স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে অনেক আলোচনা হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে এই স্বাধীনতা।
দেশের প্রবীন-নবীন চল্লিশজন শিল্পীর চল্লিশটি কাজ নিয়ে ধানমণ্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে চলছে ‘সৃজনে সংগ্রামে চল্লিশ’ শিরোনামে এক অনন্যসাধারণ চিত্র প্রদর্শনী। নিজস্ব শৈলীর, ভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে শিল্পীরা তুলে ধরেছেন দেশ, স্বাধীনতা, বিজয়ের অধিকারের কথা। আরো কত কথাই না সুপ্ত আছে শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে।
চারুশিল্পে ৭১ বেশ মূর্ত হয়ে আছে স্বাধীনতার পর থেকেই। স্বাধীনতার আগের চিত্রকলায় ছিল যে স্বাধীকারের কথা, পরে এর সাথে যোগ হয় বাঙ্গালির বিজয়গাঁথা। আজ চল্লিশ বছর পর চিত্রকলায় নতুন মাত্রা যোগ হবে এটাই তো কাম্য।
আজ এই খোলা জানালার যুগে শিল্পীদের ভাবনায় এসেছে আন্তর্জাতিকতা। বিশেষ করে নবীন বা তরুণ শিল্পীরা হাতের কাছে পেয়েছেন অনেক কিছুই। তাদের ভাবনার বিকাশটা বেশ প্রশংসাযোগ্য। তাদের প্রকাশভঙ্গী উৎসাহব্যঞ্জক। তাই এই চিত্রকলা প্রদর্শনীতে তরুণ শিল্পীদের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি দৃষ্টি কেড়েছে। গ্যালারিতে নবীন কোন শিল্পীর কাজের সামনে দাঁড়িয়ে দর্শকদের গুণগুণ আলোচনা যেন সে কথাই বলে।
বেঙ্গলের এই বিশাল আয়োজনে শিল্পীদের নামের তালিকাটা দীর্ঘ। চল্লিশজন শিল্পীর অংশগ্রহণ রয়েছে এই মহাযজ্ঞে। তাদের তুলির আঁচড়ে মূর্ত-বিমূর্তভাবে উঠে এসেছে বাংলা মায়ের মর্যাদা রক্ষার সুদৃঢ়কল্প নিয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম। এসেছে দেশমায়ের রূপ। এসেছে মায়ের ওপর হামলাকারীদের বিকৃত চেহারা, ইত্যাদি।
এই বিষয়গুলো শিল্পী বিশেষে চিত্রিত হয়েছে ভিন্নভাবে। তবে তরুণদের প্রকাশটাকেই যেন মনে হয় তুলনামূলকভাবে একটু বেশি বলিষ্ঠ। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের নাম:
কাইয়ুম চৌধুরী, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, মুস্তাফা মনোয়ার, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, হাশেম খান, আবু তাহের, রফিকুন নবী, মনিরুল ইসলাম, মাহমুদুল হক, কালিদাস কর্মকার, আব্দুস শাকুর, আবুল বারক্ আলভী, হামিদুজ্জামান খান, শহিদ কবির, বীরেন সোম, কাজী গিয়াসুদ্দিন,
মনসুর উল করিম,নাজলী লায়লা মনসুর, চন্দ্র শেখর দে, অলকেশ ঘোষ, শাহাবুদ্দিন, কে. এম. এ. কাইয়ূম, ফরিদা জামান, নাসিম আহমেদ নাদভী, রনজিৎ দাস, মোহাম্মদ ইউনুস, নাসরীন বেগম, ঢালী আল মামুন, কনক চাঁপা চাকমা, শেখ আফজাল হোসেন, দিলারা বেগম জলি, ওয়াকিলুর রহমান, আহমেদ নাজির, রফি হক, মোহাম্মদ ইকবাল, মাহবুবুর রহমান, তৈয়বা বেগম লিপি, শাজাহান আহমেদ বিকাশ, আনিসুজ্জামান, আশরাফুল হাসান এবং বিশ্বজিৎ গোস্বামী।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭২১, ডিসেম্বর ২৭, ২০১১