ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কবি শামসুর রাহমান স্মরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কবি শামসুর রাহমান স্মরণ আয়োজনে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ অতিথিরা, ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আলোচনা, নিবেদিত কবিতাপাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৯১তম জন্মদিন উদযাপন করেছে বাংলা একাডেমি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ এবং শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষের সামনে কবির প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়। এরপর শামসুর রাহমানকে ঘিরে স্মৃতিচারণ ও আলোচনায় অংশ নেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ।

বক্তারা বলেন, শামসুর রাহমানের কবিতা ধারণ করেছে আমাদের সমাজের সামগ্রিক বিবর্তন। তিনি আমাদের চেতনার কাব্যিক রূপকার। ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলার কবিতাকে যেভাবে বদলে দিয়েছে শামসুর রাহমানের কবিতাকেও সে প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হবে। নিভৃত কাব্যলোক থেকে তিনি সমকালের রক্তক্ষতে আলোড়িত হয়েছেন, জাতীয় জীবনের মূল কেন্দ্রস্বরকে তার জীবনচেতনায় ভাস্বর করে তুলেছেন। নির্জনতা ও নিঃসঙ্গতা থেকে শামসুর রাহমান যেভাবে জনতার স্বাধীনতাকামী ময়দানে কবিতাকে নিয়ে এসেছেন, তা বাংলা কবিতার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, সমগ্র বাঙালির হয়ে কথা বলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কবি শামসুর রাহমান। সেখান থেকেই তিনি হয়ে গেলেন বাঙালিদের কণ্ঠস্বর। তিনি বিভিন্ন সময় সমাজের নানা দিক তুলে ধরে লিখেছেন। বাংলাদেশের সমাজের বিবর্তনের সঙ্গে শামসুর রাহমানের কবিতাকে মিলিয়ে পাঠ করলে আমরা দেখব তিনি এ অঞ্চলের সমস্ত সংগ্রামী, সদর্থক ও শুভবাদী আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ অনুভব করেছেন। শিল্পমান অক্ষুণ্ন রেখেও কবিতাকে যে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়, তিনি সে সত্য আমাদের দেখিয়েছেন।

আয়োজনের ২য় পর্বে কবিকে নিবেদিত কবিতাপাঠে অংশ নেন রবিউল হুসাইন, আনোয়ারা সৈয়দ হক, কাজী রোজী, লিলি হক, শিহাব সরকার, ফারুক মাহমুদ, হাসান হাফিজ, রেজাউদ্দিন স্টালিন, নাহার ফরিদ খান, পিয়াস মজিদ ও হানিফ খান। কবির কবিতা আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম, লায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী, ফয়জুল আলম পাপ্পু এবং শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে সংগীত পরিবেশন করেন রফিকুল আলম এবং আবিদা রহমান সেতু। কবির কবিতা অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন সাহিদা রহমান সুরভি।

অনুষ্ঠানে শামসুর রাহমানের পুত্র ফাইয়াজ রাহমান, পুত্রবধূ টিয়া রাহমান, পৌত্রী নয়না রাহমান, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল, লেখক-সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক, গবেষক ড. ইসরাইল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সাবেক কর্মকর্তা প্রাবন্ধিক-অনুবাদক আরশাদ আজিজের প্রয়াণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।