ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শেষ হলো ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
শেষ হলো ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীদের নিয়ে ৬ দিনব্যাপী ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের ১৩তম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরতলীর ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে রহিমপুর স্মরণ মৎস্য হ্যাচারীতে এ আর্ট ক্যাম্প শুরু হয়।

শেষ দিন ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পের শিল্পকর্ম উন্মুক্ত করা হয়।

পরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪টি দেশের প্রায় ২০ জন শিল্পী এই আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেয়।

বাংলাদেশসহ রাশিয়া, জাপান ও ভারতের শিল্পীরা এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিল।

এবারে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হচ্ছেন- জাপানের রেইকো সিমিজু, তামিকো তাকাহাসি, রাশিয়ার লাভরেন্টি রেপিন, ভারতের আশিস রাঠোর, বালাগোপালান বেথুর, সুভাষ কুমার মাসকারা, উর্মিলা বানু, শিরিন শেখ এবং বাংলাদেশের জুয়েল চাকমা, জয়া বড়ুয়া, নাজমুল হোসেন নয়ন, এস এম রিয়াদ, সেমিনা ইশরাত, সুতপা বর্মন, শক্তি নোমান, সাদিয়া শারমিন এবং মো. সামিন শুভ।

এবছর ক্যাম্পের কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করেন ভারতের শিল্পী ও কিউরেটর সুরেশ কে. নায়ার।

২০০৭ সাল থেকে এই মাল্টিডিসিপ্লিনারি আর্ট ক্যাম্পটি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কুষ্টিয়ায় এই আর্ট ক্যাম্পটির সূচনা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে, শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দের নেতৃত্বে এবং শিল্পী দেলোয়ার হোসেনের আন্তরিক সহোযোগিতায়।

এই ক্যাম্পে শিল্পীরা প্রধানত সাইট-স্পেসিফিক ও কন্সেপচুয়াল আর্টওয়ার্ক নিয়ে কাজ করেছেন।

অংশগ্রহণ কারীরা কুষ্টিয়া অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অঙ্গনের বিভিন্নগুরুত্বপূর্ণ স্থান (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠি বাড়ি, লালনের ছেউড়িয়া, গোপিনাথ-জিউ মন্দির, মোহিনি মিল প্রভৃতি) ঘুরে দেখেছেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন আর্ট উপকরণ সংগ্রহ করেছেন তাদের শিল্পকর্মের জন্য।

এবারের আর্ট ক্যাম্পের কিউরেটরিয়াল থিম ‘রুটস/শেকড়’-এর আলোকে শিল্পকর্ম নির্মাণ করা হয়।

সমকালে দাঁড়িয়ে নিজেদের চিন্তাধারা, দর্শন, শিল্পচর্চার ধারাবাহিক অনুশীলনের সঙ্গে বৈশ্বিক চিন্তাধারার সমন্বয় সাধন, যৌথতার ভিত্তিতে শিল্প প্রয়াসের আদানপ্রদান আর শিল্পের সামগ্রিক আবহের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে অঙ্গীভূত করার প্রচেষ্টার ভেতর দিয়ে ১৩তম ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্টক্যাম্প সমাপ্তির ঘটে।

আট ক্যাম্পের শিল্পী ও কিউরেটর সুরেশ কে. নায়ার জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিল্পচর্চার ধারাবাহিক ইতিহাসে অনেকগুলো বাঁক আছে। প্রতিটি বাঁক এক একটি সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে। এক এক ধরনের উত্তরণের কথা বলে। তেরো বছরের সফল প্রচেষ্টার পর ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্টক্যাম্পকে সেই ধারাবাহিক ইতিহাসের অংশ বলা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।