ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন: এইচ টি ইমাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৯
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন: এইচ টি ইমাম ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার: নন্দিত উদ্ভাবন’ গ্রন্থের প্রকাশনা এবং মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিরা/ ছবি- ডি এইচ বাদল

ঢাকা: বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন, এ দু’টি বিষয়কে কখনও আলাদা করে দেখা বা বিচার করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

বুধবার (৩১ জুলাই) ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার: নন্দিত উদ্ভাবন’ গ্রন্থের প্রকাশনা এবং মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা বাঙালি, আমাদের নিজস্ব জাতিসত্তা আছে, ভাষা আছে, নিজস্ব ঐতিহ্য আছে।

তাই আমরা অন্য জাতিগোষ্ঠী থেকে ভিন্ন। এইসব কিছু মিলে বাঙালি জাতি হিসেবে একটি জাতির যে উদ্ভব হতে পারে, সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সচেতন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্তার বিষয়ে সচেতন করেছিল বলেই, যেদিন থেকে আমরা নিজেদের বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করলাম, তখন থেকেই আমাদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনাও তৈরি হয়ে গেলো।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সচেতনভাবে মনেপ্রাণে আমাদেরকে তৈরি করেছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য, সে কারণেই আমি বঙ্গবন্ধুকে বলি বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা। সাংবিধানিকভাবে তিনি বাঙালি জাতির পিতা-তো আছেন-ই, সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের একজন স্থপতি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যে ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি বাংলাদেশকে তুলে এনেছিলেন, সেটা আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়।  

বঙ্গবন্ধু কর্নার: নন্দিত উদ্ভাবন গ্রন্থের প্রকাশনা এবং মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত। পরিচালনা করেন আবৃতিকার আহকাম উল্লাহ রাজীব।  

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু কর্নারের স্বপ্নদ্রষ্টা, অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল ইসলাম।

শামস-উল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আমি যখন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার হলাম, তখন ভাবলাম, আমি অগ্রণী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার হলাম, অগ্রণী ব্যাংক যদি হাবিব ব্যাংক থাকতো, দেশটা যদি পাকিস্তান হতো, তাহলে আমি বড়জোড় সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হতে পারতাম। আমি যে জেনারেল ম্যানেজার হলাম, কার জন্য হলাম? দেশ স্বাধীন হয়েছে জাতির পিতার জন্য, তাহলে তার জন্য আমরা কী কিছু করতে পারবো না? তখন একটা ভাবনা এলো যে এমন কোনো একটা জায়গা যদি বানানো যায়, যেখানে বসে বঙ্গবন্ধুর চর্চা করবেন সবাই। সেই ভাবনা থেকেই বঙ্গবন্ধু কর্নারের জন্ম।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা আসন গ্রহণের পর প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষ থেকে ফুল এবং উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।  

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক অসীম সাহা, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক কাশেম হুমায়ুন, বঙ্গবন্ধু কর্নার গ্রন্থের প্রকাশনা সংস্থা রংধনু প্রকাশনার প্রকাশক মাসুম রহমান।  

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু কর্নার বিষয়ে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এরপর অগ্রণী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু কর্নার বিষয়ে একটি গান পরিবেশন করেন অগ্রণী ব্যাংকের সাহিত্য সমাবেশের শিল্পীরা। সবশেষে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল ইসলাম।  

বাংলাদেশের সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
আরকেআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।