ঢাকার ধানমন্ডি বেঙ্গল গ্যালারিতে চলছে অভিনেত্রী বিপাশা হায়াতের একক চিত্র প্রদর্শনী। অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত তার প্রথম একক ‘ভ্রমি বিস্ময়ে’ শিরোনামে চিত্র প্রদর্শনীতে খুঁজেছেন শুদ্ধতা।
প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে ৬৯টি শিল্পকর্মে। অধিকাংশই বিমূর্ত। তার অভিব্যক্তির বির্মূত রূপ দর্শকদের নিয়ে যায় এক রূপময় জগতে। এই জগতই বিপাশার কাছে শুদ্ধতার জগত। প্রকৃতির রঙ যেমন মিলিয়ে যায় দিগন্তে, তেমনি এই শিল্পীর তুলির রেখাগুলো মিলে-মিশে তৈরি করে এক মায়াময় পৃথিবী।
বিপাশা যেমন বলেন, ‘ভ্রমি বিস্ময়ে’, তার অনুরণন বাজে দর্শক-মনেও। শিল্পীর ‘ইনটু দ্য ডিপ’ বা ‘ডিপ ইনসাইড’ শিল্পকর্মগুলো দর্শকদের ভ্রমণ করায় সুন্দরের জগতে। এই সুন্দরের বর্ণনা যুগে যুগে কত কবি-শিল্পীই না করে গেছেন আপন মনে। বিপাশার দৃষ্টি সেই অদেখা সুন্দরের দিকে।
মিশ্রমাধ্যমে করা বিপাশার ‘সং অব দ্য ফরেস্ট’ শিল্পকর্মটি, আরো অনেক কাজের মতো, দর্শকদের নিয়ে যায় প্রকৃতির খুব কাছে। শিল্পকর্মটিতে বনানীর বাহ্যিক বর্ণিল রূপের পরিবর্তে প্রকাশ পেয়েছে এর অন্তর্গত রূপ-মাধুর্য। শিল্পীর বিমূর্তভাবনার প্রকাশে বনের প্রতিভূ হয়ে এসেছে সবুজের ছোট ছোট অপ্রতুল ফোঁটা। পোড়া মাটির রূপ নিয়ে যায় আরো গভীর কোন তলদেশে। শিল্পকর্মটির মাঝখানটার সাদা অংশ যেন বনের আত্মারই রূপকল্প।
বিপাশা আলো-ছায়ার যে চিত্র তুলে ধরেছেন তার শিল্পকর্মগুলোতে, ‘উইথইন দ্য সেলফ’ (মিক্সড মিডিয়া) এর অন্যতম। চিত্রকর্মটিতে তার লাল রঙের ব্যবহার যেন একদিকে বেদনার প্রকাশ অপরদিকে প্রকাশ করে দ্রোহ। শুদ্ধতার খোঁজে শিল্পী আরও অনেকের মতো আশ্রয় নেন বুদ্ধের শান্তি ও মুক্তির জগতে। ‘ট্রিবিউট টু বুদ্ধা’ (এক্রেলিক অন পেপার) চিত্রকর্মটি গৌতম বুদ্ধের একটি পরিচিত হাতের মুদ্রার বিমূর্ত রূপ।
প্রজন্ম ৭১-এর এই শিল্পী বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের প্রতিও সম্মান দেখিয়েছেন তার শিল্পকর্মে। ২৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ৩ নভেম্বর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২৩০০, অক্টোবর ২৭, ২০১১