ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

‘হেমাঙ্গ বিশ্বাস গণবিরোধী শক্তির বিপক্ষে প্রতিবাদের নাম’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১২

ঢাকা: বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে আয়োজিত ‘জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি : হেমাঙ্গ বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘হেমাঙ্গ বিশ্বাস গণবিরোধী শক্তির বিপক্ষে এক প্রজ্জ্বলিত প্রতিবাদের নাম। তাঁর সংগ্রামী সুরের শিখা শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের অচলায়ন ভাঙার প্রেরণা জোগায়।



আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর। আলোচনা করেন শরদিন্দু ভট্টাচার্য, মাহফুজুর রহমান, চিনু কবির ও অসীম সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সংগীত বিশেষজ্ঞ করুণাময় গোস্বামী।

ফকির আলমগীর বলেন, ‘হেমাঙ্গ বিশ্বাস লোক-জীবন থেকে উপাদান আহরণ করে গণসংগীতের স্বতন্ত্র গতিমুখ নির্মাণ করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের সীমান্তভেদী আন্তর্জাতিকতায় দৃঢ় বিশ্বাসী। আজকের এই পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকবলিত সময়কে পাল্টে দিতে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।

আলোচকরা বলেন, ‘হেমাঙ্গ বিশ্বাস গণবিরোধী শক্তির বিপক্ষে এক প্রজ্জ্বলিত প্রতিবাদের নাম। সাংস্কৃতিক সংগ্রামকে তিনি অন্বিত করেছেন গণমানুষের মুক্তির রাজনৈতিক লড়াইয়ের সঙ্গে। কারণ, রাজনীতি ও সংস্কৃতির কোন কৃত্রিম বিভাজনে তিনি বিশ্বাস করতেন না।

সভাপতির বক্তব্যে করুণাময় গোস্বামী বলেন, ‘হেমাঙ্গ বিশ্বাসকে বাংলা গণসংগীতের শঙ্খচিল বলা হয়। এই সম্বোধন অত্যন্ত সঙ্গত কারণ সুরের পাখির মতোই তিনি গেয়ে গেছেন গণমুক্তির গান। তাঁর সংগীতের প্রাসঙ্গিকতা এখনও এতটুকু ফুরোয়নি বরং শ্রেণীবিভক্ত সমাজে গণমানুষের মুক্তির আকাঙ্খাকে শিল্পভাষা দিতে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সৃষ্টিকর্ম আমাদের সাহসী সহযোদ্ধার ভূমিকা নিতে পারে। জন্মশতবর্ষে তাঁকে স্বরণের তাৎপর্যও এখানে।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লোকসংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী বিশ্বজিৎ রায়, আবদুল হালিম খান, অনিমা মুক্তি গোমেজ, তপন চন্দ্র মণ্ডল, মীর ইউসুফ, শারমিন সুলতানা, মো. নূরুল ইসলাম, পল্লবী সরকার মালতী প্রমুখ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন অভিজিৎ রায়, গাজী আবদুল হাকিম, শেখ জামালউদ্দীন, এ. এস. এম রেজা বাবু, নাজমুল আলম খান। সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।