ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বইমেলা তো গণজাগরণের মেলা: ফকির আলমগীর

এম জে ফেরদৌস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১২
বইমেলা তো গণজাগরণের মেলা: ফকির আলমগীর

বইমেলা থেকে: কেমন হবে মেলার প্রথম দিন এ ভাবনাই এখন মেলায় সমবেত লেখক-প্রকাশক আর বইপ্রেমীদের। মেলার উদ্বোধন হয়ে গেছে।

প্রায় সন্ধ্যা। কিছুক্ষণ আগেই চলে গেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা সকলে। একে একে ঢুকছেন বইপ্রেমীরা। বুধবারের এ সময়টাতেই ছোটকাগজ চত্ত্বরে মেলার বহেরা তলায় হাজির হয়েছিলেন গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরে।

ছোটকাগজের স্টলগুলো এখনো জমে ওঠেনি। প্রায় সব স্টলই ফাঁকা। চলছে স্টল সাজানোর কাজ। বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে ছোটকাগজ কর্মী ও তরুণ কবি-সাহিত্যিকদের।

ছোটকাগজ চত্ত্বরের প্রবেশপথে, কোনায় ফকির আলমগীরের ‘ঋষিজ’ স্টলটির অবস্থান। স্টলটি সাজানো হয়েছে আবদুল লতিফ, অজিত রায় বা আজম খানের মতো প্রয়াত শিল্পীদের পোস্টার দিয়ে।

ওই স্টলের সামনেই গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর বললেন বইমেলার অতীত-বতর্মানের নানা দিক নিয়ে।

প্রথমেই হাসিমুখে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এতো ব্যস্ততা ছাপিয়ে আজও বই মেলায় আসতে পারি এটাই সৌভাগ্য। এখানে এলেই নস্টালজিক হয়ে উঠি। ’

তিনি বলেন, ‘মনে পড়ছে, আমার সহকর্মী আজম খানের কথা, অজিত দার কথা, শিল্পী আব্দুল লতিফের কথা। আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, হুমায়ুন আজাদ, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ…. তাদের কথা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে। ’

তিনি আরও বলেন ‘বাংলা একাডেমীর বইমেলা গণজাগরণের মেলা। এটা শুধু বইয়ের মেলা নয়। বাণিজ্যিক বইমেলাও নয়। এ মেলা আমাদের প্রাণের সঙ্গে জড়িত। বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এসে মিশেছে এই মেলায়। আর আমাদের লড়াই-সংগ্রামের প্রধান শক্তি সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ইতিহাস। আর সেই লড়াই দিয়েই পাওয়া আমাদের এই বইমেলা। ’

তার আশাবাদ, ‘মেলাটিতো মাত্র শুরু হয়েছে। আশা করছি এবারের মেলা অনেক পরিচ্ছণ্ন হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।