ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

ট্রান্সট্রোমারের অনুবাদকের সঙ্গে কথোপকথন

মূল : আগনেস লেহোৎস্কি, ভাষান্তর : জুয়েল মাজহার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১২
ট্রান্সট্রোমারের অনুবাদকের সঙ্গে কথোপকথন

২০০১ সালে নেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেরেংক মেরভেল (Ferenc Mervel) কথা বলেছেন ট্রান্সট্রোমারের কবিতা, এর তত্ত্বের দিক, এর সাঙ্গীতিক আর মনস্তাত্ত্বিক প্রেরণা আর সেই সঙ্গে হাঙ্গেরিয়ান কবি ইয়ানোস পিলিনৎস্কির (János Pilinszky) সঙ্গে সুইডিশ এই কবির বন্ধুত্ব নিয়ে।


২০১১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী টোমাস ট্রান্সট্রোমার ২০০১ সালে বুদাপেস্ট সফরে যান।

এরই মধ্যে ট্রান্সট্রোমার ব্যাধিকাতর হয়ে যোগাযোগের ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে বসেছেন। সে কারণে তার অনুবাদক (হাঙ্গেরীয় ভাষায়) ফেরেংক  মেরভেল সুইডিশ এই কবির হয়ে উত্তর দিয়েছেন। এদিকে এতোদিনে ফেরেংকেরও জীবনাবসান হয়েছে।

২০০১ সালে ট্রান্সট্রোমারের ওই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন হাঙ্গেরীয় কবি-অনুবাদক  আগনেস লেহোৎস্কি (Ágnes Lehóczky) । ভাষান্তর : জুয়েল মাজহার

 

আগনেস লেহোৎস্কি : ট্রান্সট্রোমারের লেখালেখি জীবনের শুরুটা কিভাবে হয়েছিল?
 

ফেরেংক মেরভেল : তার প্রথম বইটা বেরিয়েছিল ১৯৫৪ সালে আর মাত্র ক’হপ্তার মধ্যেই সব কপি বিক্রি হয়ে যায়। বইটা বের হবার পরপরই পাঠক আর সমালোচক দু’দিক থেকেই পেতে থাকেন প্রশংসা। মোটের ’পর সাকুল্যে তার ডজনখানেক কৃশ আকৃতির বই, কিন্তু প্রতিটি বইই বড় ধরণের কাব্যিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ট্রান্সট্রোমার সারা দুনিয়া ঘুরে বেরিয়েছেন, তার নামে বেইজিংয়ে একটা রেস্তোরাঁও আছে, তার কবিতা  গুজরাতি, হিন্দি ও তামিলসহ ৫১টি (এখন ৬০টি) ভাষায় অনূদিত হয়েছে।   সমালোচকেরা বাখ, ভাগনার ও লিসৎ -এর (Bach, Wagner and Liszt) সঙ্গীত আর রিলকে, এলিয়ট ও এলুয়ারের (Rilke, Eliot and Éluard) কবিতাকে ট্রান্সট্রোমারের কবিতার প্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর সেটা তারা চুলচেরা যুক্তি দিয়েই বলেছেন। আর সুইডিশ কবিদের মধ্যে রাগনার থুরসির (Ragnar Thoursie) কথা বলতেই হবে। রবার্ট ব্লাই  সেই কবে, ১৯৭০-এর দশকে, ট্রান্সট্রোমারকে তার প্রজন্মের সবচেয়ে অসামান্য কবিদের একজন হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

তার কবিতাকে বিশ্বজনীন বলে মনে হয়, যার ভিত্তি আধুনিক কালের মানুষের যৌথ অভিজ্ঞতা।

ফেরেংক মেরভেল : হ্যাঁ, ট্রান্সট্রোমার সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতার কথা বলেন যা একজন ব্রিটনের মতো একজন ভারতীয়ও দিব্যি বুঝতে পারে। তার কবিতায় কোনো নিষেধের বেড়াজাল, কোনো অর্গল নেই, তার কবিতা সীমান্তের বাধা সরিয়ে দেয়।

আমাকে একজন হাঙ্গেরীয় সম্পাদক বলেছেন ট্রান্সট্রোমারই সম্ভবত একমাত্র কবি যিনি ‘জাতি’ অথবা ‘স্বদেশ’ শব্দটি কখনো লিখেননি।


এটা, অবশ্যই, বাড়িয়ে বলা, তবে তিনি কেন এতো বিপুলভাবে অনূদিত এটা অনেক কারণের মধ্যে একটা।

ট্রান্সট্রোমার প্রকৃতির দৃশ্যমালা নিয়ে কাজ করেন, এটা সুইডিশ কবিতার এক দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য। অবশ্য এসব দৃশ্যমালা যতোটা না প্রাকৃতিক তার চেয়ে বরং অনেক বেশি মানবিক উপাদান হিসেবেই এসেছে। পাঠক এক অবচেতন স্তরে কবিতার অর্থটি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। তার কবিতার চিত্রকল্পমালা  সন্তসুলভ  বৈরাগ্যময় আর  এগুলোর আছে একাধিক অর্থবাচকতা, যেনবা একটি অন্যটির ভেতর খুলে যাচ্ছে।
 
এটা কোনো আপতিক ঘটনা নয় যে, রিলকে আর এলিয়টকে তার কবিতার অনুপ্রেরণার উৎস বলে দেখা হয়। কিন্তু পেশার দিক থেকে ট্রান্সট্রোমার একজন মনোবিদও বটে, এবং তার চিত্রকল্পগুলো অবচেতনের স্তরকে আলতো ছুঁয়ে যায় বলে মনে হয়। আর আঙ্গিকের দিক থেকে দেখলে এগুলোর বেশিরভাগই মুক্ত ছন্দে লেখা।

তার কবিতায় আঙ্গিক ও বিষয় কিভাবে পরস্পর সম্পর্কিত?  


ফেরেংক মেরভেল : ‌‌``১৭টি কবিতা`` শিরোনামে তার তার প্রথম বইতে তিনি আঁটসাট আঙ্গিকে লিখেছেন। পরে আঙ্গিকের ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গিটা আরো প্রসারিত হয়েছে, সে সুবাদে পরবর্তীকালে লেখা তার কবিতাগুলো পরাবাস্তববাদ, চিত্রকল্পবাদ ও প্রতীকবাদের মিশেল, যাতে কোনো বাগাড়ম্বড় নেই। এসব দৃশ্যমালার লক্ষ্যস্থল অতি অবশ্যই অবচেতনের স্তর--এটা দেখে মনে হয়, মনোবিদ্যার প্রভাব তার জন্য এক পেশাগত ঝুঁকি বলে গণ্য হতে পারে। তথাপি বোধ করি এ কারণেই এটা জাতীয়, সুইডিশ কবিতা নয় মোটেই, বরং সবার জন্য অর্থবহ এক বিশ্বজনীন কবিতা।


একজন হাঙ্গেরীয় পাঠকের জন্য সবচে কৌতূহলোদ্দীপক প্রশ্নগুলোর একটি হচ্ছে গত শতাব্দীর মহত্তম হাঙ্গেরীয় কবিদের একজন ইয়ানোস পিলিৎস্কিও সঙ্গে তার প্রবাদপ্রতিম বন্ধুত্ব নিয়ে। পিলিনৎস্কির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ কিভাবে হয়েছিল? এমনকি প্রথম পাঠেই এই দুই কবির কন্ঠস্বরের বিস্ময়কর সমরূপতা--- মহাজাগতিক, বিশ্বজনীন দৃশ্যকল্পসমূহ, নিরাভরণতা আর দু’কবির আধ্যাত্মিকতা---বিলক্ষণ পাঠকের মনোযোগ কাড়ে। তারা দু’জন কি একে অন্যের শিল্পবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন?


ফেরেংক মেরভেল :  সমসাময়িক হাঙ্গেরীয় কবিতা খোদ কম্যুনিস্ট শাসনামলেও সুইডেনে প্রকাশের সুযোগ পেয়েছিল। এ সত্ত্বেও বিদেশে কবিতার বই প্রকাশের সৌভাগ্য সব হাঙ্গেরীয় কবির হয়নি। আর একারণে আমাদের দুই মহৎ কবি---পিলিনৎস্কি ও নেমেস নাগি (János Pilinszky and Ágnes Nemes Nagy)--সুইডেনে অনূদিত হতে পারেননি। আর ১৯৬০-এর দশকে নিজের দেশে ট্রান্সট্রোমারেরও তো বিরূপ সমালোচনা কম হয়নি! তার বিরুদ্ধে অভিযোগটা ছিল যে, তার কবিতায় পর্যাপ্ত বিপ্লবীবার্তা নেই। কারণ সে সময় নিরবছিন্ন কয়েক দশক ধরে সুইডেন ছিল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক তকমা লাগানো এক দেশ। ১৯৫৬ সালে আমি (ফেরেংক মেরকেল)  তখন কম্যুনিস্ট হাঙ্গেরি ছেড়ে পালিয়েছি, সুইডেনে এসে হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করি এখানেও মার্কস ও এঙ্গেলস পড়ানো হচ্ছে  আর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের গান ‌‌``ইন্তারন্যাশিওনাল`` (the Internationale)  গাওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মনস্তাত্ত্বিক ও  ভৌত দেয়ালের ভুল দিকটায় যারা বন্দি ট্রান্সট্রোমার তাদের প্রতি সংহতি অনুভব করতেন; আর তিনি তার নিজের দেশকেও সতর্ক করার চেষ্টা করছিলেন, তাই তিনি সেইসব প্রতিভাবান সতীর্থ কবির হদিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন, যাদের বই প্রকাশের অনুমতি ছলো না। আর সে কারণেই তিনি চেকস্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া সফর করেছিলেন।

তখন পিলিনৎস্কি হয়ে ওঠেন তার খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। টোমাসের বউ মনিকা (Monica) বলে যে, তারা দুজন ছিলেন যমজ ভাইয়ের মতো। যদিও তাদের দুজনের কবিতা বিকশিত হয়েছে নিজের-নিজের নিয়মে, আর সম্ভবত এ কারণেই পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল এক চমৎকার সম্পর্ক। কেউ তাদের মধ্যে সরাসরি প্রভাব খুঁজে পাবেন না, তবে দু’ কবিরই কবিতার বিষয় অভিন্ন।   তাদের ঝোঁক, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের জগৎদৃষ্টি আর এসবে তাদের প্রতিক্রিয়া যারপরনেই একই রকম।   টোমাস অনুভব করেছিলেন পিলিনৎস্কির কবিতা অনুবাদ করার পর সেগুলো হয়ে উঠেছে তার নিজের কবিতা আর ১৯৭৩ সালে ‘পথ’ (Stigar) নামের কবিতাবইতে তিনি এগুলোকে তার নিজের কবিতা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। এছাড়া ট্রান্সট্রোমার  আগনেস নেমেস নাগি, সান্দর ভোইরেস, গিউলা ইলিয়েস, লোইরিংক সাবোসহ (Ágnes Nemes Nagy, Sándor Weöres, Gyula Illyés, Lőrinc Szabó) অন্য আরো অনেক কবির কবিতা অনুবাদ করেছেন।

ট্রান্সট্রোমার যদিও  বারবার বলেছেন যে, তার মতে কবিতার অনুবাদ এক অসম্ভব কর্ম, তথাপি তিনি নিজেই প্রচুর অনুবাদ করেছেন, আর তার নিজের কবিতাও ব্যাপকভাবে অনূদিত হয়েছে, আর এ সুবাদে সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্য অনেকের শিল্পকর্মের  প্রেরণার উৎস তিনি।


  হ্যাঁ, প্রচুর অনুবাদ করেছেন তিনি । তার Tolkningar (অনুবাদ ২০০০) বইতে ৪৩টি হাঙ্গেরীয় কবিতা আছে, এসবের বেশিরভাগই পিলিনৎস্কির কবিতা। ট্রান্সট্রোমার সবচে বেশি অনূদিত সুইডিশ কবি নন-- সেটা হচ্ছেন অগুস্ত স্ট্রিন্ডবার্গ (August Strindberg), --তবে জীবিত সুইডিশ কবিদের মধ্যে তিনিই সবচে বেশি অনূদিত।

বিশ্বকবিতা ও পোস্ট মডার্ন কবিতা কি সমার্থক?

ফেরেংক মেরভেল : এই প্রশ্নটা লক্ষকোটি বার করা হয়েছে। আমি আগেই বলেছি ট্রান্সট্রোমারের কবিতা হচ্ছে বিভিন্ন মাত্রায় প্রতীকবাদ, চিত্রকল্পবাদ ও পরাবাস্তববাদের মিশেল। অবশ্য  এতো বেশি সংখ্যক দেশে কারো কোনো একজনের কবিতা আগ্রহ সৃষ্টি করলে আর এতো বেশি শিল্প-আঙ্গিকের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠলে বুঝতে হবে তাতো আর এমনি এমনি হয় না! ট্রান্সট্রোমারের কবিতা বুদ্ধিবৃত্তির সীমান্ত খুলে দেয়, যে সীমান্ত বিভাজনের দেয়াল  তুলে বিভিন্ন দেশকে একে অপরের থেকে আলাদা করে রেখেছে। এ হচ্ছে এমন এক কবিতা যাকে কোনো ছকে ফেলা যায় না। একেলফ ও লিন্ডেগ্রেনের (Ekelöf and Lindegren) মতো, ট্রান্সট্রোমার ইন্দ্রিয়ের জগতের আড়ালে হাজির করেন অন্তর্জগতের দৃশ্যচিত্রমালা আর চেষ্টা করেন এই দুয়ের মাঝখানের সীমান্তের মানচিত্রটা আঁকতে; ‘প্রিলিউডস’ কবিতায় এরকমটাই তিনি লিখেছেন: ‘‘দুটি সত্য পরস্পরের দিকে এগিয়ে যায়। একটি আসে ভেতর থেকে/  অপরটি আসছে বাইরে থেকে / আর যেখানে মিলিত হয় তারা আমরা দেখি নিজের চেহারা। ’’


আধুনিক মানুষের জন্য ভাষা ও কবিতাকে তিনি করে তুলেছেন অপরিহার্য। তিনি শব্দের সঙ্গে লড়ে যান যেন তারা নিছক  মঞ্চশোভা  হয়ে না থাকে, বরং তারা মানবীয় অভিজ্ঞতার সাথে নিবিড় সম্পর্কে জড়িয়ে যায়;, কোনো অলীক কল্পচিত্রের প্রতিভূ যেন না হয়। আর সে কারণেই তিনি বাইবেলের শ্লোকেরও অনুবাদ করেছেন। প্রায়শই অস্পষ্ট গুঞ্জনের মতো শোনায় গির্জার প্রার্থনার ভাষা; একেও তিনি  নিয়ে এনেছেন পাঠকের বোধগম্যতার আরো বেশি কাছাকাছি।   ধর্মের কথা না বলে তিনি বরং বলেন নৈতিকতার কথা, আর সৃজন করেন এমনসব কথাবস্তু যা বাগাড়ম্বড়ে পর্যবসিত হয় না; বরং তা হয়ে ওঠে তপস্বীর সংযমের পরাকাষ্ঠা ; কেননা তার কাছে অর্থবাচকতাই আসল ব্যাপার।


[[**http://www.banglanews24.com/images/PhotoGallery/2012January/agneslehoczky20120124190312.jpgআগনেস লেহোৎস্কি  এ সময়ের সবচে আলোচিত হাঙ্গেরীয় কবি-অনুবাদকদের একজন। বর্তমানে তিনি শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল লেখালেখি বিষয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত। ২০০১ সালে হাঙ্গেরির পাসমানি পিতর বিশ্ববিদ্যালয় (Pázmány Péter University) থেকে ইংরেজি ও হাঙ্গেরীয় সাহিত্যে মাস্টার্স করেন। সেই সঙ্গে ২০০৬ সালে  ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (East Anglia)থেকে সৃজনশীল লেখালেখি বিষয়ে বিশেষ কৃতিত্বসহ লাভ করেন এম এ ডিগ্রি। হাঙ্গেরির ইউনিভার্সিতাস (Universitas) প্রকাশনা থেকে হাঙ্গেরীয় ভাষায় তার দুটি কবিতাসংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে । একটির নাম স্তাশন এক্স (Station X) এবং অন্যটির মেদালিয়ন (Medallion) । প্রথমটি বেরোয় ২০০০ এবং দ্বিতীয়টি ২০০২ সালে। ২০০৮ সালে  প্রকাশনা সংস্থা এগবক্স (EggBox) তার  প্রথম কাব্যগ্রন্থ বুদাপেস্ত টু বাবেল (Budapest to Babel) প্রকাশ করে। ২০১০ সালে দানিল পাশকফ্ কবিতা-পুরস্কার (Daniil Pashkoff Prize) আর ক্যাম্ব্রিজের গার্টন কলেজে ২০১১ সালে প্রবর্তিত জেন মার্টিন কবিতা-পুরস্কারও (Jane Martin Prize for Poetry) জেতেন লেহোৎস্কি ।

কবিতা লেখার পাশাপশি সাহিত্য সমালোচনায়ও উল্লেখযোগ্য কাজ আছে তার। হাঙ্গেরির সর্বকালের সেরা কবিদের একজন আগনেস নেমেস নাগির (Ágnes Nemes Nagy) কবিতার ওপর রচিত তার প্রবন্ধসংগ্রহ ``পোয়েট্রি, দ্য জিওমেট্রি অব লিভিং সাবসটেন্স``(Poetry, the Geometry of Living Substance) ২০১১ সালে বের করেছে ক্যাম্ব্রিজ স্কলারস। প্রকাশের পরপরই তা বোদ্ধা মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ]]

বাংলাদেশ সময় ১৯০০, জানুয়ারি ২৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad