বইমেলা থেকে: প্রকাশনা শিল্পে এখন তারুণ্যের জোয়ার। পুরনো প্রকাশকদের অনেকেই যখন গুটিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের, কেউ কেউ মুখ থুবড়ে পড়ছেন, আবার কেউ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না।
এরকম সময়েই আবার অনেক তরুণ জাঁকিয়ে বসছেন প্রকাশনা শিল্পে। তারা দায়িত্ব নেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করছেন রুগণ প্রকাশনা শিল্পের হাল ধরার। এরকমই একজন তরুণ প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল। তিনি ‘শুদ্ধস্বর’ প্রকাশনীর কর্ণধার। তার সঙ্গে আলাপে উঠে আসে সাম্প্রতিক প্রকাশনা শিল্পের হালচাল।
বইমেলায় পাইরেটেড বই, ভারতীয় বই বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা একটা বিশাল সমস্যা। মেলার বাইরে পাইরেটেড ও ভারতীয় বই বিক্রি হচ্ছে। ভিতরেও এক ধরনের পাইরেটেড বই বিক্রি হচ্ছে, যা আমাদের প্রকাশনাশিল্পের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়।
আবার এরকমও হচ্ছে, এক প্রকাশকের প্রকাশিত বই প্রকাশককে না জানিয়ে অন্য প্রকাশক ছাপিয়ে দিচ্ছেন। প্রকাশনা শিল্প মননশীল, সৃজনশীল ও কর্মক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রকাশক না আসাই ভালো। প্রকাশকদের কাছে এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। সেই সঙ্গে বইমেলায় এদের স্টল বাতিল করা উচিৎ। এ নিয়ে নীতিমালা তো আছে, তবে তার বাস্তবায়ন নেই। ’
প্রকশনা শিল্পে তরুণদের আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব কর্মক্ষেত্রেই তরুণদের কল্যাণে তা গতিপ্রাপ্ত হয়। এটা শুধু প্রকাশনা শিল্পের জন্যই নয়, তরুণরা এগিয়ে আসায় আমাদের প্রকাশনা শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। বই পাঠকের কাছে পৌঁছাচ্ছে। পূর্বসূরীরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না বলেই তরুণরা এগিয়ে আসছে। পূর্বসূরীরা যদি ঠিকমত দায়িত্ব পালন করত তাহলে আমি অন্তত আসতাম না। ’
ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বইমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা এখন পর্যন্ত ভালোই বলা যায়। ’
বাংলাদেশ সময় ২১০৯, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১২