বিশ্বখ্যাত কলম্বিয়ান কথাসাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস। ১৯৬৭ সালে লেখা `ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অব সলিচিউড` বইটির জন্য ১৯৮২ সালে লাভ করেন নোবেল পুরস্কার ।
তবে ১৯৯৪ সালে তার লিখিত ‘ক্রনিকল অব এ ডেথ ফোর্টোল্ড’ উপন্যাসিকার জন্য একটি মামলায় পড়েন তিনি। তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন মিগুয়েল রেইস প্লেনিকা নামের এক ব্যক্তি।
মিগুয়েলের দাবি, মার্কেস তার জীবনের ঘটনা নিয়েই ‘ক্রনিকল অব এ ডেথ ফোর্টোল্ড’ এবং ‘দ্য থার্ড ডেথ অব সান্তিয়াগো নাসের’ এই উপন্যাস দুটি লিখেছেন। আর এ কারণে তাকে অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
‘ক্রনিকল অব এ ডেথ ফোর্টোল্ড’ উপন্যাসটি লিখে মার্কেস তার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করেছে। ফলে মার্কেসকে ওই উপন্যাস এবং চলচ্চিত্রের অর্ধেক রয়্যালটি দিতে হবে রেইস প্লেনিকাকে।
‘ক্রনিকল অব ডেথ ফোর্টেল্ড’ মূলত একটি খুনকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে। কাহিনীতে দেখা যায় খুনটির সঙ্গে জড়িত দুই জন ব্যক্তি, যারা সম্পর্কে দুই ভাই। এই দুই ভাইয়ের একটি বোন থাকে, যার সঙ্গে একজনের বিবাহপূর্ব শারিরীক সম্পর্ক থাকে।
রেইস প্লেনিকার দাবী ওই বোনটি হলেন তার স্ত্রী। রেইস প্লেনিকা বিবাহরাত্রিতে জানতে পারলেন যে তার স্ত্রী কুমারী নয়, পরদিনই তিনি তার স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে দিয়ে আসেন।
মার্কেসের বিরুদ্ধে মামলা করা বিষয়ে রেইস প্লেনিকা বলেন, ’১৭ বছর আগে আমি এই বিষয়ে মামলা করি। উপন্যাসের বায়ারডো সান রোমান নামে যে চরিত্র, তাকে অসম্মানজনকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ’
তবে ২৯ নভেম্বর ২০১১ মার্কেসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বাতিল করে দিয়েছে কলিম্বিয়ান আদালত। মার্কেসের আইনজীবী আলফানসো গোমেস মেনদেস বলেন, ‘বারানকুইলার উচ্চ আদালতে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নিম্ন আদালতেও এ বিষয়ে একই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। ’
বাংলাদেশ সময় ১৮৫১, ডিসেম্বর ০১, ২০১১