দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বন্ধু বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাংবাদিক রহমান মাসুদের জন্মদিনের খবর দেখলাম অনলাইনের পাতায়। জন্মদিনের খবর দেথে একটু উৎসাহিত হয়েই ক্লিক করলাম হয়তো কেক কাটার দাওয়াতটা সেখানেই থাকবে।
কিন্তু পাতাটা খুলতেই কেকের বদলে দেখতে পেলাম এক গুচ্ছ কবিতা। এমন সময় বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর ভাই নিউজরুমের কম্পিউটারে বসে নিউজটা খুলে বললেন, কবির জন্মদিনের কেক কই?
তারই প্রতিউত্তরে আমি বলেই ফেললাম জন্মদিনে কেকের বদলে কবিতা উপহার দিলেন আমাদের সহকর্মী রহমান মাসুদ।
পাতায় রয়েছে মাসকয়েক আগে বিয়ে করেছেন তিনি, বিবাহোত্তর এই তার প্রথম জন্মদিন। চেহারায় একটা সুখী সুখী ভাব।
এই সুখী সুখী ভাবের আড়ালে অনেকটা বিদ্রোহী হয়ে কবিতাগুলো লেখা কিনা বলা যায় না।
কেননা তার শেষ কবিতা কথন - ১ এর প্রথম লাইনে তিনি লিখেছেন:
‘অন্ধগলির ঢাকনাহীন ম্যানহোলের মতো হা-করে আছে আমার ঘর। আমি সেখানে প্রতিদিন ফিরে যাই- চরম অনাগ্রহে; যেন ফিরব না, আর ফিরব না কোনো দিন!`
কবিতাটি পড়ে আমি মন্তব্য করেই বসলাম এইটা যদি ভাবী পড়েন তবে আর আজ বাসায় ঢুকতে হবে না আপনার!
তবে কবিতাগুলো পড়ে সহকর্মীর এমন অনলাইন উপহারকে সত্যিই অনন্য বলা চলে। কেননা কেক তো আর অনলাইনে সবাইকে দেওয়া যাবে না। তার চেয়ে এই কবিতা আজকের এই ডিজিটাল যুগে সবার নিকট পৌঁছে যাবে।
জন্মদিনের কবিতায় তার ছবিটিও জন্ম দিয়েছে অনেক রহস্যের। তার রহস্যময় ধোয়চ্ছন্ন দৃষ্টির ছায়া থেকেই হয়তো সৃষ্টি হয়েছে এই কবিতা গুচ্ছের।
তাই জন্মদিনে এমন এক গুচ্ছ বিদ্রোহী কবিতা উপহার দেওয়ায় একান্তই শুভেচ্ছা দিয়ে শেষ করছি।
বাংলাদেশ সময় ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১১