ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘লিটনকে মারতে বারবার ওর ওপর হামলা হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৭
‘লিটনকে মারতে বারবার ওর ওপর হামলা হয়েছে’

ঢাকা: গাইবান্ধার ক্ষমতাসীন দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ওর ওপর বারবার হামলা হয়েছে। মাঝে একটা ঘটনা ঘটার পর তার কাছ থেকে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সে আতঙ্কে থাকতো সবসময়, কখন তার ওপর হামলা হয়। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো, তাকে হত্যা করা হলো।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর নামে তারা আন্দোলন ডেকে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।

সেসময় তিনি (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) ঘোষণা দেন, তিনি নাকি সরকার উৎখাত না করে ঘরে ফিরবেন না। লোকজন লেলিয়ে দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেন।  

“সারাদেশে তাণ্ডব শুরু হয়। আন্দোলনের নামে সারাদেশেই এভাবে আগুনে মানুষ পোড়ানো হয়। আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে, প্রকৌশলী হত্যা করেছে। ”

তিনি লিটন হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, ওই আন্দোলনের মধ্যে জামায়াত অনেক নাশকতা করতে চেয়েছিল। লিটন তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে একাত্ম করেছিল। সেজন্য তার ওপর জামায়াতের ক্ষোভ ছিল। মাঝে একটা ঘটলো। একটা শিশুর গায়ে গুলি লাগলো। সেটাকে ইনিয়ে-বিনিয়ে এমনভাবে লেখা হলো, আসলে কী ঘটলো, সেটা কেউ লিখলো না।  

“তাকে মারতে গিয়েছিল একদল, সেসময় সে আত্মরক্ষা করতে চাইলে ওই শিশুর গায়ে গুলি লাগে। কিন্তু তারপর তার নামে মামলা হয়, ওর কাছ থেকে লাইসেন্স করা অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সে আতঙ্কে ছিল আবার কখন তার ওপর হামলা হয়, ঠিকই তার ওপর হামলা হলো, তাকে হত্যা করা হলো। সে (লিটন) স্বাধীনতার পক্ষের বলেই জীবন দিতে হলো। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এবং জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ছিল বলেই এমনটা হলো। ”

প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমি জানি না, ওদের আর কী লক্ষ্য আছে। আন্দোলন করে সরকার উৎখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন গুপ্তহত্যা শুরু করেছে। এটাই তাদের চরিত্র।  এরাই তো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। খুনি-অপরাধীর সাথী খালেদা জিয়া। তিনি অন্যায় করেনও, অন্যায় প্রশ্রয়ও দেন।

এসময় আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালেও সে দলের অনেক এমপি-নেতাকে হত্যার চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, গাজীপুরের সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড ও গ্রেনেড হামলার কথাও।

এমপি লিটন হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি আবারও বলেন, হত্যাকাণ্ডটি কখনোই মেনে নিতে পারি না। রংপুর বিভাগের ৫ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে একটাই কথা বলেছি- জঙ্গিবাদ দমন করতে হবে। সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬/আপডেট ১৯০১ ঘণ্টা/আপডেট ১৯১১ ঘণ্টা
এমইউএম/আইএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।