ঢাকা: আসন্ন একুশে বইমেলাকে সামনে রেখে প্রকাশক ও লেখকরা অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলা একাডেমী কেন্দ্রিক বইমেলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগ নেই। বইমেলাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি, অনিয়ম হয় বলে অভিযোগ তাদের।
শনিবার বাংলানিউজ আয়োজিত ‘বইমেলা এবং প্রকাশনা শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনা’ গোলটেবিল বৈঠকে লেখক-প্রকাশকেরা এ অভিযোগ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রকাশনা সংস্থা শ্রাবণের রবিন আহসান, সংবেদের পারভেজ হোসেন, সূচীপত্রের সাঈদ বারী, শুদ্ধস্বরের আহমেদুর রশীদ টুটুল, ভাষাচিত্রের খন্দকার সোহেল প্রমুখ।
এছাড়া কবি-লেখক-সাহিত্যিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জুয়েল মাজহার, মাহমুদ মেনন, শামীম রেজা, সাখাওয়াত টিপু, ফেরদৌস মাহমুদ, রানা রায়হান, শেরিফ আল শায়ার প্রমুখ।
বৈঠকে প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, ‘বাংলা একাডেমী কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। তবে এখানে রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। বইমেলা হওয়া উচিত ছিল লেখক-প্রকাশকদের মেলা, অথচ এখানে বইয়ের স্টল ছাড়াও নানান ধরনের স্টল রয়েছে। ’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বইমেলায় শিশুদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করেনি বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ। এখানে কিশোর-কিশোরীরা আসতে পারে না। ’
ভাষাচিত্রের প্রকাশক খন্দকার সোহেল বলেন, ‘বইমেলায় অনিয়ম-দুর্নীতি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রকৃত প্রকাশকেরা বঞ্চিত হয়। সারা বছর ধরে যারা বই প্রকাশ করেন, তারা বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পান না। প্রকাশনা শিল্পকে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ’
খন্দকার সোহেল বলেন, ‘প্রকাশকদের মানদ- দাঁড় করাতে হবে। যে কেউই বই প্রকাশ করলে প্রকাশক হয়ে যাচ্ছেন। এটা থামানো দরকার। এক্ষেত্রে একটি মানদ- করতে হবে। ’
শুদ্ধস্বরের আহমেদুর রশীদ টুটুল বলেন, ‘আমরা প্রকাশকেরা বই প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কতটা যোগ্যতা অর্জন করছি তাও দেখার বিষয়। এছাড়া গণমাধ্যম সামাজিক দায়িত্বশীলতার জায়গা বইয়ের প্রচার ও পাঠাভ্যাস তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। ’
সংবেদের পারভেজ হোসেন বলেন, ‘ভালো লেখককে পা-লিপি নিয়ে ঘুরতে হয় না। এমন কোনো লেখক কি আছেন যিনি বই নিয়ে ঘুরছেন কিন্তু তা ছাপা হচ্ছে না? সব বই-ই ছাপা হয়। ’
সূচীপত্রের সাঈদ বারী বলেন, আমাদের রিডার সোসাইটি (পাঠক সমাজ) গড়ে ওঠেনি। গণমাধ্যম সারা বছর এরকম গোলটেবিলের আয়োজন করলে ভালো হয়। ’
গোলটেবিলে প্রকাশকরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জুয়েল মাজহার, শামীম রেজা, সাখাওয়াত টিপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১২