ঢাকা, শনিবার, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

রক্তের অক্ষরে লেখা এক কলঙ্কময় দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২১, জুলাই ১৯, ২০২৫
রক্তের অক্ষরে লেখা এক কলঙ্কময় দিন

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই। দিনটি ছিল শুক্রবার।

পবিত্র জুমাবারের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা এক কলঙ্কময় দিন, যা ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কিত কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি উত্থাপন করতে গিয়ে এই দিন নির্বিচারে আক্রমণের শিকার হয়।

একইদিন নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় দুপরের পর বাসার ছাদে খেলতে যায় সাড়ে ছয় বছর বয়সী রিয়া গোপ। সেখানে একটি বুলেট এসে বিদ্ধ হয় মাথায়। মুহূর্তেই ছোট্ট দেহটি ঢলে পড়ে। শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হওয়া রিয়া গোপ বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। একইভাবে মিরপুরে ১১ বছর বয়সী শাফকাতও বাসায় থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধি হয়ে মারা যায়।

গত বছরের জুলাই আন্দোলনের নৃশংস ঘটনাগুলোর সঙ্গে ১৯ জুলাইয়ের এসব ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ তিনজনেরর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে। যে মামলায় আসামি করা হয়েছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। যদিও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ইতোমধ্যে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

ফরমাল চার্জ মোট ১৩৫ পৃষ্ঠার। এই ফরমাল চার্জ আদালতে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মো. আব্দুস সোবহান তরফদার, মো. মিজানুল ইসলাম। যেটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

আদালতের নথি ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শাসক দলের নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের নৃশংস আক্রমণে অনেক নিরীহ, নিরপরাধ, শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ শহীদ এবং আহত হন।

নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ও বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী সমাবেশ কর্মসূচির প্রেক্ষিতে বিভিন্নস্থানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক দলের সমাবেশে পুলিশ বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সহিংস হামলা এক ভয়াবহ রূপ নেয়। জনতার ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও তাদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি করা হলে সারা দেশে অনেক মানুষ প্রাণ হারান এবং হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আহত হন। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেয়, ৯ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত দেশব্যাপী শাটডাউন চলবে।

এদিন ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, বসিলা ব্রিজে সকাল ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীদের জমায়েত শুরু হয় এবং জুমার নামাজের পর নূরজাহান রোড, তাজমহল রোড, শিয়া মসজিদ ও সলিমুল্লাহ রোড থেকে হাজারো মানুষ মিছিল নিয়ে রওনা হলে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অলি-গলিতে ঢুকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে হামলা ও গুলি করতে থাকে। এ সময় পুলিশের গুলিতে মোহাম্মাদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান সৈকত (২০) শহীদ হন এবং আরও অনেকে আহত হন। সৈকতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করতে থাকলে বিক্ষোভরত সাধারণ নিরীহ নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ নির্বিচারে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছুড়তে থাকে।

এ ছাড়াও রাজধানীর রামপুরা, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, মহাখালী, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।  রাজধানীর কাকরাইল মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড়, মৌচাক, বায়তুল মোকাররম, মালিবাগ, নিউমার্কেট, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা, মিরপুর, নীলক্ষেত, পুরান ঢাকা ও যাত্রাবাড়ীসহ অন্তত ২৫টি এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশের নিক্ষেপকৃত টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও রাইফেলের গুলিতে কমপক্ষে ৪৪ জন শহীদ ও অসংখ্য আহত হন।

রাজধানীর পাশে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সাভার, আশুলিয়া ও বাইপাইল এলাকায় ঢাকা-১৯ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে বহু শিক্ষার্থী আহত হন।

ঢামেকে প্রতিটি মিনিটে ঢোকে অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসায় বাধা
কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সরকার দলীয় সশস্ত্র ছাত্রলীগের দ্বারা সংঘটিত নৃশংস সহিংসতার পরিণতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা আহত ও নিহতদের স্বজনদের আহাজারি ও কান্নায় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শত শত বিক্ষোভকারী ও নিরীহ পথচারী হাসপাতালে আসেন। আহতদের অনেকের মাথা, বুক ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে গুলিবিদ্ধ ছিল। যাদের মধ্যে শিশু, নারী ও বৃদ্ধাও ছিলেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতি মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা ও অটোরিকশা যোগে আহত এবং নিহতদের নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন আহত অবস্থায় আসে, যার মধ্যে ৫০ জনকে ভর্তি করা হয় এবং ১৯ জনের মৃত্যু হয়। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়েও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক ও লাঠি হাতে হাসপাতালের আশপাশে মহড়া দেয় এবং জরুরি বিভাগে ঢুকে আহতদের ওপরে হামলা চালায়। ফলে হাসপাতালের অভ্যন্তরে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি
রংপুরে কাঁচারি বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং বিকেলে পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে পথচারী মানিক মিয়া শহীদ হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে সর্বস্তরের মানুষ রাজপথে নেমে আসে। নরসিংদীর মাধবদীতে মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক নিজ কার্যালয় থেকে গুলি ছুড়ে শাওন আহমেদ (১৮) নামে এক নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে হত্যা করে। এ ছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফয়েজ মিয়া (৪৫) নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে। বগুড়া জেলা শহরের সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় পুলিশের গুলিতে সিয়াম নামের এক কিশোর শহীদ হয়। একইভাবে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও হামলায় রংপুরে তিনজন, মাদারীপুরে দুইজন এবং ময়মনসিংহ, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কক্সবাজার ও নরসিংদীতে একজন করে শহীদ হন এবং কয়েক হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষ আহত হন।

ওবায়দুল কাদেরের ঔদ্ধত্য
এদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত ওবায়দুল কাদের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনকারীরা সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। এর পাশাপাশি তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা স্মরণ করিয়ে দেন। এ ছাড়া দেশের নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের দোসরদের চালানো হত্যাযজ্ঞ বহির্বিশ্ব থেকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অভিযুক্ত জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধের মাধ্যমে বহির্বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। তবে সরকারের তরফ থেকে আন্দোলনকারীরা ইন্টারনেট ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দেওয়ার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে এবং দেশব্যাপী পরিচালিত নারকীয় হত্যাকাণ্ড বিশ্ববাসীর কাছে আড়াল করার অপপ্রয়াস চালায়।

মিরপুরে ঘরে থাকা শিশু শাফকাত গুলিবিদ্ধ
রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল থানার সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিচারে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এই আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু থেকে কিছুটা দূরে, একটি দোতলা বাড়ির ঘরে প্রাণ হারায় স্থানীয় জামিউল মাদ্রাসার ছাত্র ১১ বছর বয়সী শিশু সাফকাত সামির। সন্ধ্যায় যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছিল, তার বিষাক্ত ধোঁয়া ঢুকে পড়ে সামিরদের ঘরে। জানালা বন্ধ করতে গেলে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া একটি গুলি এসে সামিরের চোখ ভেদ করে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার সঙ্গে একই ঘরে থাকা চাচা মশিউর রহমানও গুলিবিদ্ধ হন, যার ডান কাঁধে ১৪টি সেলাই দিতে হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সামির ও তার চাচাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর-১৪ এর মার্কস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিরকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার যখন বিচার ও অভিযোগের জন্য থানায় যায়, তখনই সামনে আরেকটি ভয়াবহ চিত্রের অবতারণা হয়। আইনের সহায়তা পাওয়ার পরিবর্তে পরিবারকে বাধ্য করা হয় মুচলেকা দিয়ে লাশ নিয়ে যেতে। কাফরুল থানার পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা পরিবারকে আইনের আশ্রয় না নিয়ে দ্রুত দাফনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। চাপ এতটাই প্রবল ছিল যে, সন্তান হারানোর বেদনায় স্তব্ধ বাবা সাকিবুর রহমান মামলায় না গিয়ে যেনতেনভাবে সন্তানকে দাফন করতে বাধ্য হন।

বগুড়ায় ১৬ বছরের কিশোর নিহত
বগুড়ার কালের বাজার এলাকায় গুলিতে প্রাণ হারায় মাত্র ১৬ বছরের এক কিশোর সিয়াম। যার জীবন থেমে যায় টহলরত পুলিশ ও বিজিবির যৌথ বাহিনীর গুলির আঘাতে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা যখন ন্যায়বিচার ও সমতার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে স্লোগান দিচ্ছিল, তখন এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আসা বাহিনী সরাসরি গুলি চালায়। এতে সিয়াম সারা শরীরে গুলিবিদ্ধ হয় ও তার চোখ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার ভেতর প্রবেশ করে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, শরীরে শতাধিক ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

তিন আসামি শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের উসকানি, প্ররোচনা, উৎসাহ, সহায়তা সর্বপরি অধঃস্তনদের নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এদিনের ঘটনাসহ জুলাই আন্দোলনের পুরো ঘটনায় যৌথ দায় হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিবন্ধন (১২৭ নং) করা হয়। ওই অভিযোগের প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপপরিচালক মো. আলমগীর (পিপিএম)। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনার মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় আগামী ৩ আগস্ট সূচনা বক্তব্য এবং ৪ আগস্ট প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।

৫ আগস্টের পর ট্রাইব্যুনালে গত ২৫ জুন পর্যন্ত ২৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৩ জনকে। কারাগারে মৃত্যু হয়েছে এক আসামির।

ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।