সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ঔপন্যাসিক আখতারুজ্জমান ইলিয়াস (মরণোত্তর), ইমদাদুল হক মিলন ও সেলিনা হোসেন। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় বাংলাদেশি ৭২ লাখ টাকা।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস ‘খোয়াবনামা’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘নূরজাহান’ ও সেলিনা হোসেনের ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’র জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের লেখক প্রফুল্ল রায়ও এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তিনি কেয়া পাতার নৌকা উপন্যাসটির জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারের এ অর্থ চার লেখকের সবাইকে সমবণ্টন করে দেওয়া হবে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইআইপিএম) এ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আইআইপিএমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান ড. মলয় চৌধুরী বলেন, ‘আমি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, ইমদাদুল হক মিলন, সেলিনা হোসেন ও প্রফুল্ল রায়ের লেখা পড়ে অত্যন্ত আলোড়িত হয়েছি। গল্প বলার চাতুরতা, স্বতন্ত্র কৌশল ও প্রতিটি সূক্ষ্ম বর্ণনায় যে আকর্ষণ রয়েছে, সেসব জন্যই লেখকদের এ পুরস্কার প্রাপ্য।
ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্বজুড়ে পরিচিতি ও অবস্থান ছাড়াও আইআইপিএম বিভিন্ন পেশায় জড়িত ব্যক্তিবর্গকে তাদের স্বীকৃতিস্বরূপ দিয়ে আসছে। এদের মধ্যে সামাজিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে আছেন, বিনায়ক সেন, মেধা পাটকর, প্রদীপ বসু ও মহাশ্বেতা দেবী। সাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছে, নির্মলেন্দু গুন, সেলিনা হোসেন, সৈয়ত মুস্তাফা সিরাজ ও আবুল বাশার। প্রাবন্ধিকদের মধ্যে রয়েছে, ভারত ঝুনঝুনওয়ালা, গুরুচরণ দাস, এস গুরুমূর্তি ও রবীন্দ্র কুমার।
চলতি বছর আইআইপিএম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার নামেও একটি ইনস্টিটিউট গঠন করেছে। এ পুরস্কার সাহিত্য, শান্তি, অর্থনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেওয়া হবে। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য সাত কোটি ভারতীয় রুপি, যা নোবেল পুরস্কারের চেয়েও অনেক বেশি। প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন বিখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক শ্রী রমাপদ চৌধুরী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (মরণোত্তর), মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (মরণোত্তর), বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (মরণোত্তর), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (মরণোত্তর), আশাপূর্ণা দেবী (মরণোত্তর) ও জীবনানন্দ দাশ (মরণোত্তর)।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১১