ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সরদার ফারুকের এক গুচ্ছ কবিতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১১
সরদার ফারুকের এক গুচ্ছ কবিতা

আনন্দ, কোথায় তুমি
 
আনন্দ, কোথায় তুমি? দরোজায় তালা
কিছুই না বলে কেন অন্তর্ধানে গেলে?

পাতা ঝরা দিনে
ভাল লাগবে না উচ্চ নিনাদের গান
আনন্দ আমার
তোমার পায়ের শব্দে সবখানে নাচঘর ছিল
মাঝে মধ্যে ঘুঙুরের ধ্বনি শোনা যায়।

স্টেশন রোড

স্টেশনের দিকে কিছুদূর এগুলেই
চোখে পড়ে যশুরে লতায়
ঢাকা পরিত্যক্ত ঘরদোর
হেলেসাপ খেলা করে ইটের পাঁজায়।



‘অনন্ত কেবিনে’ সবুজ দেয়াল জুড়ে
ছোপ লাগা কালো কালো দাগ
কারা যেন বিস্বাদ চায়ের
সাথে কড়া তামাকের ঘ্রাণ বাতাসে ছড়ায়।

শিরিষের তোরণ পেরিয়ে
শর্ষেক্ষেত, তারপর ছন্নছাড়া রেলের জংশন।

ইতিহাস

বিকেলের দুঃখ আলো ফিরিয়ে দিয়েছে
পুরোনো বিষাদ, ভাঙা প্রাসাদের ঝরোকা খিলান
প্রেতের পৃথিবী হাতছানি দিয়ে ডাকে।

সাদা হাড়ে খনিজের দাগ
রক্ত-মাংস-মজ্জা মিশে গেছে
কত দিন আগে!

মরকুটে নেড়ি কুকুরের
লোম ওঠা বাদামি ত্বকের প্যাপিরাসে
পাঠ করি তোমদের ভ্রষ্ট ইতিহাস।



নীল জামা

রেলপথ ধরে হেঁটে গেলে
ছোট কালভার্ট
অগভীর জলে খেলা করে
ডানকানা মাছ
তারপর তোমাদের বাড়ি

তুমি থাকো ভিতরের ঘরে
নীল জামা বাইরে শুকায়।


অ্যাক্রোফোবিয়া

অতল খাদের ধারে দাঁড়িয়ে থেকো না
দেবদারু পাইনের অবাধ বিস্তার
                যতোই টানুক!

ক্যামেলিয়া এখনো ফোটেনি
প্রস্তুতিতে কেটে যাবে আরো কিছু দিন।
মেঘের ভ্রমণে কোন অস্থিরতা নেই
পতনের ভয় নেই বলে?

উচ্চতার দারুন ম্যাজিকে
অজগর পাক খায় অ্যামিগডালায়।

নৃত্য

আমাকে নাচালে কেন?
আমি নাচিয়েছি? নেচেছো স্বেচ্ছায়।
আমাকে কাঁদালে কেন?
এ ক্রন্দন বিশ্বময়, আমিও কেঁদেছি।

এ-ও তো যুগল নৃত্য, দুজনের ভুল
কে যে কবে খুলেছিল নাচের ইস্কুল!


বাংলাদেশ সময় ১৩০৭, ডিসেম্বর ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।