ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

গল্প

পাগল-প্রাণ | রিমঝিম আহমেদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
পাগল-প্রাণ | রিমঝিম আহমেদ পাগল-প্রাণ | রিমঝিম আহমেদ

এক.
পাগলটা মুতে দিলো। এমনভাবে মুতলো কী আর বলব, আমার বলতেও বমি পাচ্ছে। সে মুত কি না সরাসরি ঢুকে গেল শাদা শার্ট পরা ভদ্রলোকটির মুখে! মুখে ঢোকার কারণ অবশ্য ছিলো। তা পরেই বলছি।

ছি ছি কী সর্বনাশ! রিকশার ছাত বেয়ে তার কিছুটা মহিলা দুটির মাথায়! ভাগ্যিস, আমি একটু দূরত্বে ছিলাম। আরও বলে কি-না গরম লাগে।

গরম! আরে ব্যাটা তোর মুত কি বৃষ্টি! যে একপশলায় পৃথিবী ঠাণ্ডা করে দিবি? জুবলি রোড-আমতলা থেকে নিউমার্কেট ছাড়িয়ে সদরঘাট অবধি দুপুরবেলার জ্যামটা নিত্যকার ঝঞ্ঝাট। এই শহরে যারা বসবাস করে তাদের সয়ে গেছে। পনেরো মিনিটের রাস্তা পার হতে কখনও কখনও সময় লেগে যায় টানা দুই আড়াই ঘণ্টা। এই ভরদুপুরে ঠা ঠা রোদের নিচে এই লম্বা জ্যামে বসে মানুষ কুকুরের মতো হাঁপাচ্ছে। তাও যদি জানত জ্যাম থেকে কবে মুক্তি পাবে! তিন নম্বর আর ছয় নম্বর বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর সারি সারি রিকশা ঠায় দাঁড়িয়ে। মানুষ চলাচলের পর্যন্ত সুযোগ নেই। তবুও যে যার মতো করে চিপায়-চাপায় লাফ মেরে মেরে মোরগের মতো এপার থেকে ওপারে যায়। হকার্স মার্কেটে ঢোকার মুখেই আস্ত এক ওভারব্রিজ। মানুষ সেটা ব্যবহার করে না, মোরগের মতো লাফানোতেই তাদের যতো আনন্দ। এই অবস্থায় জ্যামটা স্থির। জ্যামের ওই প্রান্তে গাঁজাখুরি ট্রাফিক পুলিশ কী করে কে জানে! মানুষের মুখে উষ্মা। তখনই সামনে রিকশার ছাতে সরসর করে জল পড়ার শব্দ। এই ভরাভরতি রোদে বৃষ্টি, উপরের দিকে যেই তাকালো তার মুখেও কিঞ্চিৎ... পড়ি কী মরি করে লোকটা মুখ নামিয়ে নিলো। তারপর বমিভাব নিয়ে লাফ দিয়ে মার্কেটের সামনে নালায় বসে পড়ল। না, বৃষ্টি নয়। ওভারব্রিজের উপরে পাগল দাঁড়িয়ে ইয়ে করে দিলো। নিজের শিশ্নটাকে হাতের মুঠোয় ধরে পিস্তলের মতো তাক করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রিকশা, বাস, মানুষের ইনকরা শার্ট, আর উপরে কী হচ্ছে তা দেখতে উৎসুক মুখে তাকায়...। মানুষ হইহই করে ওঠে পাগলের কাণ্ড দেখে। কেউ রেগে গালি দেয়, অনেকেই হাসে, কেউ ঢিল ছোঁড়ার ভান করে। আর পাগল এসব দেখে ঠা ঠা করে হাসে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে, কোমর বাঁকিয়ে নাচে। কেউ একজন বলে, এই পাগলা নাম! পাগল হাসে, আর বলে— গরম লাগের, গরম। মাইনষের কতো গরম! আঁই ঠাণ্ডা করি দিলাম। আয়, হন হন মুতবি আ

দুই.
ভোর হই হই করলে, সিটি লাইটগুলো ঝিমিয়ে এলে রাস্তার ওপার থেকে এপারে এসে সে বসে। খোঁড়া পা'টাকে সামান্য টেনে দিয়ে ফুটপাথ সমান জায়গা নিয়ে আরাম করে বসে। পাশে তার সম্পদ একটা কাপড়ের পুটলি, নারকেলের শলার ঝাড়ু আর একটা কনডেন্স মিল্কের বেঁকে যাওয়া কালো হয়ে আসা কৌটো। তখনও রাস্তার সব কয়টা লাইট হয়তো নেভেনি, গাড়িগুলো গ্যারাজ থেকে বের হয়নি। কয়েকটা টঙ তাদের টিনের চুল্লী, ঠেলা নিয়ে দাঁড়িয়ে যায় যথাস্থানে। তরকারিঅলারা আসা শুরু করবে আরও পরে। কিন্তু সবার আগেই সে আসে। হাতে সেই ভোঁতা ঝাড়ু। নগর ঝাড়ুদারনি হয়তো কখনও ফেলে গেছে, অথবা দিয়েও যেতে পারে। দুই হাত পরেই প্রাইমারি স্কুলের গেইট, গেইট পেরিয়ে বাউন্ডারির ভেতর কাঁঠাল আর আমগাছ। কে লাগিয়েছে সে ইতিহাস কেউ জানে বলে মনে হয় না। সে গাছ থেকে পাতা বাতাসে উড়ে এসে নিচে পড়ে। সে আপনমনে ঝাড়ু দিয়ে একটা একটা করে পাতা সরায় আর বাতাসের চোদ্দোগুষ্ঠি উদ্ধার করে। শুয়োরের বাচ্চা বাতাস— পাতা ফেলস কিল্লাই? আবার পাতা পড়ে, সে চেঁচিয়ে ওঠে, কুত্তার বাচ্চা বাতাস— পাতা ফেলস কিল্লাই! আবার পাতা পড়ে, সে আবার চেঁচায়, গালি দেয়, বাতাসের গুষ্ঠি উদ্ধার করে, আবার ঝাড়ু দেয়। হাতের কাপড়ের পুঁটলিটা দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখে, কনডেন্স মিল্কের কৌটো নিয়ে টঙের কাছে যায়, বাড়িয়ে দেয়ে বলে, চা দে। ওরা হাসে, চা দেয়, বনরুটি দেয়। সে আবার তার জায়গায় এসে খোঁড়া পা টেনে বসে, চা খায়। কেউ টাকা দিতে চাইলে বলে, চা দে মাইনষুর বাইচ্চা। ধীরে ধীরে সরব হয়ে ওঠে রাস্তা। আইসক্রিমঅলা আসে, পেটিতে বাড়ি মারে, হাতের ঘণ্টি নড়ে, টুনটুন। ঝালমুড়ি আসে, ঝমঝম করে বাজে ঝুনঝুনি। সে নির্বিকার আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। গালি দেয় একমনে।   কুত্তার বাচ্চা আকাশ, মেঘ ডাকদ্দে না! শুয়োরের বাচ্চা গাছ, হারামজাদা পাখি, মাইল্যাফিরার পাতা.... তখনই ঝুপ করে বৃষ্টি নামে। সে গালি দিতে দিতে জল ঝাড়ু দেয়, কুত্তার বাচ্চা ঝড়, মরার পানি, শুয়োরের বাচ্চা মেঘ...। স্কুলের দস্যি ছেলেপুলে খিলখিল হাসে, আইসক্রিম ছুঁড়ে দেয় তার দিকে। সে শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে মারমুখো হয়ে তেড়ে আসে তাদের দিকে। গালি দেয় তোরা মানুষ হয়ে যাবি, তোরা মানুষ হয়ে যাবি, মানুষের বাচ্চা। মানুষের বাচ্চা বুঝি গালি হলো! ছেলেরা খিলখিলিয়ে আবার হাসে। সে আবার চেঁচায় ও মাইনষুর পোয়া! তোরা মানুষ অই যাবি! মানুষের জন্য তার যাবতীয় ঘৃণা। তোরা মানুষ হবি, অভিশাপ দিলাম...

 তিন.

এলাকার মানুষ তাকে বুবি বলে ডাকে, কখনও কখনও বুবিনী। এখন অবশ্য বুবিনীর কেউ নেই ছেলেটা ছাড়া, একসময় ছিলো। বাবা-মা, ঘরভরতি ভাই-বোন আরও সব আত্মীয়-স্বজন। আজ কেউ নেই। একদিন খুব ছোটবেলায় বুবিকে কুড়িয়ে পেয়েছিল বাবা। বহুদূরের এক হাটে অনেক মানুষের ভিড়ে বুবি লোকটার হাট ধরে দাঁড়িয়েছিল একটা টাকার জন্য। বাড়িঘর চেনা নেই, হারিয়ে যাওয়া আড়াই বছরের টলমলে পায়ে হাঁটতে জানা বোবা বুবিকে মায়া করে নিয়ে এসেছিল জাকিরাবাদের গরিব ভ্যানঅলা মোতাহার। ঘরভরা ছেলেমেয়ে থাকতেও মোতাহারের বউ বুবিকে ফেলে দেয়নি অবহেলায়। অন্যসব ছেলে-মেয়ের মতো বড় করেছিল। বুবির একটা সুন্দর নামও রাখা হয়েছিল। কথা বলতে না পাড়া বোবা মেয়েটার বুবি ডাকের আড়ালে অন্য নামটা ঢাকা পড়ে গেলো। এটুকু সবাই জানে এ তল্লাটে। মোতাহার মিয়া গত হওয়ার পর সব কেমন এলোমেলো হয়ে গেল, একমাত্র সম্বল ভিটেটা আটভাগ হলো। ভাগ হয়ে গেলো মোতাহারের স্ত্রীও। বুবির আর কোথাও জায়গা হলো না। সবার অভাবের সংসার। আধাপাগল বুবি আরও ভাসমান হতে হতে পুরোপুরি পাগল হয়ে গেলো। তারপর একদিন ঘর ছাড়া হলো। কোথায় যে গেলো! সে হদিস কেউ রাখেনি। মাঝেমাঝে মোতাহারের বিধবা বউ বুক চাপড়ে কাঁদে বিলাপের সুরে। পাহাড়ের উপর থেকে শোনা যায় তার কান্না। এর ওর মুখে শোনা যায়— মাঝেমাঝে বুবিকে দেখা যায় ইছাখালি বাজারে। শমসুর চায়ের দোকানে একটা কনডেনন্স মিল্কের টিনের কৌটো নিয়ে ক্যাশ বাক্সের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে, আদ্দা! আদ্দা! আদ্দা মানে, বদ্দা। অর্থাৎ বড় দা। বাকিটা আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়। বুবির প্রতি অনেকেরই মায়া আছে, ফলে তাকে অভুক্ত থাকতে হয় না। তারপর সন্ধ্যা হলে ফজল সওদাগরের বাড়ির বাইরে খোলা বারান্দায় বস্তা বিছিয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, ভোঁস ভোঁস করে নাক ডাকে। পাশে শুয়ে থাকে ফজল সওদাগরের বাড়ির লাল কুকুরটাও। মাঝে মাঝে তার জন্য বাড়ির ভেতর থেকে খাবার আসে, যেমনটা আসে কুকুরটার জন্যও।  

অনেকদিন বুবিকে আর হাটে-বাজারে দেখা গেলো না, কেন গেলো না কেউ জানে না। কেউ জানতেও যে চেয়েছে তা অবশ্য বলা যায় না। হতে পারে শমসুর দোকানের ক্যাশবাক্সে নিয়মিত বসা ছেলেটি, ফজল সওদাগরের বাড়ির সে কাজের মহিলাটি যে কুকুর আর বুবির জন্য খাবার আনতো; তাদের মনে পড়লেও পড়তে পারে! না পড়লেও পৃথিবীর কোথাও নড়চড় হয়ে যাচ্ছে তাও নয়!  

মানুষের ব্যস্ততা বাড়ে-কমে, মানুষ নতুনের চাপে পুরনোকে ভুলে যায়। বুবির স্মৃতিও ঝাপসা হতে থাকে। এমনই কোনো একদিন দুপুরবেলা বুবিকে দেখা গেলো আবার ইছাখালি ঘাটে। নোংরা বস্তা বিছিয়ে শমসুর দোকানের পেছনে বসে আছে। আর লোকজন তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। একদল আসছে তো আরেকদল যাচ্ছে। আর সেসব ফিসফিস থেকে নানা গল্প তৈরি হচ্ছে। কোন গল্পটা সত্যি কেউই জানে না। বুবিও কয়েকপ্রস্ত বলতে বলতে ক্লান্ত, এখন যে যা-ই জিজ্ঞেস করে হাসি দিয়ে চুপ করে ঘাটের দিকে তাকিয়ে থাকে। বুবির বাচ্চাটা কার? এতো বড় পেট নিয়ে কোত্থেকেই বা এতোদিন পর এলো বুবি? ‘কী রে বুবি, এইটা কীভাবে বানালি? কেমন লাগে, কী খাইয়া পেট বড় করলি?’ এসব বলে ঠা ঠা করে হাসির বন্যা মেলে ধরে; থামে না। এদের মধ্যেই কেউ আবার কে আসল বাপ এসব প্রশ্ন করতেও ভোলে না। কল্পনা-জল্পনার শেষ হয় না। বুবি ‘আঁহ্ আঁহ্‌ মানু মাহনু’ করে কীসব বলল, কেউ তার আগামাথা বুঝল বলে মনে হলো না। না বুঝলেও মানুষের হাসি-তামাশার দিন একদিন ফিকে হয়ে আসে, বুবির পেট ছোট হয়ে মাস কয়েক পর একটা ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নেয় তামাশার পৃথিবীতে। বুবি  ছেলেকে আগলে আগলে রাখে। কাউকে ছুঁতে দেয় না, কোলে তো দূরের কথা! জন্মদাতার পরিচয়-প্রশ্ন মুছে বুবিনীর ছেলে পরিচয়ে পরিচিত হয়ে ওঠে। মানু! মানু! বলে ডাকে। ছেলের নাম হয়ে ওঠে মানু। বুবির কোথাও কেউ নেই, ছেলে ছাড়া। বুবির ছেলে হামা দেয় ক্রমান্বয়ে বসে, তারপর হাঁটে— দৌড়োয়। তারপর বুবীর ছেলে ভিক্ষা করতে শেখে। ভিক্ষার পয়সা কমে আসে, কোনো কোনো দিন কানাকড়িও মেলে না। কিছুদিন বাদে বুবির ছেলে মানু চোর হয়ে যায়। চুরি করে ধরা পড়ে আর মানুষের মার খায়। আধমরা হয়ে পড়ে থাকে রাস্তায়। বুবি আঁ-আঁ-আঁ করে কাঁদে। গগনবিদারী চিৎকার করে কাঁদে। একদিন চোর ছেলেটিও বুবিকে ছেড়ে কোথায় যে গেলো! বুবির কাছে আর এলো না। বুবি ভাত খায় না, কাঁদে; বুবি ঘুমায় না, কাঁদে আর কাঁদে। তারপর বুবি আর কাঁদে না।

চার.

পৌষের সন্ধ্যা। লাইটপোস্টের নিচে বসে আছে ওরা চারজন। একজন তার হলুদ দাঁত বের করে হাসতে হাসতে উঠে দাঁড়াল। ছেঁড়া প্যান্টের নিচের দিকে গলিয়ে অস্ত্রটা বের করল। এক হাতের পাঞ্জা তুলে দেখিয়ে বলে— থিইয়্যে থিইয়্যে,  অ্যাঁই মঞ্চ বানাই। সে ঘুরে ঘুরে চারপাশে মুতল। গোল করে মুতার পর এটার নাম দিলো, মঞ্চ। প্রথমের কাণ্ড দেখে দ্বিতীয়জন খিল খিল করে হেসে উঠল। দ্বিতীয়জনের হাসি দেখে এবার তৃতীয়, চতুর্থ সবাই সমবেত হাসি শুরু করল। দূর থেকে দৌড়ে যাওয়া একটা কুকুর একটু থমকে দাঁড়িয়ে ফের ছুট দিলো। পথচারী কয়েকজন কিঞ্চিত ভিমরি খেয়ে পড়তে গিয়ে পাগলের কাণ্ডকে উপেক্ষা করে হাঁটা শুরু করল। এবার দ্বিতীয় পাগল এল মঞ্চে। মুতের ছকে বানানো মঞ্চ। মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলা শুরু করল, হি হি হি । আবার মুখে হাত, আবার হি হি হি। তারপর বাকি তিনজনের দিকে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলল, তোরারে দেইখতে মাইনষুর মতো লাআর— হি হি হি। দ্বিতীয়জন মঞ্চ থেকে নামার পর তৃতীয়জন গিয়ে দাঁড়াল। তখন জোরে হাওয়া দিচ্ছিল, মেঘ জমছে আকাশে একটু একটু করে। এই শীতের রাতে বৃষ্টি হলে শীত আরও জেঁকে বসবে। সে আরও ভালো করে দেখে নেয় আকাশটা, তারপর সঙ্গীদের দিকে তাকায়। ওরাও তার দেখাদেখি আকাশটাকে চোখ বুলিয়ে দেখল একবার। প্রথমজন বলে উঠল, মাইনষুর বঅত গরম লাআর। আকাশ মুতি দিবু। দ্বিতীয়জন বলে, আলার পুয়ার বাতাস পাতা কিইল্লাই ঝরাদ্দে! চুদানির পুয়ার আকাশ...। তৃতীয়জন ফের গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠল... আঁ আঁ আঁহহ মানু! মানু! তার দেখাদেখি এবার সবাই কাঁদছে, আঁ আঁ আঁহহ মানু! মানু! চতুর্থ পাগলটি হঠাৎ দেখে সবার সুর এক হয়ে মিশে গেছে আকাশে। শেষ কবিতাটি লিখবে বলে এবার সে টেনে নেয় ঝরে যাওয়া একটি পাতা। পাগল কবি টের পায়, তার চোখের পানিতে কেমন চটচটে হয়ে গেছে গাল। লাইটপোস্ট তখনও জ্বলছে মধ্যরাতে কংক্রিটের নগরে। মানুষ ঘুমিয়ে আছে বাড়িগুলোর ভিতর। না-মানুষেরা জেগে কাঁদছে। তখনও দূরের নালা দিয়ে সরসর করে নেমে যাচ্ছে জল।

বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।