ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অস্ট্রেলিয়া

মানবতার জননী শেখ হাসিনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৭
মানবতার জননী শেখ হাসিনা আলোচনা সভায় বক্তারা/ছবি: বাংলানিউজ

‘শেখ হাসিনা: মাদার অব হিউম্যানিটি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি। সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের মানুষের মানবিক আচরণের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বক্তারা।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭) সন্ধ্যায় সিডনির রকডেলের কস্তূরী রেস্তোরাঁয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে মাদারীপুর-১ আসনের সাংসদ নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল আলম শাহজাদার সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, কাউন্সিলর হুদা বাবু, কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু, লেখক, কলামিস্ট ড. শাখাওয়াৎ নয়ন, আওয়ামী লীগ নেতা আলী সিকদার, মেহেদী হাসান কচি, রিজভী আহমেদ শাওন, দিদার হোসেন, রবিন, খুশবু, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।    

রোহিঙ্গা নেতা আনোয়ার হোসেন শেখ হাসিনার প্রতি তথা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। ভাঙা ভাঙা বাংলায় তিনি বলেন, আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের মানুষ আমাদের এভাবে আশ্রয় দেবেন।

বক্তারা সাম্প্রতিককালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে সফল ও দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সম্মৃদ্ধি জন্য তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।  

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতেই মানবিক নয়, তিনি সারা জীবনই মানবিক। তিনি বাংলাদেশের মতো একটি দেশে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। পৃথিবীর কোনো দেশ আজ পর্যন্ত দেড়-দুই কোটি স্কুলগামী শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দিতে পারেনি, উপবৃত্তি দিতে পারেনি, কিন্তু শেখ হাসিনা তা করে পৃথিবীতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।  

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনীর সমস্যা মানবিকভাবেই সমাধান করেছিলেন। তিনি অন্যদের মতো জোরপূর্বক সমাধানের পথে হাঁটেননি। তিনি আসলে বাংলাদেশের মতো একটি ছোট্ট দেশের অনেক বড় নেতা। বাঙালিরা গরিব হতে পারি কিন্তু আমাদের হৃদয়টা অনেক বড়।

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে শুধু বাংলাদেশ সরকারই নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও নজিরবিহীনভাবে কাজ করছে।      

আলোচনা সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আওয়ামী রাজনৈতিক ঘরানার বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অস্ট্রেলিয়া এর সর্বশেষ