ঢাকা: প্রতিবছরই বইমেলায় আসেন অনেক তরুণ প্রকাশক। প্রকাশ করেন অনেক নতুন বই।
আলাপ হয় প্রকাশনাশিল্প, বইমেলা, লেখক-প্রকাশক সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে।
প্রকাশনা শিল্পে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ‘স্মরণিকা’ লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করতাম বন্ধুদের সঙ্গে। সেই সময়েই লেখক-সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরিচয়-আড্ডা। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র ছিলাম, এসবই আমাকে উৎসাহী করে। এছাড়া আমাদের পারিবারিক প্রেস ব্যবসা ছিল। এটাও একটা সাহস জুগিয়েছে। ’
প্রকাশনা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকাশনা শিল্প তো খুব লাভজনক ব্যবসা নয়। বই প্রকাশ হয় অনেক, লেখকও আছেন অনেক। কিন্তু সব বই তো আর মানসম্মত নয়। পুরাতন প্রকাশনীর বই সিলেকশনে ভুল ছিল। তাই তারা এখন অনেকে টিকতে পারছেন না। ’
এ বছর বইমেলায় গদ্যপদ্য ৫০টি বই বের করছে। যার মধ্যে ৩৫ জনই বাংলা একাডেমীর লেখক। তরুণরা এই শিল্পে আসায় বইয়ের মান বেড়েছে। এখন বইয়ের মান যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। এটা তো তরুণদের অবদান।
প্রকাশনা শিল্পের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে তিনি আনোয়ার সাদাত বলেন, ‘আমি খুব আশাবাদী। গদ্যপদ্য এবারই প্রথম বইমেলার ভিতরে জায়গা পেয়েছে। এতো তাড়াতাড়ি সাধারণত ভিতরে স্টল পাওয় যায় না। ’
মেলায় গদ্যপদ্য প্রকাশনীর নতুন বইগুলোর মধ্যে আবদুল মান্নান সৈয়দের আত্মজীবনী ‘মিটিল না স্বাধ ভালোবাসিয়া তোমায়’, বেলাল চৌধুরীরর ‘জীবনরে আর্শ্চয ফাল্গুন’, আবুল আহসান চৌধুরীর ‘লোকসংস্কৃত-বিবেচনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘মগ্ন চৈতন্যে শিস’ ও আহমদ রফিকের ‘শেষ্ঠ্র প্রবন্ধ’ উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদশে সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১২