারো পক্ষে কাজ করবে না, সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রাখবে। নির্বাচন কমিশনও তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রাখার জন্য। আপনি ভালোভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন, এবং জনগণ এই পুরো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। নির্বাচনের আগে থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যত সিকিউরিটি দরকার, নির্বাচনের পর যদি সহিংসতা হয় – সেটাকে সামনে রেখে যত ধরনের সিকিউরিটি দরকার, আমরা তো সবই নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নব্বই হাজার থেকে এক লক্ষ শুধু সেনাসদস্য থাকবেন। অন্যান্য সময় আমাদের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজারের বেশি সেনাসদস্য কখনোই ছিল না। এবার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে আমাদের সাড়ে আট লক্ষের মত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। আমি তো আশা করছি, আমরা যদি নিরপেক্ষ থাকি, নিরাপত্তা যদি নিশ্চিত করতে পারি, কমিউনিটি পার্টিসিপেশন যদি খুব ভালোমত থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি খুব ভালোমত তাদের তৃণমূলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা হবে সুন্দরতম নির্বাচন। এর চেয়ে ভালো নির্বাচন আমি মনে করি না বাংলাদেশে এর আগে হয়েছে। আমরা সেজন্য আশা করছি, সে অনুযায়ী প্রতিনিয়ত কাজ হচ্ছে। আজকে নির্বাচন কমিশন মিটিং করে তো কাল প্রধান উপদেষ্টার অফিস মিটিং করে, পরশু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিটিং করে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, খুব ভালো নির্বাচন হবে। চারটা ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলো - ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু – একটাও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। দুয়েকটা অভিযোগ এসেছে, কিন্তু এগুলো তেমন কিছুই না। কিন্তু একটাও সহিংসতার খবর কি এসেছে? আগে তো ডাকসু রাকসুতে কত ধরনের সহিংসতার ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। এখন দেখেন, চারটা নির্বাচন হলো, কত সুন্দরভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। আমরা মনে করি যে এটাই একটা ইঙ্গিত যে পুরো জাতি একটা ভালো নির্বাচন চায়। আর এটা আপনারা দেখবেন, আমরা আশা করছি।

এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।