ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

মহাশ্বেতা দেবীকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১১
মহাশ্বেতা দেবীকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার

ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলন কর্মী মহাশ্বেতা দেবী। জন্ম ১৯২৬ সালে ঢাকায়।

অর্ধশতাব্দীরও বেশিকাল ধরে সাহিত্যকর্মে ও সমাজসেবার যে নিরলস কর্মযজ্ঞের দৃষ্টান্ত তিনি আমাদের সামনে রেখে চলেছেন তার নজির সচরাচর মেলে না-কি স্বদেশে কি বিদেশে | মহাশ্বেতা দেবী আজ আর শুধু একটি নাম নয়, প্রতিষ্ঠানবিশেষ |

 

তাঁর লেখা শতাধিক বইয়ের মধ্যে হাজার চুরাশির মা  অন্যতম। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে— অরণ্যের অধিকার, চোট্টি মুণ্ডা এবং তার তীর, নৈঋতে মেঘ, আই.পি.সি ৩৭৫, মুখ, কৈবর্ত খণ্ড, মার্ডারারের মা প্রভৃতি।

 

তিনি তার সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার ‘পদ্মভূষণ’, আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘রামন ম্যাগসেসে পুরস্কার’, সাহিত্য একাডেমির সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার’ ও ‘সার্ক সাহিত্য পুরস্কার’সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

 

৮ নভেম্বর ৮৫ বছর বয়সী এ সাহিত্যিককে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেছে—‘লিটেরাচার লাইভ মুম্বাই লিটফেস্ট’-এর পক্ষ থেকে। ভারতীয় সাহিত্যে কিংবদন্তিতুল্য অবদানের জন্য এ বছর তাকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়। পুরস্কারটির আর্থিক মূল্য ১ লক্ষ রুপি।

 

‘লিটেরাচার লাইভ মুম্বাই লিটফেস্ট’-এর জুরিবোর্ডের সদস্য ও লেখক মার্ক টালি বলেন ‘দেবী তার সাহিত্যকর্মে আদিবাসী ও দরিদ্র মানুষের জীবন, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অবস্থাকে তুলে ধরেছেন। সারাজীবন তিনি মানুষের জন্যই লিখে গেছেন। ’

মহাশ্বেতা দেবী বলেন ‘পুরস্কারটি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আমি এখন আদিবাসীদের কাছে গিয়ে বলতে পারি যে, আমি তাদের স্কুল ও পানিব্যাবস্থার উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করতে পারব। `

মহাশ্বেতা দেবী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানমঞ্চে যখন হুইল চেয়ারে করে হাজির হন, তখন উপস্থিত দর্শকরা তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে।

 

বাংলাদেশ সময় ১৬৪০, নভেম্বর ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।