বইমেলা থেকে: আবু জাফর শামসুদ্দীন ছিলেন জীবনবাদী, শ্রেয়োবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। তার চিন্তার কেন্দ্রীয় বিষয় মানবমুখিনতা।
একুশে গ্রন্থমেলায় বুধবার মূলমঞ্চের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
আলোচকরা বলেন, আবু জাফর শামসুদ্দীন ভুল ব্যাখ্যার শিকার হয়েছেন।
‘জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি: আবু জাফর শামসুদ্দীন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ।
আলোচনা করেন সুব্রত বড়ুয়া, খালেদ হোসাইন এবং আহমাদ মাযহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুস্তাফা নূর উল ইসলাম।
প্রাবন্ধিক বলেন, আবু জাফর শামসুদ্দীন বিচিত্র জীবনাভিজ্ঞতাকে ধারণ করে লিখেছেন কথাসাহিত্য। আর চিন্তার ব্যাপকতাকে প্রকাশ করেছেন তার মননশীল প্রবন্ধে ও বস্তুনিষ্ঠ গবেষণায়। তার প্রধান গুরুত্বের জায়গা চিন্তাশীলতা। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারণাকে সাধারণ্যে পরিচিত ও জনপ্রিয় করেছেন। বাংলা একাডেমী তাঁর রচনাবলী প্রকাশ কার্যক্রম শুরু করলেও তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি।
জন্মশতবর্ষে তার পূর্ণাঙ্গ রচনা পাঠকের হাতে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি।
সভাপতি বলেন, আবু জাফর শামসুদ্দীন সময়ের চেয়ে অগ্রসর চিন্তার মানুষ। সমকালে যেমন তিনি ভুল ব্যাখ্যার শিকার হয়েছেন তেমনি উত্তরকালে তার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। এই মহৎ বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্মের অন্তর্ভেদী গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লোকসংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী আসগর দেওয়ান, দিল আফরোজ রেবা, মীনা বড়ুয়া, আবু বকর সিদ্দিক, ফকির শাহাবুদ্দিন, রহিমা খাতুন, সরদার মো. রহমাতুল্লা, শান্তা সরকার, জামালউদ্দিন হাসান বান্না, সুজন হাওলাদার প্রমুখ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন বেণু চক্রবর্তী, মো. ফাজুর রহমান, রতন কুমার রায়, দশরথ দাস এবং আলম দেওয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১২