ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

দেশের প্রতিটি শিল্পকলায় মাসে ৭ দিন সিনেমা প্রদর্শনী

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৭
 দেশের প্রতিটি শিল্পকলায় মাসে ৭ দিন সিনেমা প্রদর্শনী বক্তব্য রাখছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শুরু হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৭। উৎসব মঞ্চ থেকে দেশের প্রতিটি শিল্পকলায় প্রতি মাসে সাত দিন চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ঘোষণা এসেছে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশজুড়ে একযোগে ১৬ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজনে ঢাকাসহ দেশের ৬৪টি জেলায় একসঙ্গে ৫টি বিভাগে ৪৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বিভাগগুলো হলো- বাংলাদেশের ধ্রুপদী চলচ্চিত্র, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) ও নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র বাদ দিয়ে সংস্কৃতি হতে পারে না। তাই আমাদের চলচ্চিত্রের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে।

চলচ্চিত্রে অনুদানের ব্যাপারে তিনি অনুযোগ করে বলেন, আমরা চলচ্চিত্রকে বেগবান করতে অনুদান দেই। অনেকেই অনুদান পেয়েছেন, কিন্তু তাদের কাজ সম্পন্ন করেননি।  

প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে আগামীতে অনুদানের ব্যবস্থা করে হচ্ছে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

চলচ্চিত্রের নিয়ে স্মৃতিচারণ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শিক্ষাজীবনে রংপুরে কলেজে ভর্তির পর প্রথম একটি মুক্ত জীবন পেলাম। রংপুরে তখন তিনটি সিনেমা হল ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে সাইকেল চালিয়ে প্রায় প্রতিদিনই চলচ্চিত্র দেখতে যেতাম। বিভিন্ন রকমের ছবি দেখতাম তখন। হিন্দি, বাংলা, উর্দুসহ প্রায় সব ধরনের। এমনকি আমরা বন্ধুরা মিলে একটি ছবি সর্বোচ্চ ১৬ বার দেখেছিলাম।

দর্শকদের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের দেশের সিনেমার দর্শক বলতে মেয়েরাই প্রধান। কিন্তু হলের পরিবেশের কারণে আমরা এই দর্শক হারিয়েছি। এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ।

হলের জন্য বরাদ্দ জায়গাগুলোতে বর্তমানে যারা বাড়ি বা শপিং কমপ্লেক্স করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি শিল্পকলায় প্রতি মাসে এক সপ্তাহ চলচ্চিত্র দেখানোর ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

এ ব্যবস্থায় নামমাত্র মূল্যে টিকিট বিক্রি হবে। এর একটি অংশ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম এক বছর শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে এ সুযোগটি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল এবং মোরশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বক্তরা পুরনো ছবির পাশাপাশি আয়োজনে নতুন ছবি দেখানোর ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশ ও নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী নির্মাতাদের একেকজনকে একেকটি যাদুকর উল্লেখ করে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় রিয়াজুল রিজু পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’। উৎসব সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন ৩টি করে চলচ্চিত্র জাতীয় চিত্রশালা ঢাকা ও প্রত্যেক জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হবে। যা চলবে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।