বইমেলা থেকে: অমর একুশের অনেক গান অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
মঙ্গলবার বিকেল চারটায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভাষা-আন্দোলন শুধু ১৯৪৮ বা ১৯৫২ সালের বিষয় নয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘একুশের গান’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি আবু বকর সিদ্দিক, ‘শহীদ মিনারের স্থাপত্য: হামিদুর রহমান’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন এবং ‘একুশের স্থাপত্য : নভেরা আহমেদ’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক লালারুখ সেলিম।
আলোচনা করেন শিল্প-সমালোচক মইনুদ্দিন খালেদ এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। সভাপতিত্ব করেন সংগীত বিশেষজ্ঞ আবদুশ শাকুর।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, একুশের গান বাংলা সংগীতে নতুন ধারার জন্ম দিয়েছে। তবে একুশের অনেক গানই হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো দ্রুত সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।
স্থপতি রবিউল হুসাইন বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণে হামিদুর রহামন যে নকশা প্রণয়ন করেছিলেন তা এখনও পূর্ণতা পায়নি। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই শহীদ মিনারের মূল নকশার যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
লালারুখ সেলিম বলেন, শহীদ মিনারের অন্যতম স্থপতি ছিলেন নভেরা আহমেদ কিন্তু আজ সে নামটি বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছে, যা একুশের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আবদুশ শাকুর বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা ইতিহাস-অসচেতন এবং অসংরক্ষণশীল। তাই একুশের অনেক গান অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে, শহীদ মিনারের অন্যতম স্থপতি নভেরা আহমেদের নামও আমরা ভুলতে বসেছি। এবারের একুশ হোক এই বিস্মৃতির বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণের যুদ্ধ। ’
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আধুনিক গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা, মহিউজ্জামান চৌধুরী, আজিজুর রহমান তুহিন, শ্যামা সরকার, নবীন কিশোর, থু চিং প্রু, অভিলাশ দাস, কামাল আহমেদ, অর্পিতা মিত্র লাভী প্রমুখ।
যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন চন্দন দত্ত, প্রদীপ কুমার কর্মকার, মনোয়ার হোসেন টুটুল, সুমন রেজা খান ও মো. শাহীন আলী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২