ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

মঙ্গলদীপে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
মঙ্গলদীপে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

ঢাকা: দুই দেশ। ছয় মঞ্চ। ১২১ সংগঠন। সাড়ে তিন হাজার শিল্পী। বিশাল এ কলেবরের শুরুটা হলো মঙ্গলদীপ প্রজ্জ্বলনে। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো ১০ দিনের গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। অষ্টমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন দুই বাংলার দুই নাট্যব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর ও মেঘনাদ ভট্টাচার্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন- শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক নিপা চৌধুরী, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা এবং গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ।

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আজকে মিলনায়তন পরিপূর্ণ। প্রতিদিনই এমন দর্শক এলে আমাদের আনন্দের সীমা থাকতো না। কারণ, তারা এলে নাটক বাঁচবে, আমরা বাঁচবো, বাংলাদেশ বাঁচবে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বাঁচবে। আমাদের সংস্কৃতির চর্চাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের সন্তানদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এটা পারি না বলেই আজ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কিছু মেধাবী ছাত্র আরেক মেধাবী ছাত্রকে মেরে ফেলছে। দেশে ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ’

প্রথমবারের মতো এ উৎসবে এসে অভিভূত মেঘনাদ ভট্টাচার্য জানালেন নিজের মুগ্ধতার কথা। তিনি বলেন, ‘এই উৎসবে না এলে আমি বুঝতে পারতাম না এটির আভিজাত্য, মর্যাদা, বৈভব ও উপযোগিতা। আমি দেশে গিয়ে বিরল এ ঘটনা সবার কাছে বলবো। সংস্কৃতির শেকড়টা গভীর না হলে এ উৎসব হতে পারতো না। এ উৎসব সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে সংস্কৃতিপ্রেমীদের মেলবন্ধন। ’

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘এ উৎসব বাংলাদেশ-ভারতের ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও প্রতিবেশীর প্রতি প্রতিবেশীর ভালোবাসার প্রমাণ। আজকের মিলনায়তনভর্তি দর্শকদের কাছে অনুরোধ, ১০ দিনের এ উৎসবের অন্তত পাঁচদিন আসুন। তাহলেই এ উৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে। ’

এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই অনিক বসু পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন স্পন্দনের নৃত্যশিল্পীরা।

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় দর্শনীর বিনিময়ে নাট্য প্রদর্শনী। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চস্থ করে ‘হাছনজানের রাজা’। শাকুর মজিদের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা।

পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চস্থ করে রোজী সিদ্দিকীর একক অভিনয়ের নাটক ‘পঞ্চনারী আখ্যান’। হারুন রশীদের রচনায় যার নির্দেশনা দিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম।  

স্টুডিও থিয়েটার হলে পালাকার মঞ্চস্থ করে নাটক ‘উজানে মৃত্যু’। সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহের রচনা অবলম্বনে যার নির্দেশনা দিয়েছে শামীম সাগর। বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে লোক নাট্যদল (বনানী) মঞ্চস্থ করে ‘কঞ্জুস’। মলিয়েরের ‘দ্য মাইজার’ অবলম্বনে নাটকটি রূপান্তর করেছেন তারিক আনাম খান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন কামরুন নূর চৌধুরী।

আগামী শনিবার (১২ অক্টোবর) এ মঞ্চে নাট্য মঞ্চায়নের পাশাপাশি শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন এবং জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে থাকবে সাংস্কৃতিক নানা পরিবেশনার আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
ডিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।