ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল যশোর সাহিত্য পরিষদ কার্যালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল যশোর সাহিত্য পরিষদ কার্যালয়

যশোর: যশোর সাহিত্য পরিষদ কার্যালয়টি না ভাঙতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।  

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।


 
জেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিষ্ঠিত ৩৮ বছরের সাহিত্য পরিষদ কার্যালয় ভাঙার প্রতিবাদ জানাতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ জেলার সব সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এ সভায় অংশ নেন।  

এসময় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু উপস্থিত ছিলেন।
 
জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র ভবনটি না ভাঙার ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।  

বৈঠক থেকেই প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের ওই ভবনটি অপসারণ না করার নির্দেশনা দেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য মোবাইল ফোনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেন।  

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, সাংস্কৃতিকজন হারুন অর রশিদ, সুকুমার দাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদ হাসান বুলু, সুরবিতানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসুদেব বিশ্বাস, তির্যক যশোরের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন, উদীচী যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, সাহিত্য পরিষদ সভাপতি অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান, বিবর্তন যশোরের সভাপতি নওরোজ আলম খান চপল, স্পন্দন যশোরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।  

পরে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন সাহিত্য পরিষদ কার্যালয় এলাকা পরিদর্শন করেন।

এদিকে, পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর এবং উচ্ছেদের প্রতিবাদে সকালে মানববন্ধন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। সকাল ৯টায় পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে ভবন ভাঙার প্রতিবাদের পাশাপাশি সাহিত্য পরিষদ রক্ষারও জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

 

এসময় তারা বলেন, ৩৮ বছর ধরে ওই ভবনে যশোরের কবি, সাহিত্যিকরা সাহিত্য চর্চা করে আসছেন। কোনো কিছু না জানিয়ে আকস্মিকভাবে ভবনটির অনেকটা ভেঙে দেওয়ায় কবি, সাহিত্যিকরা মর্মাহত। দ্রুত ভবনটি সংস্কার করে রক্ষার দাবি জানাই।

পরে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলামের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সড়ক প্রশস্থ করার অজুহাতে ভেঙে দেওয়া হয় যশোরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন যশোর সাহিত্য পরিষদ কার্যালয়ের একাংশ।

আরও পড়ুন: যশোর সাহিত্য পরিষদ ভবন উচ্ছেদের পরিকল্পনা!

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
ইউজি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।