ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

চাল আত্মসাৎ, খুলনায় আ’লীগ নেতার ডিলারশিপ বাতিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২০
চাল আত্মসাৎ, খুলনায় আ’লীগ নেতার ডিলারশিপ বাতিল

খুলনা: খুলনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের দায়ে সরদার মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। তিনি চার বছর ধরে রূপসার ১৪ টি পরিবারের নামে কার্ড তৈরি করে চাল আত্মসাৎ করছিলেন। যা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার (১ জুন) দুপুরে রূপসা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কমিটির সভায় তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাসেম ডাবলুর আপন ভাই।

বর্তমানে ডিলার মিজানুর রহমান পলাতক আছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ২৩ মে ‘৪ বছর ধরে ১৪ পরিবারের চাল আত্মসাৎ করছেন আ’লীগ নেতা!’ এ শিরোনামে বাংলানিউজে সরদার মিজানুর রহমানের চাল আত্মসাতের সংবাদ প্রচার হয়।

রূপসা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরদার মিজানুর রহমান শ্রীফলতলা ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ কর্মসূচির ডিলার। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ১৪ পরিবারের নামে কার্ড তৈরি করে চাল আত্মসাৎ আসছেন। নাম থাকা সত্ত্বেও চাল না পাওয়া ওই ১৪ ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের শাহিদ শেখ, সেলিম শেখ, আনিচুর রহমান, সাইদুর রহমান, খালেদা বেগম, জাহিদ মুন্সি, মুকুল শেখ, কামাল শেখ, রফিকুল শেখ, মমতাজ, নাসিম হাওলাদার, ওলিয়র হাসান, আসলাম খাঁ ও ফারুক হাওলাদার।

ভুক্তভোগিরা জানান, তাদের নাম, ছবি ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। তবে তাদের নামে কার্ড হয়েছে কিনা তা জানেন না। তারা কখনও ১০ টাকা মূল্যের এ চাল উত্তোলন করেননি।

রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, আমি এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। এসময়ে আমার সঙ্গে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছিলেন। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে তাদের এ চাল দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি তারা জানেনও না যে তাদের নামে কার্ড আছে। ডিলার সরদার মিজানুর রহমান যে তাদের চাল আত্মসাৎ করেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে জেলা প্রশাসকে অবগত করেছিলাম। সোমবার উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সভায় তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। এছাড়া তার জামানত ২০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ১৪ টি পরিবারের এ যাবৎ কালের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তা আদায় করা হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে শ্রীফলতলা ইউনিয়নে নতুন ডিলার নিয়োগ করা হবে।

তিনি আরও  বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার সুপারিশ করা হয়নি। তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এমআরএম/এনটি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।