ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

``কবিতার ট্রান্সট্রোমার`` বইয়ের পাণ্ডুলিপি থেকে ১২ কবিতা

ভাষান্তর : জুয়েল মাজহার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২
``কবিতার ট্রান্সট্রোমার`` বইয়ের পাণ্ডুলিপি থেকে ১২ কবিতা

২০১১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করলেন সুইডিশ কবি টোমাস ট্রান্সট্রোমার। একুশে বইমেলায় ‘শুদ্ধস্বর’ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে ট্রান্সট্রোমারের কবিতা ও সাক্ষাৎকারের অনুবাদের বই `‘কবিতার ট্রান্সট্রোমার``।

অনুবাদ করেছেন ও ভূমিকা লিখেছেন আশির দশকের কবি জুয়েল মাজহার সেখান থেকে ১২ টি কবিতা তুলে দেওয়া হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।

২০১১ সালের অক্টোবরে ট্রান্সট্রোমারের নাম নোবেল পুরস্কারের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর, তার সম্বন্ধে একটি সংবাদ সংস্থা লিখেছিল: ‘‘সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন একজন মনোবিদ, যিনি তার কাজের অবসরে কালেভদ্রে-লেখা কবিতার ছত্রে তুলে আনেন প্রতিদিনের জীবন-রহস্য; গাড়ি চেপে কাজে যান, সূর্য ওঠা দেখেন অথবা রাত নামার প্রহর গোনেন। ’’

১৯৯০ সালে স্ট্রোক করার পর কবির শরীরের ডানদিক এখন অবশ। জীবনের অতিসাধারণ মুহূর্তকে তিনি তুলে আনেন নিরাভরণ শব্দে, শান্ত ধূসর অনচ্ছ রঙে, অচঞ্চল তুলিতে; আর সেসব মুহূর্ত এক আশ্চর্য মুকুরে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে; মুখ বাড়ায় নানা অলিন্দে ---- অজস্র চিত্রকল্পে, উপমায়।
 
ট্রান্সট্রোমার কবিতায় আমাদের ছেড়ে দেন এক প্রশ্নময় পৃথিবীতে; এক অন্তহীন ‘‘ভুলভুলাইয়া’’য়; ছেড়ে দিয়ে মজা পান। আর তা হয়ে ওঠে এক ধ্যানের জগৎ। কেননা তার কাছে ‘‘কবিতারা হচ্ছে সক্রিয় ধ্যান...। ’’

জুয়েল মাজহার অনূদিত ‘কবিতার ট্রান্সট্রোমার’ এর পাণ্ডুলিপি থেকে ১২ টি কবিতা তুলে দেওয়া হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।


শীতের সূত্র

১.
বিছানায় ঘুমাতে গেলাম,আর
জেগে দেখি জাহাজের তলে শুয়ে আছি

ভোরবেলা চারটায়
ধুয়ে মুছে চটজলদি সাফ-সুতরো করা হাড়গুলি
নিরুত্তাপ এসে জড়ো হয়।

আবাবিল পাখিদের সঙ্গে আমি ঘুমাতে গেলাম, আর
জেগে উঠলাম ঈগলের ঝাঁকের ভেতরে।

২.
বাতির আলোয় ওই পথের বরফ
শূকরের চর্বি যেন তুলছে ঝিলিক।

এ নয় আফ্রিকা।
এ নয় ইউরোপ।
অন্য কোথাও নয় এটা ‘‘এইখানে। ’’

এবং যা ছিলো ‘‘আমি’’
স্রেফ এক শব্দ এটা
ডিসেম্বরের অন্ধকার মুখের খোড়লে।

৩.
চিকিৎসা-শিবিরগুলি
আলোকিত টিভিপর্দার মতো
অন্ধকারে আলো ঝলোমল।

অপ্রমেয় হিমের গভীরে
লুকানো এক টিউনিং ফ্রক
মূহুর্মূহু গুঞ্জরণ তোলে।

নক্ষত্রখচিত এক আকাশের নিচেতে দাঁড়িয়ে আমি
টের পাই, আমার পাতলুন যেন ঊঁইঢিবি
পৃথিবীটা হামা দিয়ে ঢুকে পড়ে আর বের হয়।

৪.
তিনটে কালো ওক গাছ তুষারের মধ্য থেকে ঠিকরে বেরোয়।
অমসৃণ বটে তারা, তবু তারা চপল-আঙুল।
বৃহৎ বোতল নেড়ে অরণ্যের শ্যামলিমা
বসন্তকে ভরে দেবে ফেনায় ফেনায়।

৫.
‘‘ পাইন তরুর ভিড়ে উদ্ভাসিত জাহাজের মতো
বাস চলে হামা দিয়ে শীতের সন্ধ্যায়
সেখানে পথটা এক সরু ও গহীন, মরা খাল।

হাতেগোনা যাত্রী ক`জনা: কেউ বুড়ো, কেউবা যুবক,
যদি বাস থমকে দাঁড়ায়, এর বাতি নিভে যায়,
ফুৎকারে সমগ্র নিখিল মুছে যাবে ।

(May Swenson -এর ইংরেজি অনুবাদ winter formulae -এর বাংলা ভাষান্তর)


বাডেলুন্ডার বুলবুল

বুলবুলি পাখিটার উত্তর সীমানায় সবুজ মধ্যরাত, ভারী পাতাগুলি ঢুলছে ঘুমের ঘোরে, বধির গাড়িগুলো সবেগে ছুটছে নিয়নলাইন অভিমুখে। ক্রমেই চড়া বুলবুলিটার নাছোড় গলা থামার নামটি নেই, কাকের কা-কা-র মতো কানফাটা সেই আওয়াজ, তবে তা ভনিতাহীন আর সুন্দর। কারাগারে বন্দী ছিলাম আমি আর সে দেখতে এলো আমায়। আমি ছিলাম রোগকাতর আর সে দেখতে এলা আমায়। তখন আমি তা ঠাহর করতে পারিনি কিন্তু এখন ঠিকই বুঝতে পারছি। সূর্য আর চাঁদ থেকে সদা টিক-টিক-ধন্যবাদময় ঘড়িগুলোর ভেতরে স্রোতের মতো গড়িয়ে নামছে সময়। কিন্তু সময় বলে কিছুই নেই সেখানে। আছে কেবল বুলবুলিটার গলা, কর্কশ সুরের ওঠানামা, রাতের আকাশের ঝিকিমিকি কাস্তেটায় শান দিয়ে চলেছে সেই সুর।

(Robin Fulton-এর ইংরেজি অনুবাদ The Nightingale in Badelunda-এর  বাংলা ভাষান্তর)



কোকিল

বাড়িটার ঠিক উত্তর দিকটায় বার্চগাছের ডালে বসে ডেকে গেলো একটি কোকিল। ওর গলার স্বর এতই চড়া যে প্রথমে ভাবলাম বুঝিবা কোকিলের ডাক নকল করে গাইছে কোনো অপেরা গায়িকা। অবাক হয়ে পাখিটার দিকে তাকালাম। প্রতিবারই ‘কুহু’ ডেকে ওঠার সময় চাপকলের হাতলের মতো উঠছে-নামছে ওর লেজের পালক। পাখিটা দু’পায়ে লাফাল, ঘুরে ওড়ার প্রস্তুতি নিল আর চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিল গলার চিৎকার। তারপর ঝটিতি আকাশে উঠে গজরাতে গজরাতে বাড়িটার ওপর দিয়ে উড়ে গেল দূরে পশ্চিমে... গ্রীষ্ম বুড়িয়ে যাচ্ছে আর সবই বইছে অভিন্ন এক বিষাদের সুরে। কুকুউলাস ক্যানোরাস, ইউরোপের কোকিল, গ্রীষ্মম-লে ফিরে যায়। সুইডেনে এর দিন ফুরিয়ে এসছে। এখানে ও স্বল্পকাল ছিল। এ-কোকিল আসলে জায়ারের নাগরিক... ভ্রমণ এখন আর আমাকে টানে না। কিন্তু ভ্রমণই আমাতে ভ্রমণ করে যায়। এই যে এখন আমি ক্রমাগত কোনঠাসা, এই যে এখন বর্ষবৃত্তটি ক্রমে বড় হচ্ছে আর আমার দরকার হয়ে পড়ছে একজোড়া চশমা। সর্বদাই ঘটনার ঘনঘটা আমাদের সহ্যসীমা পার হয়ে যায়। অবাক হবার মতো কিছু আর নেই। এসব ভাবনা বিশ্বস্ততার সঙ্গে বয়ে নিয়ে চলেছে আমাকে, ঠিক যেমন আফ্রিকার ভেতর দিয়ে সোজা লিভিংস্টোনের মমি করা মরদেহ কাঁধে বয়ে এনেছিল সুসি আর চুমা।

(Malena Mörling, Patty Crane I John F Dean –এর ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলা ভাষান্তর)


ঝড়

হাঁটতে গিয়ে বিশাল একটা বুড়ো ওকগাছের সঙ্গে
হঠাৎ তার দেখা , শরৎ-সমুদ্রের কালচে সবুজ
দুর্গ-দেয়ালের পটভূমিতে অতিকায় শাখা-শিঙের মুকুট নিয়ে
পাথর-হয়ে-যাওয়া এক হরিণ যেন।

উত্তুরে ঝড়ের দিন এলো। এ সময় পেকে উঠবে
রোয়ানবেরি ফল। শোনে সে রাত্রি জেগে
ওকগাছটির অনেক উপরে নিজের আস্তাবলে
তারাপুঞ্জ খুরধ্বনি বাজিয়ে চলেছে ।

(Robert Bly-এর ইংরেজি অনুবাদ storm-এর বাংলা ভাষান্তর)


অর্ধ সমাপ্ত স্বর্গ

হতাশা নিজের পথের বিরতি টানে
তীব্র দহন নিজের বিরতি টানে
শকুন নিজের ওড়ায় বিরাম খোঁজে

ব্যগ্র আলোক শতধারে উৎসারে
প্রেতেরাও, আহা, মদিরায় ঢোঁক গেলে।

আমাদের ছবি দেখছে ভোরের আলো,
লাল পশুগুলি হিম-যুগ স্টুডিওর।

সবই তাকায় চোখ মেলে চারদিকে
আমরা সবাই হেঁটে চলি রোদ্দুরে

একেকটা লোক দরোজা আধেক খোলা ,
অভিন্ন ঘরে সকলেরে নিয়ে চলে

পদতলে জাগে নি:সীম প্রান্তর

ঝিকিমিকি জল গাছেদের ফাঁকে ফাঁকে

এই হ্রদখানি পৃথিবীর বাতায়ন।

(Robin Fulton--এর ইংরেজি অনুবাদ Half-Finished Heaven-এর বাংলা ভাষান্তর)


মলোকাই

কিনারে দাঁড়িয়ে আছি আর আমাদের অনেক নিচে ঝিকমিক করছে কুষ্ঠরোগীদের কলোনির ছাদ।
ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া যায় কিন্তু রাত নামার আগে উপরে ফিরে আসতে আমরা মোটেই পারবো না।
আমরা তাই বনের ভেতর দিয়ে উল্টো ঘুরে লম্বা নীল তীক্ষ্ণ-ডগা
গাছেদের মধ্য দিয়ে চললাম হেঁটে।
এখানে নিরব চারপাশ, বাজপাখি কাছে চলে আসবার সময়ের মতো নীরবতা।

এসব অরণ্য সবই ক্ষমা করে দ্যায়, তবে ভোলে না কিছুই।
ভালোবাসার জন্য ড্যামিয়েন বেছে নিল
জীবন ও বিস্মৃতি। পেয়েছিল মৃত্যু আর খ্যাতি।
তবু এসব ঘটনা আমরা ভুল দিক থেকে দেখে থাকি : পাথরের স্তূপ দেখি
স্ফিংক্সের মুখের বদলে।

(Robin fulton I Samuel Charters-এর পৃথক দুটি ইংরেজি অনুবাদ অবলম্বনে)



তিনটি হাইকু

রাত্রি--এক বারো-চাকার গাড়ি
বাসিন্দাদের স্বপ্ন কাঁপিয়ে
চলে যায়।

দুধ খেয়ে বালক নিজের ছোট্ট ঘরে
সুখে ঘুম যায়,
পাথরের একজন মা।

ফুটবলে লাথি মারল তারা
হঠাৎ বিভ্রান্তি---বলটি
দেয়ালের উপর দিয়ে উড়ে চলে যায়।

(Robert Bly এর ইংরেজি অনুবাদ Three Haikus -এর বাংলা ভাষান্তর)



পাহাড়ের উপর থেকে

আমি শিলা খণ্ডটির উপরে গিয়ে দাঁড়াই আর দৃষ্টি মেলে দিই সাগরের বুকে।
গ্রীষ্মের উপরিতলে নৌকাগুলো নিচ্ছে বিশ্রাম।
‘‘আমরা ঘুমন্ত হাঁটি। ভেসে যায় চাঁদ’’
একথাই বলে শাদা পাল।
 ``একটি নিদ্রিত বাড়ি-- আমরা পিছলে বেরিয়ে যাই এর ভেতর দিয়ে
আলতো হাতে ঠেলা দিয়ে দরজাগুলো খুলি।
আমরা মুক্তির দিকে দিয়েছি হেলান’’
একথা জানায় যতো শাদা শাদা পাল।

একদা দেখেছি আমি জগতের ইচ্ছাগুলি উড়িয়েছে পাল।
একই গন্তব্য পানে চলেছিল তারা--অভিন্ন কাফেলা।
‘’আমরা এখন হয়েছি ছত্রখান। কেউ নয় পথের সারথী ‘’
এই কথা বলেছিল শাদা শাদা পাল

(Robin Fulton এর ইংরেজি অনুবাদ From the Hilltop-এর বাংলা ভাষান্তর)

 

দুই শহরের আখ্যান

একটি প্রণালী, এর দুই তীরে দুইটি শহর
একটি রয়েছে ডুবে অন্ধকারে, শত্রু কবলিত।
অন্যটিতে সারি সারি জ্বলছে প্রদীপ।
আঁধারে যে ডুবে আছে, ঝলোমল তীর তারে সম্মোহিত করে।

ঝিকিমিকি কালো জলে
স্বপ্নঘোরে চলেছি সাঁতার কেটে আমি।
যন্ত্র থেকে চাপা সুর বেজে ওঠে হঠাৎ গমকে।
তোলো এ সমাধি,যাও---বন্ধুর গলা শোনা যায়।

(Patty Crane-এর ইংরেজি অনুবাদ Two Cities ‘টু সিটিজ-এর বাংলা ভাষান্তর)


অস্তিনাতো

বাজপাখিটার নিশ্চলতার ঘুরণবিন্দুর নিচে
দিবালোকে মুহূর্মুহূ গর্জমান সমুদ্র গড়ায়
বেপরোয়া আগাছার লাগাম চিবায় আর নাসিকার
ছিদ্র দিয়ে সৈকতে ফেনা ছুড়ে দেয়

পৃথিবী আঁধারে মোড়া যেখানে বাদুড় পারে চিনে নিতে নিজ নিজ
পথের নিশানা। বাজপাখি থেমে গিয়ে হয়ে যায় আকাশের তারা
মুহূর্মুহূ গর্জমান সমুদ্র গড়িয়ে চলে আর নাসিকার
ছিদ্র দিয়ে সৈকতে ছুড়ে দেয় ফেনা


(Robert Bly- -এর ইংরেজি অনুবাদ Ostinato
-এর বাংলা ভাষান্তর)



ঈগল পর্বত

ভাইভারিয়াম কাচের আড়ালে
সরিসৃপগুলি
থামিয়ে দিয়েছে কিলবিল।

এক মহিলা নি:শব্দে দড়িতে
ভেজা কাপড় ছড়ায়।
মৃত্যু অচঞ্চল, স্থির।

মাটির গভীরে
ধূমকেতুর মতন নি:শব্দে
আত্মা আমার ভেসে চলে।

(Robin Fulton-এর ইংরেজি অনুবাদ Eagle Rock–এর বাংলা ভাষান্তর)



মাঝরাতের মোড়বিন্দু

বনে এক পিপিলিকা, চেয়ে থাকে অর্থহীন অনড়
নিশ্চল। আর ঘন শ্যামলিমার ভেতরে পোকার গুঞ্জরন
কিছু শোনা যায় না এছাড়া। গ্রীষ্মের গভীর খোড়লে ওই
        সারারাত বাজছে মর্মর।

সুশোভিত গাছটির সূঁচালো আগাটি যেন ঘড়ির কাঁটার মতো খাঁজকাটা।
পাহাড়ের ছায়ার ভেতরে ওই পিঁপড়ার চেহারা রক্তিম।
একটি পাখি আর্তস্বরে ডাকে, অবশেষে ! মেঘের শকট ধীরে
                চলা শুরু করে।

(Robert Hass--এর ইংরেজি অনুবাদ Midnight Turning Point-এর বাংলা ভাষান্তর)



[ জুয়েল মাজহার : আশির দশকের কবি-অনুবাদক। প্রকাশিত কবিতাবই দর্জিঘরে একরাত (২০০৩) ও মেগাস্থিনিসের হাসি (২০০৯)।

তার অনূদিত বিভিন্ন ভাষার কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে পত্রপত্রিকার সাময়িকী, ছোটোকাগজ ও বিভিন্ন সংকলন পুস্তকে। অনূদিত লেখকদের মধ্যে আছেন : টি.এস এলিঅট, ডব্লিউ বি ইয়েটস, রবার্ট ফ্রস্ট, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, গ্যুন্টার গ্রাস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, মাহমুদ দারবিশ, ফেদেরিকো গার্থিয়া লোরকা, পাবলো নেরুদা, এডওয়ার্ড সাঈদ, অমর্ত্য সেন, ইঙ্গমার বার্গমান, টোমাস ট্রান্সট্রোমার, ওক্তাবিও পাস, গিমারায়েস রোসা, টম গান, টেড হিউজ, ম্যাথু আরনল্ড, বেল্লা আখমাদুলিনা, ডেভিড হাকনি, কামিলে হোসে সেলা ও ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেংকো প্রমুখ।

সম্প্রতি জেমস জয়েসের নাটক ‘এক্সাইলস’-অনুবাদে হাত দিয়েছেন। বিশ্বের পুরোধা কবিদের সেরা কবিতার অনুবাদ নিয়ে সাজাচ্ছেন একটি পাণ্ডুলিপি। ]

বাংলাদেশ সময় ১৮৩০, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।