ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

কিউবা যুদ্ধে লেখা চে’র ডায়েরি প্রকাশিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১১
কিউবা যুদ্ধে লেখা চে’র ডায়েরি প্রকাশিত

ঘটনার প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর বিপ্লবী চে গুয়েভারার ডায়েরি প্রকাশ করেছে কিউবা।

‘ডায়েরি অব অ্যা কমব্যাটেন্ট’ নামের ডায়েরিটিতে ১৯৫৬ সালের ২ ডিসেম্বরের পর থেকে ১৯৫৯ সালে ১ জানুয়ারি কিউবার স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু আগে পর্যন্ত চে‘র জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ রয়েছে।



এতে আরও রয়েছে সিয়েরা মায়েস্ত্রার পাহাড়ি এলাকায় ফিদেল কাস্ত্রোর সাহচর্যে তার সংগ্রামময় দিনগুলোর বর্ণনা।

ডায়েরিটি সম্পাদনা করেছে ‘চে গুয়েভারা স্টাডিজ সেন্টার’ এবং প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ান ওসেন প্রেস।

ডায়েরিটি সম্পর্কে চে‘র বিধবাপত্নী চে গুয়েভারা স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক এলিডা মার্চ বলেন, ‘কিউবাসহ সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে গুয়েভারার কাজ, চিন্তা ও সংগ্রামময় জীবনের চিত্র তুলে ধরতেই এ ডায়েরিটি প্রকাশ করা হচ্ছে। যাতে মানুষ তাকে আরো ভালভাবে জানতে পারে এবং তার বিপ্লবী জীবনবোধ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ না থাকে।

ডায়েরির প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় গবেষক মারিয়া দেল কারম্যান আরিয়েত বলেন, একটি নোটবুকে হাতে লিখে ডায়েরি রাখতেন চে। ফলে এর কিছু অংশ হারিয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ ডায়েরি প্রকাশ করা গেল না।
 
তিনি আরও জানান, ‘হারিয়ে যাওয়া অংশগুলো ঠিক কোথায় রয়েছে তা আমরা জানি না। তাছাড়া এ গুলোর একাধিক সংস্করণ ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এর সবগুলো নির্ভরযোগ্য নয়। ’

তবে ডায়েরিটির বেশিরভাগ উপাদানই ১৯৬৩ সালে চে গুয়েভারার প্রকাশিত ‘এপিসোড অব দ্য কিউবান ওয়ার’ শীর্ষক বইটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

অবশ্য বিপ্লবী চে’র ডায়েরি প্রকাশের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে তার একাধিক ডায়েরি প্রকাশিত হয়েছে এবং তা সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হলো, ২৩ বছর বয়সে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে তার ল্যাটিন আমেরিকা ভ্রমণের কাহিনী নিয়ে লেখা ‘দ্য মটর সাইকেল ডায়েরিজ’।

ল্যাটিন আমেরিকায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের অন্যমত নেতা চে গুয়েভারা ১৯২৮ সালে আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে মেক্সিকোতে কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। এর পর তারা তৎকালীন কিউবার প্রেসিডেন্ট ফুলগেনসিও বাতিস্তাকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে কিউবাতে ফিরে যান।

কিউবার স্বাধীনতার পর কাস্ত্রোর নেতৃত্বে গঠিত সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গুয়েভারা।

চির বিপ্লবী চে অবশ্য বেশি দিন সরকারি দায়িত্ব পালন করেন নি। সশস্ত্র আন্দোলনের লক্ষ্যে তিনি খুব শিগগিরই আফ্রিকার উদ্দেশে পাড়ি জমান। পরে বলিভিয়াতে আন্দোলন সংগঠিত করেন। অবশেষে ১৯৬৭ সালে সেখানেই নিহত হন চে।
 
বাংলাদেশ সময় ১৯৪০ জুন ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।