ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পকলায় আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
শিল্পকলায় আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৭০টি ছবি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নৃত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলাসহ নানা বিষয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঐতিহ্যে রয়েছে ভিন্নতা। সেসবের মধ্য থেকেই ইন্দোনেশিয়ার দু’জন নৃত্যশিল্পীকে ফ্রেমবন্দি করেছেন দেশটির আলোকচিত্রী রবার্ট লী। সে ছবিতে দেখা যায়, দু’জন নারী শিল্পী নিজেদের পোশাকে তুলে ধরেছেন দেশটির ঐতিহ্য।

আছে বাংলাদেশের একটি মাছের গ্রামও। এ গ্রামের এক গৃহবধূ নানা জাতের মাছ শুকাচ্ছেন উঠানে।

মাছ শুকানোর এ ছবি ফ্রেমবন্দি করেছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী আনিসুর রহমান।

শুধু বাংলাদেশ বা ইন্দোনেশিয়া নয়, দেয়ালজুড়ে স্থান পেয়েছে বিশ্বের ৭০ জন আলোকচিত্রীর ৭০টি ছবি। বর্ণময় এসব ছবির দেখা মিলবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফিনিক্স ফটোগ্রাফিক সোসাইটির আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী আলোকচিত্রী সাঈদা খানম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফিনিক্স ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ সাখাওয়াত কামাল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান।

উদ্বোধনের সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালে আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন লাইফ ম্যাগাজিনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ছবি দেখেছিলাম। ছবিটার শিরোনাম ছিল ‘হিউম্যানিটি অ্যান্ড বিউটি’। সেই ছবিতে একটা মেয়ে তার বাচ্চাকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই ছবিটা এখনো আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে। সেই ছবিতে আমি দেখেছিলাম সৌন্দর্য এবং মানবতা কীভাবে একসঙ্গে বসবাস করে।

‘আলোকচিত্রের জন্য বিশ্বের বিশেষ কিছু জায়গা রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে সেসব দেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সেসব দেশের অন্যতম। বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরাও নিজের কাজের মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে তাদের দেশকে তুলে ধরতে পেরেছেন। ’

আলোকচিত্রী সাঈদা খানম বলেন, আমি যখন ফটেগ্রাফি শুরু করি, তখন কঠিন সময় ছিল। তখন ভাবা হতো আলোকচিত্র শখের ব্যাপার। আসলে তা কিন্তু নয়। আলোকচিত্র ইতিহাস ও ঐতিহ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশে অনেক প্রতিভাবান আলোকচিত্রী রয়েছেন। তাদের বৈচিত্র্যময় কাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। নিঃসঙ্কোচে বলতে পারি আমাদের আলোকচিত্র বিশ্বমানের। এখন আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যেসব সময় চোখের সামনে দেখতে পারি, তা আলোকচিত্রের জন্যই সম্ভব হয়েছে। আলোকচিত্র দেশ ও সমাজের বিভন্ন সময়কে ধরে রাখে।

প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, জাতীয় চিত্রশালার দ্বিতীয় তলার গ্যালারিজুড়ে স্থান পেয়েছে বৈচিত্র্যময় সব আলোকচিত্র। কোনো ছবিতে ভেসে উঠেছে আফ্রিকার মরুর দৃশ্য, আবার কোনো ছবিতে দেখা যাচ্ছে হিমশীতল বরফের দেশ। এ ছাড়ার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকাচার, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রাও উঠে এসেছে ছবিগুলোতে।

প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ফিনিক্স ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব আমেরিকার নির্বাচিত আলোকচিত্রীদের ছবি। তিন দিনব্যাপী ‘পিএস আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ শিরোনামের এ আয়োজন শেষ হবে ২৫ আগস্ট।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।