ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা আনা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা আনা হবে হাছান মাহমুদ

ঢাকা: ‘অনুমোদনহীন টিআরপি (টেলিভিশন রেটিং পয়েন্টস) সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা অবশ্যই আনতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে টিআরপি নির্ধারণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। আমরা এখানে একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসবো এবং যারা অনুমোদন ছাড়া যারা এ কাজটি করে আসছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

সোমবার (২২ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন কে কাকে টিআরপি দেয়, সেটি আমাদের জানা নেই। টিআরপি যারা করছেন তারা কোথা থেকে অনুমতি নিয়েছেন, কে তাদেরকে লাইসেন্স দিয়েছেন, সেটি অনেকের প্রশ্ন। আমরা জানতে পেরেছি, যে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলো টিআরপি নির্ধারণ করে, সেখানেও অশুভ, অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এজন্য সরকার ভারত, শ্রীলংকা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে টিআরপি কিভাবে নির্ধারণ হয় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো), ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার এবং অন্যান্য অংশীজন যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এখানে অবশ্যই খুব সহসা একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসবো। কোনো অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান কোনো টেলিভিশন কে কত বেশি দেখে, সেটি বলার বৈধ কোনো এখতিয়ার রাখে না।

অবৈধ ও অনৈতিক ওয়েবসিরিজ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েবসিরিজ, সিনেমা বা যেকোনো কিছু নির্মাণ ও প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। আমাদের একটি কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি আছে, আমাদের সমাজের একটি মূল্যবোধ আছে। এটি অনেক সময় অনেকে মাথায় রাখেন না। বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে এই দোহাই দিয়ে আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে কোনো কিছু করা কখনোই সমীচীন নয়। আইনানুযায়ীও সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রণীত এ সংক্রান্ত আইনানুযায়ী এ ধরনের অশ্লীলতা প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব সার্ভিস প্রোভাইডার এ ধরনের ওয়েজসিরিজ প্রচার করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের এ কাজের জন্য আদৌ কোনো লাইসেন্স আছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে এই অবৈধ কাজের জন্য অবশ্যই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর লাইসেন্স থাকলেও তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে এ ধরনের অশ্লীল জিনিস প্রচার করাও দণ্ডনীয় অপরাধ। সে বিষয়েও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।